Reading Time: 8 minutes

ঢাকার জনজীবন ব্যস্ততার মোড়কে বন্দী। আবহাওয়া এখানে স্বস্তির সংগী নয়, বরং হয়ে ওঠে নিত্য যাতায়াতের ও জীবন যাপনের পথে অন্যতম বিঘ্নের নাম। বছরের প্রায় পুরোটা জুড়ে এমনটাই হয়। তবে দৃশ্যপট বদলায় শীতে। শীতের আগমনে কমে দিনের দৈর্ঘ্য, বাতাসে বয় আদুরে শীতলতা। সকালবেলা যেন তা আরো ভালো করে বোঝা যায়। এ শহরে শীতের সকাল দেখার বা অনুভবের ফুরসত মেলা ভার। তবে হাজারো নাগরিক ব্যস্ততায়ও চোখ মেলি আমরা, মুগ্ধ হই কুয়াশার চাদরে। শীতের সকালের সেইসব মুগ্ধতার কথাই জানাচ্ছে আমাদের ব্লগ লেখকেরা।

ঢাকা
শীতের সকালে ঢাকার রাস্তা

শীতের প্রথম সকালঃ কোন পুরাতন প্রাণের টানে?

ঘুম ভেঙে ঘরের মেঝেতে পা রাখতেই ঠাওর করলাম হেমন্তকে টপকে শীত আসছে এ শহরে। কনকনে মেঝে পেরিয়ে সোজা গিয়ে দাড়ালাম ব্যালকনিতে। কুয়াশায় ঢাকা সকাল; এ বছরে এই প্রথম! কুয়াশা মাখা এ শহর বারাবরই তো আমার ছিল! তবে আমার কাছে শীত ঋতু যত না বেশি উপভোগের তার চেয়ে অনেক বেশি উপলব্ধির, অনেক বেশী অতীত যাপনের। মনে পড়লো কত শীতের রাত্তির, চোখের সামনে ভোর হয়ে গেছে পলাশীর মোড়ে! কত অসংখ্য শীতের সকাল ফেলে এসেছি টিএসসির মোড়ে বারেক মামার ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে! কত অসংখ্যবার খড়কুটো জ্বালানো আগুনের উত্তাপ ভাগ করে নিয়েছি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছিন্নমূল শিশুদের সাথে! 

এত সব ভাবতে ভাবতে, হঠাৎ ফোনের এলার্ম জানান দিল, হাতে আছে মাত্র ১৫ মিনিট। অথচ এমন একটা সকালে অফিসের চেয়ে আমায় অনেক বেশি টানে হলদে রঙের সরিষা ক্ষেত, হাড়ি ভর্তি খেজুরের রস আর ধোঁয়া ওঠা গরম ভাপা। সব পুরাতন প্রাণের টান উপেক্ষা করে জীবিকার প্রয়োজনে তৈরি হয়ে ছুটলাম অফিসের পথে। এই পথটুকুও আমার জন্য কম রোমাঞ্চকর নয় যদিও। শীত থেকে গ্রীষ্ম, দেশের অধিকাংশ মানুষ যেখানে নগর-সড়কের তীব্র যানজট ঠেলে গন্তব্যে পৌঁছায়, এই সব সকালগুলোয় সেখানে আমার ভ্রমণসঙ্গী হাতিরঝিলের ইঞ্জিনচালিত কমলা রঙের নৌযান। শীতের প্রথম সকালে জল-হাওয়ার এতো কাছাকাছি থাকার সুযোগ আমার জন্য আশীর্বাদ বৈ কি! অভ্যাসবশত শীতের পোশাক গায়ে জড়িয়ে বের হই নি। ফলে মৃদুমন্দ হাওয়ায় গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে। লিপ্সটিকে অনভ্যস্ত ঠোঁট, ভ্যাসলিনের প্রয়োজন অনুভব করছে। শরীর অভাববোধ করছে এক প্রস্থ শাল বা সোয়েটারের। এমন অভাবগুলোই শীতের সকালকে আরেকটু কাছে এনে দেয় বোধ হয়। চোখের সামনেই কেটে যেতে থাকে কুয়াশার আস্তরণ। সূর্যিমামার সোনালি উত্তাপে তখন তীব্রতা কম, আহ্লাদ বেশি। ঝিলের জলে ভাসতে ভাসতে উঁচু উঁচু ভবনে গিয়ে চোখ থামে। প্রশ্ন জাগে, এই ভবনগুলোর বাসিন্দারাও কি টের পাচ্ছে, শীতের প্রথম সকাল আজকে? তাদের কেউও কি আমার মত গল্প জড়ো করছে মনে মনে? 

