Reading Time: 4 minutes

বাড়ি ভাড়া দেয়ার পুরো প্রক্রিয়াটিই বেশ কষ্টসাধ্য ও জটিল। একদিকে আছে পছন্দসই ভাড়াটিয়া খোঁজার দীর্ঘ ক্লান্তিকর পর্ব, আরেকদিকে আছে ভাড়ার নিয়মনীতি সহ লিগ্যাল পেপার তৈরির তাড়া। আধুনিক নাগরিকের অন্যতম চাহিদা জীবনকে সহজ করে তোলা; ঠিক সে চাহিদার কথা মাথায় রেখেই বিপ্রপার্টি দিচ্ছে বাড়ি ভাড়া দেয়ার প্রক্রিয়াটিকে পুরোপুরি ঝামেলাবিহীন করে তোলার সার্বিক সহযোগিতা। আসুন জেনে নেই,  বাড়িওয়ালাদের জন্য বিপ্রপার্টির সার্ভিস ব্যবহারের উপকারিতা । 

প্রপার্টি মার্কেটিং

প্রপার্টি ভাড়া খোঁজা
অত্যন্ত সময়োপযোগী ৩৬০ ডিগ্রি প্রপার্টি মার্কেটিংয়ের সুবিধা বিপ্রপার্টি দিচ্ছে বিনামূল্যে

আমরা অনেকেই ভাবি, বাড়ি ভাড়া দিতে চাইলে বাড়ির সামনে একটি ‘টু লেট’ সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়াই যথেষ্ট। অথচ ঢাকা-চট্রগ্রামের মতো মেট্রোপলিটনের নাগরিকদের অনেকেই এখন পছন্দের বাড়ি বেছে নেয়ার জন্য ইন্টারনেটের শরণাপন্ন হন। অনলাইনে বাড়ির ছবি-ভিডিও-বর্ণনা দেখেই তারা বাড়ি দেখতে যাওয়া বা হোম ইন্সপেকশনের জন্য তালিকা তৈরি করেন। আপনার টু-লেট সাইনবোর্ডটি কিন্তু তাদের কাছে পৌঁছায় না। এ সমস্যার সমাধান দিতে বিপ্রপার্টি বাড়িওয়ালাদের দিচ্ছে প্রপার্টি মার্কেটিংয়ের দুর্দান্ত সেবা। নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার প্রপার্টির মার্কেটিং করবে তারা। তবে হ্যাঁ, শুধুমাত্র অনলাইন প্ল্যাটফর্মেই আটকে নেই প্রচারণা। বাড়ির সামনে বরাবরের মতো ‘টু লেট’ সাইনবোর্ডও থাকবে, যাতে প্রতিটি মাধ্যমেই আপনার বাড়িটির কথা জানতে পারে বাড়ি ভাড়া প্রত্যাশীরা। অত্যন্ত সময়োপযোগী এমন ৩৬০ ডিগ্রি কাভারেজ দিচ্ছে বলেই  বাড়িওয়ালাদের জন্য বিপ্রপার্টির সার্ভিস ব্যবহারের উপকারিতা র তালিকায় এই বিনামূল্যে প্রপার্টি মার্কেটিং একদম শুরুতেই থাকছে।

ভাড়া প্রত্যাশীদের সাথে যোগাযোগ

ফোনে ভাড়া প্রত্যাশীদের সাথে কথোপকথন
বাড়িওয়ালাদের জীবনকে আরো একটু স্বস্তিদায়ক করে তুলতে বিপ্রপার্টিই ভাড়া প্রত্যাশীদের সাথে সার্বিক যোগাযোগের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে

 

