৫৮ হাজার কোটি টাকার বাজার মূল্য এবং ১৫-১৭% বাৎসরিক প্রবৃদ্ধি যে সেক্টরের রয়েছে, সেখানে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া যেন সবসময়ের জন্যই সঠিক। বলছি রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ এর কথা। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত রিয়েল এস্টেট। এমনকি চলমান এই খাতে কোন ধীরগতি বা বড় ধরনের কোন ধরনের পরিবর্তন আসবে, এমনটিও কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সর্বশেষ আদমশুমারি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে আবাসনের মোট চাহিদা ছিল ৮ লাখ এবং ২০৩০ সালে এই সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর তাই এরকম ঊর্ধ্বমুখী বাজারের অবস্থা যেখানে বিদ্যমান, সেখানে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি সমূহ এর তালিকা আর বৃদ্ধি পাবে এমনটাই স্বাভাবিক।
আর হবেই বা না কেন, বাড়ি নির্মাণ সম্পর্কে যাদের ধারণা কিছুটা সীমিত কিংবা যারা সরাসরি বাড়ি নির্মাণের সাথে যুক্ত হতে চান না, তাদের কাছে বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি সমূহ ওয়ান-স্টপ ডেসটিনেশনই বলা যায়।
এমনকি বাস্তবেও এই একই চিত্রই যে লক্ষণীয়। ঢাকার প্রায় ৪২% বাসাই রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কোম্পানি সমূহ এর দ্বারা নির্মাণ করা। আর হবেই বা না কেন; বিশ্বস্ততা, ঝামেলা এড়ানো এবং লাভের কথা চিন্তা করলে দীর্ঘমেয়াদে এর সুবিধাই যেন অনেক। আর তাই অনেকেই এখন আর বাড়ি নির্মাণের এই ঝক্কি-ঝামেলায় পড়তে চান না। বরং নিশ্চয়তার সাথে নির্ভর করেন বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি সমূহের উপর। আর এই তালিকায় আপনিও যদি এমনই একজন হয়ে থাকেন, তবে নিশ্চিত ভাবেই আপ অ্যান্ড কামিং বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি সমূহ সম্পর্কে জানতে আপনিও বেশ আগ্রহী হবেন।
আর তাই আপনার সুবিধার্থে আজকের ব্লগে আপ অ্যান্ড কামিং বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি সমূহ এর একটি তালিকা এবং তাদের সম্পর্কে কিছু তথ্য আজকের ব্লগে দেয়া হল। আশা করছি আপনি বেশ উপকৃতই হবেন।
সিমকো হোল্ডিংস লিমিটেড
বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি সমূহ এর মধ্যে আপ অ্যান্ড কামিং এর তালিকায় সিমকো হোল্ডিংস লিমিটেড অন্যতম। গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করে সাশ্রয়ীমূল্যে বাড়ি নির্মাণ করার লক্ষ্যে সিমকো হোল্ডিংস লিমিটেড শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৫ সালে সিমকো এর ডেভেলপার কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে গত ৩২ বছর ধরে ম্যানুফেকচারিং সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে সিমকোর।
তবে বর্তমানে মোজাফফর গার্ডেন সিটি, সিমকো হোল্ডিংস লিমিটেড এর সম্পন্ন করা একমাত্র প্রজেক্ট। তবে এছাড়াও এই ডেভেলপার কোম্পানি আরও ২টি প্রজেক্টে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সিমকো আনারকলি টুইন টাওয়ার (১০ তলা বিল্ডিং কমপ্লেক্স) এবং জরিনা গার্ডেন সিটি (১২ তলা বিল্ডিং কমপ্লেক্স), যার মধ্যে একটি যথাক্রমে গেণ্ডারিয়া এবং অন্যটি দক্ষিণ খানে অবস্থিত।
ঠিকানা: এবিসি স্কাইরাইজ (১৩ তলা), ২৬ শাহ জালাল এভিনিউ, আজমপুর সেক্টর-৪, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০
যোগাযোগ– +৮৮০-০২-৮৯২১৬০৪, ৮৯২৩৮২৯
মোবাইল– ০১৭৭২২৫৫৯৯৮, ০১৭৭৮৪৭২৪১২
ইমেইল– marketing@simcocorp.com
জিও প্রপার্টিজ লিমিটেড
রেসিডেন্সিয়াল এবং কমার্শিয়াল প্রপার্টি নির্মাণের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব এবং আভিজাত্যের এক উদাহরণ হিসেবে বর্তমান সময়ে জিও প্রপার্টিজ লিমিটেড বেশ পরিচিত। এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে ২০০৬ সালে। বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো জুড়ে রেসিডেন্সিয়াল এবং কমার্শিয়াল প্রপার্টির কন্সট্রাকশন এবং ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক বিভিন্ন প্রজেক্টসে কাজ করার উদ্দেশ্যেই জিও প্রপার্টিজ লিমিটেড এর যাত্রা শুরু। আর এ লক্ষ্যে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে এবং উন্নত আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জিও প্রপার্টিজ লিমিটেড এর এই পথচলা।