ভাবনার দোলাচল শেষ না হতেই নৌকা পৌঁছে গেছে গুদারাঘাট, গুলশান; আমার নিত্যদিনের গন্তব্যে। তবে বোট থেকে নামার পরের দৃশ্যটা ঠিক নিত্য দিনের মত ছিল না। প্রত্যক্ষ করলাম, ঝিলের ধারেই ছেঁড়া কাঁথা গায়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে এক পিতা ও পুত্র। দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করা এই মানুষগুলোকে আমি বলি পথমানব। মনে পড়লো, এই পথমানবদের জন্যও তো আজকে শীতের সকাল! বস্ত্র ও বাসস্থানের অভাব ওদের শীতের সকালগুলোকে সুন্দর হতে দেবে তো?

– নীলা নুসরাত

Early Morning Run

Beep beep beep beep! The sound of the alarm clock startled me as I woke up from my deep slumber. It’s 5:30 in the morning, and I’m wondering why I chose to go through this hellish ordeal of getting up so early, especially in such cold weather. I go to the bathroom to freshen up and wash my face. Each splash of water feels like sharp icicles hitting my face. As I get back into my room to get ready, I look out the window, and marvel at how quiet and peaceful Dhaka looks. I put on my jacket and my running shoes as I get ready for my morning run at Ramna Park.

As I headed out of my house, I am greeted by a thick cloud of fog. And I can see the condensation of my breath. The streets are mostly empty, with only the local tea stall being prepped for opening. I say hi to the tea seller and take a glance at the steaming hot kettle of tea that he’s preparing. He offers me a cup, and I take a sip of the piping hot tea. Feels like bliss in the blistering cold. As I’m walking towards the park, something feels amiss. The generally hectic city feels devoid of any sign of life. No cars, no buses, no people. The eerie silence is deafening. I put on my headphones and started playing some music. I can see Ramna Park on the horizon, covered by a thick layer of fog.

I enter the park and call my friend, who was supposed to be joining me today. He hasn’t woken up yet. I sigh, and prepare myself to begin a brisk lap around the park. Before I start, I take a deep breath, and look at my surroundings – the magnificent tall trees, picturesque lake, birds chirping, and the sweet scent of winter flowers. There’s nothing better than a winter morning in Dhaka.

– Safir Zawad

শহর
শীতের সকালে শহুরে দিগন্ত

শীতঃ অনুভবের প্রহর!

খুব হিসেব করে খেয়াল করেছি বললে মিথ্যে বলা হবে। এবার প্রথম দেখা হঠাৎ করেই, আমার ফ্ল্যাটবাড়ির বারান্দায়। রোজকার অভ্যেসমতো বারান্দায় দাঁড়িয়ে দিনের প্রথম চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছিলাম, লাজুক ধূসরতায় ঢাকা ‘তার’ অস্তিত্ব এড়ানোর উপায় ছিলো না। এমন ধূসরতা কেন যেন বরাবরই এক অজানা আকাঙ্ক্ষার জন্ম দেয়। হয়তো ফিরে যেতে বলে কোথাও, ফেলে আসা কোনো সময়ে। এক নিমিষে মনে করিয়ে দেয় লাল সোয়েটারে মোড়ানো শৈশব, যেখানে ফেলে এসেছি কুয়াশায় ঘেরা সাদা বিল্ডিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সকাল। অফিস যাওয়ার তাড়ায় বেশিক্ষণ স্মৃতিতে বসবাসের সুযোগ মেলে না এই সাত সকালে। তবে ‘তার’ অস্তিত্ব ঠিকই জড়িয়ে থাকে নাস্তার টেবিলে, এমনকি যাত্রাপথেও। 

সারাক্ষণ মনে হয় যেন দূর দেশ থেকে এসেছে প্রিয় কোনো আত্মীয়। আরো একটু ভালো করে তাই জড়িয়ে নেই নীলরঙা শালের ওম, হেডফোনে বেজে ওঠে ডিসেম্বরের এক শহরের গান। ইচ্ছে করেই চেষ্টা করি খেয়াল করতে, বুঝতে চাই ‘তার’ উপস্থিতি। ফিরে তাকাই সংসদ ভবনের দিকে। এবারও সে হতাশ করে না আমাকে। কুয়াশার ধূম্রজালে ঢেকে গেছে লুই কানের স্থাপত্য, কিন্তু তবু ‘তার’ উপস্থিতি একদম স্পষ্ট । বাতাসে ভেসে আসে ‘তার’ ঘ্রাণ, মনে করিয়ে দেয় কৈশোরে উপহার পাওয়া প্রথম ডেনিম জ্যাকেটের কথা। উপহার, উৎসবের সাথে ভীষণ সখ্য ‘তার’। আনন্দের সবগুলো উপাদান যেন প্রাণে ধারণ করে সে, একটুক্ষণের জন্য এসেও বলে যায় উদযাপনের গল্প। তাই মুঠোফোনে লিখি সন্ধ্যার প্ল্যান, দেখতে চাই প্রিয়মুখ। 

