Reading Time: 3 minutes

কংক্রিটের যে বাড়িতে আমরা থাকি সেখানে হয়তো, আকাশ দেখতে একটু কষ্ট হয়! ঠাণ্ডা বাতাসে গাঁ জুড়াতে যেতে হয় বাসার ছাদে কিংবা কোন দূর দূরান্তে। আসলেই কি তাই? না মনে হয়! আমাদের বাসার ভেতরেও এমন একটি জায়গা আছে যেখানে আমরা নিজের মত করে আকাশ দেখতে পারি, সময় কাটাতে পারি। সেটা হচ্ছে কারও কাছে বারান্দা আবার কারও কাছে বেলকনি! নানা সাইজ এবং নানান শেপের বারান্দা আছে এই শহরে। কিন্তু সবগুলোই হতে পারে রিলাক্সিং যদি আপনি একটু সাজিয়ে নিন। নিজের ঘরে শুধু নিজের জন্য একটি রিলাক্সিং কর্নার থাকাটা বেশ জরুরী। যেখানে আপনি কাটাবেন “মি টাইম”। বেলকনিটাও রিলাক্সিং হতে হবে। কয়েকটি সহজ টিপসে আপনিও পেতে পারেন একটি রিলাক্সিং বেলকনি …  

সবুজ রাখুন

গাছে টব
সবুজ রাখুন

যারা বাগান করতে ভালোবাসেন তাদের কাছে এ এক রাজকীয় সুযোগ। ছোট্ট একটা বাগান মনের মত সাজিয়ে নিলেই হয়ে গেল। কিন্তু মনে রাখতে হবে “লেস ইজ মোর”। সবরকম গাছ রেখে ঘিঞ্জি করবেন না। বেশি গাছ রেখে নিজের জন্য বেলকনিতে জায়গা বন্ধ করবেন না। পরিমিত গাছ বেলকনিকে রিলাক্সিং করবে। আপনি চাইলে গাছের টবগুলো বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে দিন। দেখতে সুন্দর দেখাবে এবং ডেকোর আইটেম হিসেবে কাজেও লাগবে। রিলাক্সিং বেলকনি যখন তৈরি করছেন কেননা ফুলের গাছ দিয়ে তৈরি করুন। ফুলের ছোট ছোট পট বেলকনির সিলিং এ ঝুলিয়ে দিন। এতে করে আপনার বেলকনি দেখতে ভীষণ রঙিন দেখাবে। 

বসার জায়গা রাখুন 

চেয়ার, কফি, পানির গ্লাস
রিলাক্সিং একটা আমেজ রাখুন

রিলাক্সিং একটা স্পেস তৈরির ক্ষেত্রে বসার জায়গার প্রয়োজনীয়তা বেশি। বসার জায়গাটা হতে হবে বেশি আরামদায়ক। আপনি চাইলে বিল্ট ইন বেঞ্চ তৈরি করতে পারেন। এটা বেশি ঝামেলার মনে হলে কয়েকটি চেয়ার রাখতে পারেন। একটা ছোট্ট সাইড টেবিলও রাখতে পারেন। যেখানে সকালের কফি কিংবা অফিসের যেকোন কাজ নিমিষেই শেষ করতে পারবেন। কিন্তু মাথায় রাখুন আপনাকে এমন আসবাব কিনতে হবে যেটা সবরকম আবহাওয়াতেই টিকে থাকেতে পারবে। আর যদি জায়গা কিছুটা কম হয়, সেক্ষেত্রে ফোল্ডিং আসবাবগুলো দেখতে পারেন। প্রয়োজনে বেলকনিতে আনলেন, আবার সরিয়ে নিলেন। লাউঞ্জ চেয়ারগুলো বেশ আরামের। একটা ভেকেশন ভাইভ পাওয়া যায়। অনেকখানি প্রশান্তি অনুভব করবেন।  হ্যামমোকগুলোও বেশ আরামদায়ক। জায়গা করে ঝুলিয়ে নিলেই আরাম পেয়ে যাবেন। নিজের মত সময় কাটাতে বই পড়া, কিংবা গান শোনা অনেক কিছুই হতে পারে।

ডেকোরেশন নিয়ে ভাবুন  

সোফা সেট
সাজিয়ে রাখুন

কমফোর্ট সবচেয়ে আগে যেটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে তা হচ্ছে কমফোর্ট! ডেকোরেশনের জন্য শুধু সাজের কথা না ভেবে এমন কিছু ভাবা যা কিনা আগে কমফোর্টটা নিশ্চিত করবে।  এমনকি ডেকোরেশনটাও এমন হতে হবে এমন, যা দেখে আপনি সাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন। এছাড়াও আপনি যদি বাসা ভাড়া নেয়ার কথা ভাবেন সেক্ষেত্রে বেলকনিতে স্থায়ী কিছু না করাই ভাল। বিশেষ করে আসবাবের বেলায়। বেলকনির মেঝেতে কয়েকটি রঙিন কুশন রাখুন, দেখতে যেমন সুন্দর লাগবে, তেমনি আরামদায়কও হবে। খেয়াল রাখুন, কুশনগুলো যেন আবার বর্ষার দিনে বাইরে না থাকে। এছাড়াও, রঙিন রাগসগুলোও ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন প্যাটার্ন ও বিভিন্ন নকশার রাগসগুলো আসবাবের সাথে মিলিয়ে রাখলে পুরো বেলকনির আউটলুক বদলে যেতে পারে। বেলকনির দেয়ালে সুন্দর পেইন্টিং ঝুলিয়ে দিতে পারেন। 

পরিবেশ  

ডিম লাইট
বাতির ব্যবস্থা রাখুন

রিলাক্সিং বেলকনি তৈরি করার আগে কিছু জিনিস আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে বাতি, নানা রঙের বাহারি বাতি।  দিনের বেলায় আপনি পর্যাপ্ত পরিমানের আলো পাবেন সুতরাং দিনের বেলা নিয়ে আপনার ভাবনার জায়গা নেই। মাঝে মাঝে এমন হবে যে আপনাকে স্লাইডিং ব্যবহার করে আলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। একটু মিলিয়ে স্লাইডিং ব্যবহার করলে আপনার বেলকনি হয়ে উঠতে পারে বেশ আকর্ষণীয়।  

সন্ধ্যা রাতে অনেকে আছেন রঙ বেরঙের বাতি ব্যবহার করেন। শহরগুলোতে যদিও ডিম লাইট গুলো যথেষ্ট নয়। কেননা বাইরে থেকে আপনার বেলকনিতে আলো আসবেই সুতরাং ডিম আলোর বাতিগুলো তেমন কাজে আসবে না। এছাড়া এগুলো রিলাক্সিং আমেজ তৈরি করতেও ব্যর্থ হয়। হালকা হলুদ রঙে বাতিগুলো বেশ রিলাক্সিং আমেজ তৈরি করে থাকে। গাঁ ঘেঁষে যদি পাশেই আরও একটি বিল্ডিং থেকে থাকে তাহলে বড় গাছগুলো দেয়াল হিসেবে কাজে লাগতে পারে। আপনার ডেকোরও হলো আবার দেয়ালের কাজও হলো।  

এই কয়েকটি চমৎকার উপায়ে বাসার ভেতর তৈরি করতে পারেন রিলাক্সিং বেলকনি । কেমন হয়েছে আপনার সেই বেলকনি সেটা জানাতে ভুলবেন না। 

Write A Comment