আমরা অনেকেই প্রয়োজনে কিংবা শখে জামা কাপড় কিনতে থাকি। কিন্তু বাড়তে থাকা জামা কাপড়ের সাথে ক্লসেট স্পেস তো আর বাড়ছে না। ক্লসেটে জামা কাপড় রাখতে গেলেই পরতে হয় বিপাকে। তাই কম স্পেসে কীভাবে সবকিছু সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা যায় সেটা জানবো আজকের ব্লগে। কিছু, সহজ টিপস এবং টুলস আছে যেগুলো ব্যবহার করে ছোট ক্লসেটের স্পেসকে সুন্দর করে ব্যবহার করা যায়। কীভাবে? জানতে পড়তে থাকুন।
হ্যাঙ্গিং স্পেসের নিচে জায়গাটুকু ব্যবহার করুন
আমরা বেশীরভাগ মানুষই যে সমস্ত জামা কাপড়ে সহজেই ভাজ পড়ে যায় সেগুলোকে ঝুলিয়ে রাখতে পছন্দ করি, যাতে ভাজ না পরে আর কাপড় কুঁচকে না যায়। ক্লসেটের এই ঝুলন্ত কাপড়ের নীচে আমাদের অনেক বাড়তি স্পেস অবশিষ্ট থাকে। সেই অতিরিক্ত জায়গা ব্যবহার করলে কিছু অতিরিক্ত স্টোরেজ স্পেস তৈরি হতে পারে। সেই বেঁচে যাওয়া জায়গায় গহনা বাক্স থেকে শুরু করে যেকোন কিছু আপনি রাখতে পারবেন। বাড়তি এই স্পেসটুকু ব্যবহার করলে দেখবেন ক্লসেটের অনেকটুকু জায়গা আপনি কাজে লাগাতে পারছেন।
শেলফ ডিভাইডার ব্যবহার করুন
যারা ক্লসেটে বাড়তি স্পেস চান তাদের জন্য শেলফ ডিভাইডার জাদুর মত কাজ করবে। শেলফ ডিভাইডার এই ছোট ক্লসেটগুলোতে স্পেস বাড়াতে সহায়তা করে, এছাড়াও ক্লসেটে শেলফ ডিভাইডার ব্যবহার করার আরও কিছু কারণ আছে। সবচেয়ে প্রথমে যে বিষয়টি আসবে সেটা হচ্ছে এগুলো বেশ সাশ্রয়ী। কাঠ মিস্ত্রী হায়ার করার থেকে এই শেলফ ডিভাইডারগুলো অবশ্যই বেশি সাশ্রয়ী। এটি যেকোন বাক্সের তুলনায় কম জায়গা নেয় যার ফলে সবকিছু চোখের সামনে এবং নাগালের মধ্যে থাকে। এছাড়াও, শেলফ ডিভাইডার সহজেই ইনস্টল করা যায় এবং আপনি চাইলে সরিয়ে নিয়েও রাখতে পারবেন।
ঝুড়ি ব্যবহার করুন
ক্লসেটের স্পেস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঝুড়ি হচ্ছে আপনার লাইফ সেভার । ছোট ক্লসেট স্পেসের জন্য সহজ কিছু টিপস এর ভেতর ঝুড়ির ব্যবহার হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরী টিপস। ঝুড়ি ব্যবহার করার সুবিধা হচ্ছে এগুলো আকারে ছোট হলেও যথেষ্ট স্টোরেজ থাকে তাই অনেক কিছু সহজেই এটে যায়। ক্লসেটে এগুলো রাখলে ক্লসেট বেশ সাজানো গোছানো লাগে আর সুন্দর দেখায়। প্লাস্টিক থেকে কাঠ বিভিন্ন ধরনের ঝুড়ি রয়েছে, যা আপনি আপনার ক্লসেটে বাড়তি স্পেস তৈরি করতে ব্যবহার করতে পারেন। এই ঝুড়িগুলো আপনার পছন্দ অনুযায়ী বাজারে ছোট থেকে বড় বিভিন্ন সাইজে বেশ সুলভমুল্যে পেয়ে যাবেন।
মৌসুম অনুযায়ী গুছিয়ে রাখুন
আমাদের অনেকেরই একটি করে লেদার জ্যাকেট থাকে যেটাকে শত পছন্দ হলেও শীতকাল ছাড়া একদমই পরা যায় না। কবে বছরঘুরে শীতকাল আসবে সেই অপেক্ষায় থাকতে হয়। তাই এই ধরনের জামাকাপড় যেগুলি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ঋতুতে পরা যায় সেগুলোকে ক্লসেটে না রেখে বরং অন্য কোথাও রাখার ব্যবস্থা করুন। বেডের নিচে কিংবা ক্লসেটের উপর এই পোশাকগুলো রাখুন। ঋতু অনুযায়ী ক্লসেট পুনরায় গুছিয়ে নিন। এতে কিছু বাড়তি জায়গা পাবেন।
দরজাগুলো ব্যবহার করুন
ক্লসেটের দরজাগুলো স্টোরেজ স্পেস হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আমরা অনেকেই এই উপায়টি ব্যবহার করি না, কিন্তু এতে অনেকটা বাড়তি স্পেস বের হয়। কিছু হুক এবং ডিভাইডার যোগ করে স্কার্ফ, গয়না এমনকি আপনার মোজাগুলোও ক্লসেট ডোরে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। তবে দরজায় ভারী কিছু ঝুলাচ্ছেন কিনা সে বিষয়ে খেয়াল করুন নয়তোবা ক্লসেট ডোর ভেঙে যেতে পারে। সহজে খোলা ও বন্ধ করা যায় বলে কেউ কেউ ক্লসেটের দরজা হিসেবে স্লাইডিং ডোর ব্যবহার করতে ভীষণ পছন্দ করেন।
ডিক্লাটার করুন নিয়মিত
ছোট ক্লসেট স্পেসের জন্য সহজ কিছু টিপস গুলোর ভেতর সবচেয়ে সহজ হচ্ছে নিয়মিত ডিক্লাটার করা। ক্লসেটের অপ্রয়োজনীয় পোশাকগুলো আলাদা করুন। যে কাপড়গুলো আর ব্যবহারে আসবে না সেগুলোকে সরিয়ে রাখুন। আপনি তিনটি উপায়ে ডিক্লাটার করতে পারেন, পোশাক বিক্রি, দান বা পুনর্ব্যবহার। এই তিনটি উপায়ের যেকোন একটি বেঁছে নিতে পারেন। আজই সিদ্ধান্ত নিন কোন উপায়ে আপনি ডিক্লাটার করতে চাচ্ছেন।
এই কয়েকটি উপায়ে আপনি ছোট ক্লসেটও বাড়তি অনেক স্পেস বের করে নিতে পারবেন। ক্লসেট থেকে সবসময়ই অপ্রয়োজনীয় কাপড় সরিয়ে রাখুন এতে সবসময়ই আপনার ক্লসেটে কিছু স্পেস বের হবে।