তবে এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলতে হয় তাদের সাইট নির্বাচনের ব্যবস্থার কথা। কেননা প্রতিটি সম্ভাব্য প্রজেক্টের সাইট নির্বাচনের ক্ষেত্রে, তারা বিশেষ বিবেচনায় রাখে সংশ্লিষ্ট সে এলাকায় কী কী সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এবং এর সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, হাসপাতাল, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যাতায়াত ব্যবস্থা, পার্ক এবং বিনোদন কেন্দ্র এর ব্যবস্থা রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে সাম্প্রতিক সময়ে জিও প্রপার্টিজ লিমিটেড এর ২টি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে সার্কুলার রোডে অবস্থিত জিও আল মনসুর প্যালেস এবং কলাবাগানে অবস্থিত জিও শৈলী গার্ডেন অন্যতম।
ঠিকানা: বাড়ি- ৪২/১ (২য় তলা), রোড- ০৫, ধানমন্ডি, ঢাকা – ১২০৫
যোগাযোগ– +৮৮ ০২ ৫৮৬১-৩৯-৫৭
ইমেইল– geopropertiesltd@yahoo.com
এসকিউব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টস
বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি সমূহের মধ্যে চট্টগ্রাম শহরের এসকিউব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টস কোম্পানি স্বনামধন্য ডেভেলপার কোম্পানি গুলোর মধ্যে একটি। চট্টগ্রামে এই রিয়েল এস্টেট কোম্পানির বেশ সুপরিচিতি রয়েছে। গুণগত মান, অত্যাধুনিক নির্মাণ প্রযুক্তি, নান্দনিকতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট এসকিউব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টসকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলেছে। আর তাই এসকিউব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টস এর উপর মানুষের আস্থাও আছে উল্লেখ করার মতো।
ইতোমধ্যে এসকিউব এর একটি প্রজেক্ট এসকিউব সায়েদ এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে, তবে অন্যান্য আরও কিছু প্রজেক্ট নিয়ে কাজ চলছে।
ঠিকানা– ১০২, সিডিএ এভিনিউ, চট্টগ্রাম ৪০০০, বাংলাদেশ
যোগাযোগ– ০১৮১৯৮৪৪৬১০
এয়ারবেল ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিস লিমিটেড
চট্টগ্রামের অন্যতম ব্যস্ততম এরিয়া জামাল খান রোডে অবস্থিত এয়ারবেল ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিস লিমিটেড এর প্রধান কার্যালয়। বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোর মধ্যে এই কোম্পানি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সুখ্যাতি অর্জন করেছে। রেসিডেন্সিয়াল এবং কমার্শিয়াল প্রয়োজনে গ্রাহকের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ২০০৪ সালে এয়ারবেল ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিস এর যাত্রা শুরু করে। বছরের পর বছর ধরে বিশ্বাসের সাথে কাজ করার মধ্য দিয়ে এবং কাজের গুণগত মান ধরে রাখার মাধ্যমে গ্রাহকদের মাঝে সুনাম ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তবে শুধু চট্টগ্রামেই নয়, ঢাকা এবং কক্সবাজারেও এয়ারবেল ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিস লিমিটেড এর বেশ পাকাপোক্ত অবস্থান রয়েছে। বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি সমূহ এর মধ্যে এয়ারবেল ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিস লিমিটেড বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে, এর মধ্যে এয়ারবেল হিলিয়ান্থাস, এয়ারবেল এমএফ টাওয়ার, এয়ারবেল পুল ভিউ এবং এয়ারবেল স্বপ্নছায়া অন্যতম। তবে ইতোমধ্যে কক্সবাজারে অবস্থিত হোটেল দ্য কক্স টুডে সহ ৭টি প্রজেক্ট হ্যান্ডওভারও করা হয়ে গিয়েছে।
চট্টগ্রাম অফিস
ঠিকানা- প্যাসিফিক টাওয়ার (২য় তলা), ২০৬/২১৭ জামাল খান রোড, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।
যোগাযোগ- ০১৭৩০০২৪৯০৩ – ০৭, ৮৮০-৩১-৬২৮১৮৯, ২৮৫৩৯৩১-২
ফ্যাক্স- ৮৮০-৩১-২৮৬২৮১৯
ইমেইল- info@airbellbd.com
ঢাকা অফিস
ঠিকানা– ফিরুজা গ্রিন, বাড়ি- ০৯, ফ্ল্যাট- বি-১ (৪র্থ তলা), রোড- ০৭, ব্লক- এফ, বনানী, ঢাকা- ১২১৩, বাংলাদেশ।
যোগাযোগ– ০২-৪৮৮২৬৩৮/৮৫
বাড়ি নির্মাণের কাজ খুব সহজ কিছু নয়, বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাড়ি নির্মাণের খরচ যখন আসলেই বেশি, তখন কাজটা যেন আরও কঠিন হয়ে যায়। আর এ জন্যই বেশিরভাগ মানুষ বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে ডেভেলপার কোম্পানিগুলোর উপর নির্ভর করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এক্ষেত্রে প্রপার্টি কেনার জন্য অথবা বাড়ি নির্মাণের জন্য আপনি যদি কোন বিশ্বস্ত এবং সুখ্যাতি সম্পন্ন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির খোঁজ করে থাকেন, তবে উপরে উল্লেখিত উদীয়মান বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি গুলোকে বিবেচনায় রাখতে পারেন।