গোটা বিশ্ব এখন এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ নামক রোগের বিস্তার দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ার জন্য সমস্ত বাংলাদেশ এখন লক ডাউন অবস্থায় চলে এসেছে। বিশ্বের অনেক দেশ এই অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও এই প্রাণঘাতী রোগের নিরাময় খুঁজে পাওয়া যায়নি তাই দেশ বিদেশে নেওয়া হচ্ছে নানারকম কঠোর পদক্ষেপ। বাংলাদেশে, সরকার সারা দেশে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের জন্য সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস এবং সুপারমার্কেট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু, বাজার বা মুদির দোকান কী বন্ধ রাখা সম্ভব? এই করোনা দুর্যোগ শেষ হওয়া পর্যন্ত কি অনাহারে থাকবেন আপনি? তা নিশ্চয়ই না। তাই কোন খাদ্য পণ্য কেনার আগে আপনার জানা প্রয়োজন ঢাকার বাজারের অবস্থা কেমন? কিভাবে আপনাকে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হবেন। দেখে নিন এখানে…
সামাজিক দূরত্বের অভাব
যদিও সরকার সামাজিক দূরত্ব নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে, কিন্তু অনেকেই হয়তো এই সম্বন্ধে জানে না কিংবা জেনেও মানছে না। যার ফলে এই ভাইরাস রোধ করা কঠিন হয়ে পরেছে। এই জন্য রান্নাঘরের জন্য বাজার করাটাও বেশ কঠিন হয়ে পরেছে। মানুষদের মাঝে এই সামাজিক দূরত্বটা বজায় রাখতেও দেখা যাচ্ছে ভীষণ এক অনীহা। যদিও তারা মাস্ক পরছে কিন্তু, এই সামাজিক দূরত্বটা কোন ভাবেই মানছেন না। এক ফুটের ভেতর সকলে দাঁড়িয়ে বিল কাউন্টারে ভিড় করতে দেখা গেছে। সুতরাং, সুপারশপ হোক কিংবা বাজার যেখানেই যান না কেন এই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। কেননা আপনি কেবল আপনার ঘরের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।
সু-স্বাস্থ্য বজায় রাখা
সু-স্বাস্থ্য বজায় রাখা এই কঠিন সময়ে আমাদের আর একটি প্রধান কাজ। আমরা ঘরে থেকে নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে যাচ্ছি। কিন্তু যখন বাইরে যাচ্ছি তখন এই সব সচেতনামূলক পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে না। অনেকেই দেখা গেছে কাশি এবং হাঁচি নিয়ে ঘোরাফেরা করছে এবং কেনাকাটাও করছে। বাজারে বা বাসার বাইরে এই সকল পদক্ষেপগুলো মেনে নেওয়ার কোন লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। যদিও দোকান বা বাজারে কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গেছে কিন্তু মানুষ সচেতন নয় দেখে তেমন কোন কাজে আসছে না। সুতরাং বাজারের দিকে পা বাড়ানোর আগে আপনাকে খেয়াল করতে হবে সকল নিয়ম কানুন মেনেছেন নাকি না!
পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ এবং মূল্য বৃদ্ধি
সাম্প্রতিক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ রয়েছে” তাই বেশি করে খাদ্য পণ্য ক্রয় করে ঘরে মজুদ করবার দরকার নেই। কিন্তু, এই ব্রিফিং এর অনেক আগেই এক ধরণের ভয় সকলের মধ্যে ছড়িয়ে যায় সবাই খাদ্য পণ্য কিনে ঘরে মজুদ করতে লাগলেন। যার ফলে বাজারে খাদ্য সংকট দেখা দেয়, এর ফলে চাল সহ বিভিন্ন প্রধান খাবারের দাম বাড়ছে। তাই এখন কিছু কিনতে গিয়ে খাবারের দাম কিছুটা বাড়লে অবাক হবার কিছু নেই।
বেশীরভাগ দোকান এখন বন্ধ
লকডাউন হবার সাথে সাথেই অনেক মানুষ তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। যার কারণে অনেক দোকানপাট বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সংকটের এই সময়ে কিছু দোকান বন্ধ থাকতেই পারে, দিনেশেষে এটা ভুললে হবে না যে, তারাও মানুষ। ঢাকার বাজারের অবস্থা আগে এমন ছিল যে ছুটির দিনগুলোতে পা রাখার জায়গা নেই অথচ এখন সবসময় ই কম মানুষ দেখা যায়।
বাংলাদেশ সরকার কোভিড -১৯ এর বিস্তার রোধে দেশের সকল নাগরিকদের ঘরে বসে থাকার জন্য অনুরোধ করছে। বেশি প্রয়োজনে অনলাইন সেবা নিতে ভুলবেন না। ঘরে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। নিজেকে ও ঘরকে সুরক্ষিত রাখুন।
1 Comment
Good trips
Thanks