রমজান মাস প্রায় শেষের দিকে আর দরজায় কড়া নাড়ছে খুশির ঈদুল ফিতর। ঈদ বয়ে আনে প্রিয় মানুষের সাথে জাঁকজমকভাবে আনন্দ করবার উপলক্ষ্য এবং ঘর সাজানোর সুযোগ। আমরা জেনে গেছি রমজান মাসে অ্যাকটিভ থাকা নিয়ে কিছু টিপস এবারের আর্টিকেলটি ঈদে যেভাবে নিজের ঘরকে সাজাবেন। কেনাকাটা করার সময় নিজেদের জন্য ব্যয় করি কিন্তু, কখনও কি ভেবেছি নিজের ঘরকে কিভাবে সাজানো যায়? উৎসবের এই সময়ে নিচের লেখা ঈদে ঘর সজ্জার টিপস গুলো ব্যবহার করে পালটিয়ে ফেলুন আপনার ঘরের চেহারা।
পর্দা
এই ঈদে আপনার লিভিং রুমে যুক্ত করুন মনমুগ্ধকর পর্দা! বোল্ড এবং ডিটেইল্ড প্যাটার্নের পর্দাগুলো খুব সুন্দর আবহ তৈরি করতে পারে। তবে আপনার ইনটেরিয়রের সাথে মিলিয়ে পর্দা বাছাই করা খুবই জরুরী। আপনি চাইলে পর্দার জন্য সোনালি কিংবা ধূসর বা চকচকে লাল রঙ নিয়েও ভাবতে পারেন। এছাড়া পর্দার পাশাপাশি বিছানার চাদরেও আনতে পারেন সোনালি ঝকমকে এমব্রয়ডারি।
লাইট
কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন খুব সহজেই আপনার ঘরের রূপ পাল্টে দিতে পারে। এই ঈদে আপনার ঘরকে একটু যত্ন করুন ঘরের বিভিন্ন কর্নারে নতুন নতুন কিছু লাইট যোগ করে। এই উপলক্ষ্যের কার্যকারিতা অনুসারে আপনার লিভিং রুমের দেয়ালে ঝুলিয়ে দিতে পারেন ওয়াল ফিক্সচার, এইভাবে আপনি ঘরের বিভিন্ন এরিয়া হাইলাইট করতে পারবেন। এই ঈদে যেকোন ধরনের লাইট, ল্যাম্প অথবা অর্নামেন্টাল টি লাইট দিয়ে আপনার বাড়ির শোভা বৃদ্ধি করুন। আর যদি এভাবে বড় পরিসরে সাঁজাতে না চান তবে রঙিন মৃদু আলোর মোমবাতি হোল্ডার লাইটগুলো ব্যবহার করুন ঘরের যেকোন কর্নার আলোকিত করতে।
দরজা
যেমন,আমরা সবাই বলে থাকি ছোট্ট একটি পরিবর্তন। ঈদে ঘর সজ্জার টিপস গুলোর মধ্যে, ঈদের আমেজ ধরে রাখতে আপনার প্রবেশ পথের দরজায় ঈদ মোবারক প্রতীক যুক্ত করুন। এই প্রতীকিগুলো প্রায় সব রকম আকার ও মাপে রয়েছে। ছোট্ট একটি টিপস কিন্তু, ঘর সাজানোতে এর প্রভাব রয়েছে অনেক।
রাগস
আপনার মেঝের উপাদানগুলি পুনরায় নতুন করে তুললে আপনার ঘর ফিরে পাবে নতুন চেহারা। এই ঈদে আপনার ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কার্পেট অথবা রাগস ব্যবহার করতে পারেন। রাগসের কথা যখন চলেই আসল আপনি কিছু কুশন যোগ করে দিতে পারেন। এটি ঘরের পরিবেশটাই পাল্টে দিবে। ফুলের প্রিন্ট কিংবা স্ট্রাইপ প্যাটার্নের কিছু ব্যবহারে পিছপা হওয়া যাবে না। এক সাথে রেখে দেখবেন কি চমৎকার দেখাবে! চাইলে কুশন আকারে যোগ করতে পারেন বিভিন্ন মাপ। এই টিপস গুলো খুব ভালো ভাবেই একটি উৎসব আমেজ তৈরি করে। ঈদে ঘর সজ্জার টিপস পড়ে ভাবছেন কোথায় পাবেন এই গুলো? আপনি নিঃসন্দেহে এই রাগস গুলো পাবেন, আড়ং, যাত্রা, অরণ্য এবং বিবিয়ানার মত বুটিক শপে। আরও কম মূল্যে কিনতে হলে অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন নিউ মার্কেট এবং মোহাম্মদপুর টাউনহল মার্কেট।
আর্টওয়ার্ক
ঈদে ঘর সজ্জার টিপস সম্ভবত অপূর্ণ রয়েই যাবে যদি আর্টওয়ার্ক তালিকায় না যোগ করি। আর্টওয়ার্ক মানেই হাজারো অপশন। আপনি যদি দোটানায় থেকে থাকেন তবে প্রয়োজনীয় অনুপ্রেরণার জন্য ইসলামিক আর্টওয়ার্ক গুলো দেখতে পারেন। ইসলামিক আর্টওয়ার্ক গুলো মিশরীয়, ফারসী এবং এমনকি ভারতীয় সংস্কৃতির দ্বারা প্রচুর প্রভাবিত। ভেতরের ইনটেরিয়র পাল্টানোর জন্য সবচেয়ে চমৎকার টিপস হতে পারে কাঠের তৈরি আর্টওয়ার্ক। ফ্রেমের মধ্যে কাঠের তৈরি হওয়া আর্টওয়ার্ক সম্পূর্ণরূপে ঈদের আমেজকে বহাল রাখে।
ফুড কর্নার
ঈদ মানেই সব চমৎকার কিছুর সমাহার। ঈদে ঘর সজ্জার টিপস কোন অর্থবহন করে না যদি সেখানে খাবার না থাকে! খাবার ছাড়া আবার কিসের উৎসব, কিসের আমেজ! মজাদার সব খাবার আর মিষ্টি দিয়ে সাজানো একটি টেবিল। এটি বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়, সকলের জন্য খুব আকর্ষণীয় একটি জায়গা। তাই সেই টেবিলটি ফ্যাশনেবাল টেবিল ক্লথ এবং ক্যাটলারি হোল্ডারের সাথে সাজিয়ে ঘরের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।
গাছগাছালি এবং ফুল
উৎসবের এই আমেজে আপনার বাড়িতে গাছপালা দিয়েও আনুন একটি সুন্দর পরিবর্তন। গাছগাছালি আমাদের জন্য কত সুবিধা আনে এবং কতটা সৌন্দর্য বর্ধন করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জীবন্ত গাছ যদি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কঠিন হয়ে থাকে তবে আপনি কৃত্রিম গাছ দিয়েও চমৎকার ভাবে ঘর সাঁজাতে পারেন। ঘরের যেকোন কোণায় একটি টবে গাছ ও ফুল দিয়ে সুন্দর একটি সেটআপ তৈরি করতে পারেন। এইসবই চমৎকার এবং সহজ উপায় যার মাধ্যমে আপনার ঘরটি এই ঈদে সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে পারবেন।
ঈদে ঘর সজ্জার টিপস গুলো আপনার কেমন লাগলো ? নীচের কমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না।