Reading Time: 4 minutes

প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য দিয়ে ঘেরা এক শহরের নাম চট্টগ্রাম। গহীন তরুরাজি, আকাশছোয়া পাহাড়, নয়নাভিরাম লেক, বিশাল নদী আর অতল সমুদ্র, চাটগাঁর মানুষের ঘুরতে যাবার জন্য জায়গার অভাব কখনো হয় নি! প্রকৃতি যেন নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে বানিয়েছে এই অঞ্চলকে। আবার ভোজনরসিক হিসেবে খ্যাতি আছে এই এলাকার মানুষের, তাই চট্টগ্রামে আছে চমৎকার কিছু খাবার রেস্টুরেন্টও।  তবে অতীত যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমান সময়ে বেশি মানুষ বাস করছে এই চট্টগ্রামে। আমাদের এই কর্মব্যস্ত বন্দরনগরীতে উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে দ্রুতলয়ে। স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে আবাসন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রয়োজনীয় রিয়েল এস্টেটের চাহিদা। প্রকৃতি নিজ হাতে সুন্দর করে সাজিয়ে দিলেও দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন। আর সেজন্য প্রয়োজন রিয়েল এস্টেট খাতের পরিকল্পিত, সঠিক ও উপযুক্ত বিকাশ। চট্টগ্রামের রিয়েল এস্টেট খাত যেন এক অপার সম্ভাবনার নাম। চলুন সংক্ষেপে দেখে আসি চট্টগ্রামের রিয়েল এস্টেট খাতের বর্তমান ও সম্ভবনাময় ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য। 

চট্টগ্রামের রিয়েল এস্টেট খাত

চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম রিয়েল এস্টেট খাতে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়

ঢাকার পর কোন শহরের যদি রিয়েল এস্টেট খাতের সর্বোচ্চ বিকাশ হয়ে থাকে তাহলে তা চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম শহরে যেমন দেখা মেলে ছিমছাম সাজানো গোছানো বাড়ি বা ভিলার, তেমনি দেখা মেলে সুউচ্চ কোন আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্ট কিংবা আকাশছোঁয়া বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স ভবনেরও। রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অফ বাংলাদেশ বা রিহ্যাবে মেম্বার হিসেবে লিস্টেড আছে ৫০ টিরও বেশি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, যাদের কার্যক্রম চট্টগ্রামে বিস্তৃত। ঢাকার বাইরে একমাত্র চট্টগ্রামেই নিয়মিত হচ্ছে রিহ্যাব প্রপার্টি ফেয়ার। সেখান থেকে মানুষের সাড়াও মিলছে দারুণ। 

চট্টগ্রামের তুলনামূলক গোছানো এলাকাগুলো যেমন খুলশী, নাসিরাবাদ হাউজিং, জিইসি মোড় এবং এর আশপাশ, মেহেদীবাগ, জামালখান, লালখান বাজার, আগ্রাবাদ, হালিশহর, পাঁচলাইশ ইত্যাদি এলাকায় চোখে পরে অসংখ্য ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট সমৃদ্ধ আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্পের। নগরীর আশেপাশে আছে ল্যান্ড প্রজেক্টও। অন্যদিকে পাহাড়তলী, কাট্টলী, বাকলিয়া, মুরাদপুরের আশপাশ, অলংকার, সাগরিকা রোড, বিবিরহাটের মত এলাকাগুলোতে কিছুটা অপরিকল্পিত নগরায়ন হলেও অসংখ্য মানুষের বাস এখানে। আর কমার্শিয়াল এলাকার কথা বলতে গেলে বলতে হবে ও আর নিজাম রোড, মুরাদপুর, জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, ২ নং গেট, বায়েজিদ, টেক্সটাইল, অক্সিজেন, বড় পোলের মত জায়গাগুলোর কথা। 

কেমন প্রপার্টি পছন্দ গ্রাহকদের

ইন্টেরিয়র
গ্রাহকদের পছন্দের এলাকায় মিলছে সাজানো গোছানো প্রপার্টি

প্রপার্টি কেনার সিদ্ধান্ত আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কোন ছোটখাট বিষয় নয়। মাথায় রাখতে হয় নানা রকমের চাহিদার ও প্রয়োজনীয়তার কথা। আর এজন্যই প্রপার্টি কেনার সময় গ্রাহকেরা প্রথমেই ভাবেন এর লোকেশনের কথা। চট্টগ্রামের সবচেয়ে রাজসিক এলাকার কথা আসলে উঠবে খুলশী আবাসিক এলাকার কথা। তাই সামর্থ্য থাকলে যে কারো প্রথম পছন্দ হবে খুলশী। তবে এর বাইরেও আগ্রাবাদ, সুগন্ধা, জামালখান, কর্নেল হাট, কাতলগঞ্জ, মেহেদীবাগ প্রভৃতি এলাকায় ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। 

জায়গার পর কথা আসে কেমন সাইজের প্রপার্টি খুঁজছেন একজন গ্রাহক। বিপ্রপার্টির ডাটাবেইজ যাচাই করলে দেখা যায় যে বেশিরভাগ গ্রাহকই ১০০০ থেকে ১৫০০ বর্গফুটের মধ্যে কোন অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজছেন। বেডরুমের কথা উঠলে বেশিরভাগেরই চাহিদা ৩ বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্ট। তবে এর মানে এই না যে এর বাইরে অন্য আকারের ইউনিট নেই। চাহিদা ভেদে ৯০০ বর্গফুটের ছোট্ট ইউনিট কিংবা ২৫০০+ বর্গফুটের বিলাসবহুল ইউনিটও পাওয়া সম্ভব চিটাগাঙে। 