ভাড়া প্রত্যাশীদের সাথে ফোনে কথা বলা, তাদেরকে বাড়ি ঘুরে দেখানো, ভাড়া ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা- এগুলো সবকিছুই ভীষণ সময়সাধ্য কাজ। রোজকার কাজকর্ম ব্যাহত করে বাড়ি ভাড়া না হওয়া পর্যন্ত এ প্রক্রিয়ায় সময় দিতে যেয়ে অনেককেই তাই হিমশিম খেতে হয়। আর বাড়িওয়ালা যে শহরে বাড়ি ভাড়া দিতে চাইছেন, তার বর্তমান আবাস যদি সেখানে না হয়, সেক্ষেত্রে জটিলতা আরো বেড়ে যায়।

তাই বাড়িওয়ালাদের জীবনকে আরো একটু স্বস্তিদায়ক করে তুলতে বিপ্রপার্টিই ভাড়া প্রত্যাশীদের সাথে সার্বিক যোগাযোগের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে। তারা প্রথমেই বাড়িওয়ালার কাছ থেকে জেনে নিবে বাড়ির ডিটেইল ও ভাড়াসংক্রান্ত প্রত্যাশা; যাতে বাড়ি ভাড়া নিতে আসা সকলের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা, তাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়া, নেগোসিয়েশন করা ইত্যাদি হয় ঝঞ্ঝাটহীন।

ভাড়াটিয়ার প্রদত্ত তথ্য যাচাই

তথ্য যাচাই
ভাড়াটিয়ার পরিচয়পত্র ও অন্যান্য জরুরি কাগজ সংগ্রহ করা, সেসব যাচাই করে নেয়ার কাজগুলো বিপ্রপার্টি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে করে

বিপ্রপার্টি জানে আপনার বাড়িটির সাথে জড়িত আছে বহু বছরের স্বপ্ন ও শ্রম। তাই বাড়ি ভাড়া দেয়ার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবার সময় প্রপার্টির নিরাপত্তা নিয়ে তারা ভীষণ তৎপর থাকে। ভাড়াটিয়ার পরিচয়পত্র ও অন্যান্য জরুরি কাগজ সংগ্রহ করা, সেসব যাচাই করে নেয়ার কাজগুলো বিপ্রপার্টি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে করে। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় থাকে ও বাড়ির ভবিষ্যত নিরাপত্তা নিয়ে বাড়িওয়ালার আশংকাও দূর হয়। বিশ্বস্ত ভাড়াটিয়া খুঁজে দেয়াকে তাই  বাড়িওয়ালাদের জন্য বিপ্রপার্টির সার্ভিস ব্যবহারের উপকারিতা র মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়। 

লিগ্যাল পেপার তৈরি

কাগজ ও কলম
প্রতিটি পেপার তৈরি থেকে বাড়ি ভাড়া নেয়ার সময় এ পেপারগুলোতে স্বাক্ষর নেয়াও বাড়িওয়ালাদের জন্য বিপ্রপার্টির সার্ভিসের তালিকায় রয়েছে

পছন্দসই ভাড়াটিয়া খুঁজে পাওয়ার পর একটি জটিল ধাপ হলো লিগ্যাল পেপার তৈরি। লিগ্যাল পেপার বলতে সাধারণত রিয়েল এস্টেট নীতিমালা, লীজ অ্যাগ্রিমেন্ট বা বাড়ি ভাড়ার চুক্তি, বাড়ি মেরামত সংক্রান্ত শর্তাবলি ইত্যাদিকে বোঝানো হয়। এ পেপারগুলো তৈরির সময় উভয় পক্ষের সাথে নিয়মিত আলোচনা-পর্যালোচনাও প্রয়োজনীয়। প্রতিটি পেপার তৈরি থেকে বাড়ি ভাড়া নেয়ার সময় এ পেপারগুলোতে স্বাক্ষর নেয়াও বাড়িওয়ালাদের জন্য বিপ্রপার্টির সার্ভিসের তালিকায় রয়েছে। এ ব্যবস্থাটি বাড়িওয়ালার জন্য যেমন বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তেমনি উভয় পক্ষের মধ্যে যেকোনো ধরনের অস্পষ্টতা থাকলে তা দূর করতেও সহায়ক হয়। 