লিখতে লিখতেই চোখ মেলে রাখি গাড়ির জানালায়। তীব্র হচ্ছে আলো, অস্পষ্ট হচ্ছে রহস্যমাখা কুয়াশার আবরণ। গাড়ি থেকে নামতেই আরামদায়ক উষ্ণতার ছোঁয়া টের পাই আমি। তাড়াহুড়ো করে অফিসে ঢোকার আগে এক পলকে দেখে নেই ব্যস্ত পথিকদের। ‘তার’ আগমনী বার্তা পেয়েছেন ক্যাম্বিসের ব্যাগ কাঁধে হাটতে থাকা মাঝবয়সী চাকুরীজীবিও। ‘তার’ আদুরে উপস্থিতি টের পাচ্ছে কফিশপের বারান্দায় বসা ভিড়ও। তাই কেউ গায়ে জড়িয়েছেন পাতলা শাল, কারো সঙ্গী হয়েছে প্যাস্টেল রঙা কার্ডিগান।
ছয়তলার কাঁচঘেরা ভবনে বসে হয়তো সারাদিন আর তেমনভাবে ‘তার’ সাথে দেখা হয়না আমার। তবু দিনের শুরুতে এই খানিকক্ষণের দেখা হওয়াই যেন অনেক বড় পাওয়া। কাজে ডুব দেয়ার আগে তাই আরো একবার ফিরে যাই স্মৃতির কাছে, মনে করি বহু বছর আগের এক সকালের কথা। সেদিন সকালে বাংলা ২য় পত্র রচনার খাতায় ‘তার’ বর্ণনায় তাই লিখেছিলাম,

“শীত আদতে ঋতু নয়। একে আমি আদর করে নাম দিয়েছি ‘অনুভূতি’!”

– তাবাসসুম ইসলাম

A Worthwhile Struggle

Waking up on a cold winter morning is an adventure of its own. It starts off with a mental battle of deciding to get up, leads into physical combat with my blanket, and ends with my face diving into cold water.

At 5:30 in the morning, this definitely feels like punishment. But there is so much to look forward to that pushing through becomes natural. At 12 degrees, I put on my shorts, long socks, throw on a tee and a jacket over that. A pair of sneakers complete my ensemble and I step out of the house.

‘It’s much colder outside’ I realize I had a room heater in my room when I was putting on my shorts. But I’m committed and there is no turning back. I peer through the morning fog and call for a rickshaw to get me to where I need to be. 6 am, and I feel like I may be late. But my rickshaw puller feels the cold too and addles his hardest to stay warm. The fog seeps in through every gap in my clothes; the shorts don’t help.

It’s white almost all around, as far as can be seen at least – which isn’t very far at all. The only living things to be seen are stray animals, plants, and a few other people moving about slowly, questioning why they are up so early on a wintery Friday morning.

I reach where I need to be at 6:05 AM on a Friday morning; the basketball court. I’m proud to see the team I coach shaking in the cold, but all present and ready for practice. There’s nothing like a tough basketball practice session to start a cold wintery morning.

– Neamul Islam Maleque (Nemo)

কুয়াশা
ঢাকার কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল

একজন পেশাজীবির শীতের সকাল

টেবিল ঘড়ি মায়াবী ক্রিং ক্রিং শব্দে বেজে ওঠা সেই দিনগুলো এখন আর নেই। সে জায়গা দখল করে নিয়েছে মুঠোফোনের অ্যালার্মের আওয়াজ। কোন এক শীতের সকালে সেই মোবাইলফোনের অ্যালার্মের শব্দেই ঘুম ভাঙ্গে একজন পেশাজীবির। এই সকালটি কেমন যাবে সেটি পুরোই নির্ভর করে সপ্তাহের কোন দিনের সকাল এটি, তার উপরে। কেননা একজন পেশাজীবীর শীতের সকালকে মোটাদাগে দুই ধরণের সকালে ভাগ করা যায়। একদিকে আছে যে সকালে তার কাজ থাকে বা কর্মদিবসের সকাল, অন্যদিকে যে সকালে তার কাজ থাকে না অর্থাৎ ছুটির সকাল। 