আর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার আগে গ্রাহকেরা ভাবেন অন্যান্য ফ্যাসিলিটির কথাও। যেমন এর লোকেশন মেইন রোড থেকে কতদূরে, যোগাযোগ ব্যবস্থাই বা কেমন, ইউনিটের কমনস্পেস কেমন ইত্যাদি নানান বিষয়াদি। আবার এই প্রপার্টির ডেভেলপার কারা, তারা কতটা সুনামধন্য, তাদের আগের গ্রাহকেরা কী বলছেন, নির্মাণে কেমন সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে এগুলোর খোঁজখবর নেয়াটাও অনেক দরকারী।

বিপ্রপার্টির উপস্থিতি

বিপ্রপার্টি চট্টগ্রাম
বিপ্রপার্টির চট্টগ্রাম অফিস

এমন সম্ভবনাময় একটি স্থানে দেশের সেরা রিয়েল এস্টেট সার্ভিসদাতা প্রতিষ্ঠান বিপ্রপার্টির উপস্থিতি থাকবে না তা কী করে হয়? গত ১৯শে নভেম্বর ২০১৯ তারিখে বিপ্রপার্টি চট্টগ্রাম শহরে পূর্ণাঙ্গ আকারে যাত্রা শুরু করেছে নতুন একটি অফিস চালু করার মাধ্যমে। বন্দরনগরীর সবচেয়ে বিলাসবহুল স্থান খুলশীতেই আছে বিপ্রপার্টির চট্টগ্রাম অফিস যার ঠিকানা 

রুবিয়া হাইটস, ৪র্থ তলা, রোড-৩, জাকির হোসেইন রোড, দক্ষিণ খুলশী চট্টগ্রাম, ৭/এ/১, চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম ৪০০০, বাংলাদেশ।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে যে কোন ধরণের রিয়েল এস্টেট সার্ভিসের জন্য চলে যেতে পারেন এই ঠিকানায়, নির্দ্বিধায়। 

চট্টগ্রামে বিপ্রপার্টির এক্সক্লুসিভ প্রজেক্টস 

চট্টগ্রামে রিয়েল এস্টেট খাতের অপার সম্ভাবনা ও চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এই লেখা প্রকাশের সময় বিপ্রপার্টি চট্টগ্রামে চারটি এক্সক্লুসিভ প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে যেগুলো আছে নগরীর অত্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ও সুবিধাজনক লোকেশনে। দেখে নেয়া যাক সেগুলো সম্পর্কে।

এম এফ টাওয়ার

লোকেশনঃ কর্নেলহাট

ইউনিট সাইজঃ ৯৭৮ থেকে ১৬২৪ বর্গফুট
মূল্যঃ ৪,২৬৯,৭০০ থেকে ৭,১২৭,৬০০ টাকা

প্রকল্পের ধরণঃ আবাসিক

এম এফ টাওয়ার প্রজেক্টের বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন এখানে

হিলিয়েন্থাস

লোকেশনঃ জামালখান রোড

ইউনিট সাইজঃ ১৪৭০ থেকে ১৬৫৫ বর্গফুট
মূল্যঃ ৪,২৬৯,৭০০ থেকে ২৩,১৭০,০০০ টাকা

প্রকল্পের ধরণঃ আবাসিক ও বাণিজ্যিক

হিলিয়েন্থাস প্রজেক্টের বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন এখানে

স্বপ্নছায়া

লোকেশনঃ কাতলগঞ্জ

ইউনিট সাইজঃ ১৩৯৬ – ১৭০০ বর্গফুট
মূল্যঃ ৮,১৫৫,২৫০ – ৯,৬৬৫,০০০ টাকা 

প্রকল্পের ধরণঃ আবাসিক

স্বপ্নছায়া প্রজেক্টের বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন এখানে

পুলভিউ

লোকেশনঃ সাউথ আগ্রাবাদ

ইউনিট সাইজঃ ১২৮৮ –  ১৫৯৭ বর্গফুট
মূল্যঃ ৫,৯০১,২০০ – ৭,০২৯,০৫০ টাকা

প্রকল্পের ধরণঃ আবাসিক

পুলভিউ প্রজেক্টের বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন এখানে

চট্টগ্রামের রিয়েল এস্টেট খাতের বর্তমান ভবিষ্যৎ এবং বিপ্রপার্টির উপস্থিতি নিয়ে এই ছিল আমাদের ছোট একটি ওভারভিউ। দেশের একমাত্র ৩৬০ ডিগ্রি রিয়েল এস্টেট সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সব এলাকার সব ধরণের রিয়েল এস্টেট নিয়েই আমাদের কাজ। তাই চট্টগ্রামের রিয়েল এস্টেট নিয়ে আরও জানার থাকলে আমাদেরকে জানাতে পারেন কমেন্ট সেকশনে, ভিজিট করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট।  

Write A Comment