নিয়মনীতি বুঝিয়ে দেয়া

নিয়ম বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে
উভয়পক্ষকে একসাথে নিয়মনীতি বুঝিয়ে দেয়ার মাধ্যমে ভাড়া দেয়ার প্রক্রিয়াটি হয় আরো সহজ ও স্বচ্ছ

যে বাড়িটি ভাড়া হবে সেটির প্রতি বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়া উভয়েরই নির্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব রয়েছে। বিপ্রপার্টির সেবার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়ার আলোচনার ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, তবে উভয়পক্ষকে একসাথে নিয়মনীতি বুঝিয়ে দেয়ার মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি হয়েছে আরো সহজ ও স্বচ্ছ। যেমন বাড়ির জানালা ভেঙ্গে গেলে এটি মেরামতের দায়িত্ব কার বা ভাড়াটিয়া দেয়ালের রং পরিবর্তন করতে পারবেন কিনা ইত্যাদি বিষয়াদি বিপ্রপার্টি উভয়পক্ষের উপস্থিতিতেই আলোচনা করে। ফলে দেখা যায়, বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়া উভয়ই তাদের দায়িত্বের ব্যাপারগুলো সম্পর্কে অবগত থাকে। 

ভাড়াটিয়া পাওয়ার নিশ্চয়তা

হাত মেলানো
বিপ্রপার্টির ক্লায়েন্টের তালিকাও বেশ সমৃদ্ধ যা বাড়িওয়ালাকে উপযুক্ত ভাড়াটিয়া পাওয়ার সুনিশ্চয়তা দেয়

আপনার বাড়িটি যদি বিপ্রপার্টির তালিকাভুক্ত হয়ে থাকে, তবে বছরের যেকোনো সময় ভাড়াটিয়া বাড়ি ছেড়ে দিলে নতুন ভাড়াটিয়া খোঁজার দায়িত্ব বিপ্রপার্টিই নিবে। এ সেবাটি বাড়িওয়ালাকে ভাড়াটিয়া খোঁজার ঝামেলা থেকে রেহাই দিবে। এছাড়া যেহেতু বাংলাদেশে বিপ্রপার্টিই বাড়ি ভাড়া সহ বিভিন্ন প্রোপার্টি সলিউশন ও রিয়েল এস্টেট সেবাপ্রদানকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান, তাই বিপ্রপার্টির ক্লায়েন্টের তালিকাও বেশ সমৃদ্ধ যা বাড়িওয়ালাকে উপযুক্ত ভাড়াটিয়া পাওয়ার সুনিশ্চয়তা দেয়।

বাড়ি ভাড়া দেয়ার সময় বাড়িওয়ালাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, ব্যয় হয় প্রচুর সময় ও শ্রম। তবে বিপ্রপার্টির সেবা এই দীর্ঘ জটিলতার প্রক্রিয়াটিকেও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করে তুলতে পারে।  বাড়িওয়ালাদের জন্য বিপ্রপার্টির সার্ভিস ব্যবহারের উপকারিতা অন্যান্য যেকোনা ভাবে বাড়ি ভাড়া দেয়ার চাইতে বেশি। কারণ এ সার্ভিস নেয়ার মাধ্যমে প্রপার্টির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হয় ও পছন্দসই ভাড়াটিয়া পাওয়ার সুযোগ থাকে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে বাড়ি ভাড়া দেয়ার সবচাইতে ঝামেলাপূর্ণ ধাপ অর্থাৎ ভাড়া প্রত্যাশীদের  সাথে নেগোসিয়েশনের পুরোটাই যেহেতু বিপ্রপার্টি অত্যন্ত দক্ষ ভাবে করে, তাই এক্ষেত্রে বিপ্রপার্টির সেবা নেয়া যেকোনো বাড়িওয়ালার জন্য হবে সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত। 

Write A Comment