অফিসের ডেস্ক জব হোক কিংবা বাইরে, প্রতিদিনের কাজে মনোযোগ দেয়া, ঠিক সময়ে অফিসে যোগ দেয়া সবসময়ই ক্লান্তিকর একটি কাজ। আর সে কাজ আরও কঠিন হয়ে ওঠে একটি শীতের সকালে। কম্বল কিংবা কাঁথার আরামদায়ক উষ্ণতা ছেড়ে প্রতিদিনের কাজের জন্য তৈরী হওয়াটা চ্যালেঞ্জরই বিষয় বটে। তাই আধবোঁজা চোখে, হাতড়িয়ে হাতড়িয়ে বন্ধ করার সময় সেই মুঠোফোনের শ্রতিমধুর অ্যালার্মের শব্দও কানে বাজে কর্কশ হয়ে। এরপরের রুটিনমাফিক কাজগুলো তো আরও একঘেয়ে। ফ্রেশ হওয়া, নাস্তা তৈরি, গণপরিবহনে বা নিজস্ব বাহনে কর্মস্থলে গমন, সঠিক সময়ে অফিসে এন্ট্রি আর প্রাত্যহিক কাজে ডুব। 

এসব গৎবাঁধা কাজের চাপে শীতের সকালে যে পাখিটা গান গেয়ে ওঠে, যে কুয়াশার চাদরে মুড়ে যায় গোটা শহর, পথের ধারে আগুনের ওম নেয় যে শিশু কিংবা খেঁজুরের রসের হাড়ি নামিয়ে নিয়ে আসার মত দৃশ্যগুলো রয়ে যায় চোখের আড়ালেই। চাপা পড়ে যায় একটু দেরী করে বিছানা ছাড়া কিংবা সময় নিয়ে তৃপ্তির সাথে নাশতা করার মত ছোট ছোট ইচ্ছেগুলোও। 

তবে ছুটির দিনে আমাদের পেশাজীবির সেই একই শীতের ভোর দেখা দেয় অন্য রূপে রাঙা হয়ে। সেদিন চাইলেই অ্যালার্ম বন্ধের বাটন না ছুঁয়েই পার করে দেয়া যায় পুরো সকাল। ইচ্ছে করলেই আড়মোড়া ভাঙা যায় একটু বেলা করে। এমন শীতের সকালের কাঁচা রোদ্দুর গায়ে মাখতে আবার বাইরে বেরিয়ে পড়েন স্বাস্থ্য সচেতন কিংবা শখের সাইক্লিস্টরা। কুয়াশাভেদ করে কাঁচা রোদ স্পর্শ করে তাদের শরীর, আর তাদের পায়ের জুতো কিংবা সাইকেলের চাকা চুমু খেয়ে যায় কুয়াশা ভেজা রাস্তাকে। 

এমন কোন ছুটির দিনের শীতের সকালে তাই কেউ হারিয়ে যেতে চান শহরের কোলাহল থেকে দূরে, পায়ে মাখতে চান ভোরের শিশির, চুমুক দিতে চান সদ্য গাছকাটা খেঁজুরের রসে। আর কেউ আরও আপন করে নেন নিজের বিছানাকে, লেপ বা কম্বলের মাঝে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নেন নিজেকে আরেকটু উষ্ণ রাখতে!

– শাহরিয়ার রহমান

Watching air turn to gold

We didn’t sleep the entire night out of thrill. But it escalated quickly as soon as we got out of our house. The next thing we knew, we were shivering, and our teeth chattering. The nasty cold was getting to our bones. The frigid grip of winter had us for good. On top of that, it was windy. One of my friends told me the cold was tolerable but we found it hard to believe him.

It was excruciating for us to even move at a temperature of 14 degrees. It was 5 am in the morning, and we had only an hour and a half to reach Jahangirnagar University. It was still pitch black everywhere, and the dense fog accompanied by the wind made it even worse. We could even see the condensation of our breath. But we kept marching towards the main road cutting through the brume.

We called an Uber to get us to Jahangirnagar University as early as possible. It was getting bright outside at 5:45 AM and we were at Savar. We started to wonder if we would miss the sunrise. But thanks to our Uber rider and the almost empty road we reached Jahangirnagar University at 6:10 AM. We started running as soon as we got off the car and it felt like getting hit by thousands of icicles as the foggy wind was seeping through every part of my clothes. We finally reached our desired destination at 6:20 AM.

I am not a morning person, saying otherwise would rather be deceiving but, oh boy, do I love the morning in winter. The sun blooms, at last, on the horizon stretching ever outward into the rich blue and through the misty cloud. The golden hue of the sun beamed through the dense fog creating thousands of tiny little holes in them. It was magic, like seeing air turning into gold. 

I love the misty morning weather, I love the morning dew that appears on the tree leaves, I love the earthy scent but more than that I love the sunrise in winter. We were happy that we made the choice to be there.

– Sadik Hasan Khan

শীতের সকাল একেকজন অনুভব করে একেকভাবে। তাই আমাদের বিভিন্ন ব্লগ লেখকদের লেখায়ও ফুটে উঠেছে একই শহরে শীতের সকালের নানা রূপ-রহস্য। কমেন্টস বক্সে জানিয়ে দিন কেমন লাগলো এই ব্লগ বা শেয়ার করুন আপনার প্রিয় শীতের সকালের কথা। 

Write A Comment