Reading Time: 3 minutes

গল্প, সিনেমা দেখা, গেমস খেলা কিংবা বন্ধুবান্ধব-পরিবারের সাথে দারুণ কিছু সময় কাটাতে বাসার লিভিং রুমেই জমে আড্ডার আসর। বেশ ফরমাল কোন মিটিং এর জন্য ঘরের ড্রইং রুম যেমন পারফেক্ট। তেমনি গল্প-আড্ডা দেয়ার জন্য বেডরুম মোটেও মানানসই কোন জায়গা নয়। তবে ঘরের কোন রুমটিকে বেছে নিবেন আড্ডার আসর জমাতে? এক্ষেত্রে ড্রইংরুম এবং বেডরুমের মাঝের জায়গা বা লিভিং এরিয়াটি হবে পারফেক্ট। লিভিং রুম ডেকোর এর জন্য তাই আপনি বেছে নিতে পারেন ইউনিক কোন থিম, বিশেষ কোন রঙ, আসবাবের ধরন, ইন্টেরিয়র স্টাইল সহ আপনার পছন্দমতো যেকোনো কিছু। 

যেহেতু ঘরের অন্যসব দেয়ালে নিজের ব্যক্তিগত পছন্দের ছোঁয়া রাখতে আমরা সবাই-ই পছন্দ করি। তাই লিভিং রুমের দেয়াল সাজাতেও ইউনিক একটা স্টাইল থাকা প্রয়োজন। এতে করে ঘরের বাকি অংশের ইন্টেরিয়র স্টাইলের সাথে কানেকশন থাকবে। নিজস্ব পছন্দ ধরে রাখতে ইউনিক থিমে লিভিং রুম এরিয়া সাজানো ছাড়াও আর কোন কোন উপায়ে লিভিং রুমের ডেকোরে ভিন্নতা আনা যায়, চলুন আজকের ব্লক থেকে কিছু আইডিয়া নেয়া যাক। 

দেয়াল জুড়ে আর্টওয়ার্ক 

দেয়াল আর্টওয়ার্ক
ঘরে প্রকৃতির উপস্থিতি ধরে রাখতে দেয়াল জুড়ে থাকুক পাতার আর্টওয়ার্ক

একটু আর্টিস্টিক ভাবে লিভিং রুম এরিয়াটি সাজাবেন ভাবছেন? এক্ষেত্রে পছন্দের কোন জায়গা কিংবা আর্টিস্ট এর আঁকা কোন পেইন্টিং লিভিং রুমের দেয়ালে ঝুলিয়ে দেয়ার চেয়ে দারুণ আর কী হতে পারে! এ জন্য লিভিং রুমের সবচেয়ে বড় দেয়ালটি বেছে নিতে পারেন। আর দেয়ালের রঙের ক্ষেত্রে সাদা, অফ হোয়াইট কিংবা ধূসর রঙ করে নিলে তাতে আর্টওয়ার্কটি ফুটেও উঠবে দারুণভাবে। 

এছাড়া দেয়ালের জন্য জ্যামিতিক ডিজাইন, ফ্লোরাল কিংবা অন্যান্য বিভিন্ন প্যাটার্নে লিভিং রুমের ডেকোরে আসবে ভিন্নতা।        

ইন্টেরিয়র স্টাইলে জ্যামিতিক প্রিন্ট

গতানুগতিক প্যাটার্ন থেকে কিছুটা ভিন্নতা আনতে লিভিং রুম ডেকোরে জ্যামিতিক প্রিন্ট এর ব্যবহার ঘরের সৌন্দর্যে ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করবে। যারা ফুলের মোটিফ কিংবা একক কোন রঙের ধারা থেকে একটু ভিন্ন ভাবে অন্দর সাজানোর জন্য আইডিয়া খুঁজছেন, তারা জ্যামিতিক প্যাটার্ন বেছে নিতে পারেন। তবে শুধু যে দেয়ালেই এই প্রিন্টের ডিজাইন করতে পারবেন তা কিন্তু নয়। বরং জ্যামিতিক প্যাটার্নের থ্রো পিলো, রাগস এবং সোফা কাভার দিয়েও লিভিং রুম ডেকোরে নতুনত্ব আনতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে দেয়ালের রঙ, পর্দা এগুলো অবশ্যই একক রঙের হতে হবে। নতুবা ঘরের ভেতরটা দেখতে বেশ গ্যাঞ্জাম মনে হতে পারে।   

কালারফুল রাগস এবং কুশন 

কালারফুল প্রিন্টেড কুশন
কালারফুল প্রিন্টেড কুশনে ঘরের ভেতরটা হয়ে উঠবে আরও প্রাণবন্ত

কালো বা ধূসর রঙে পেইন্ট করা দেয়ালের সাথে কনট্রাস্ট রঙের রাগস, কুশন কাভার দিয়ে ঘর সাজানো এখন বেশ ট্রেন্ডি। বিশেষ করে যারা ঘরের ভেতরে রঙিন একটা আবহ তৈরি করতে চান, তারা প্রিন্টের ডিজাইনের ফেব্রিক দিয়ে লিভিং রুমের এরিয়াটা আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে পারেন। আড্ডা দেয়ার জায়গাটা যদি বিভিন্ন রঙে ডিজাইন করা হয়, তবে সেখানে খুব সহজেই প্রাণোচ্ছল একটা পরিবেশ তৈরি হয়। আর এক্ষেত্রে গল্প-আড্ডাটা জমে উঠে আরও দারুণভাবে।                      

থিম নির্ভর আসবাবপত্র নির্বাচন 

বাসার জন্য আসবাব নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনার পছন্দ কোনটি? কাঠ, বাঁশ-বেতের কিংবা মেটাল থিমের মধ্যে বাসার বেশিরভাগ আসবাবই যদি কোন নির্দিষ্ট একটি থিমে থাকে, তবে লিভিং রুম ডেকোর এর জন্য বেছে নিন ভিন্ন কিছু। ফ্লোরিং, ডিভান কিংবা থ্রো পিলো দিয়ে লিভিং রুম সাজিয়ে নিতে পারেন। অথবা যদি বেতের আসবাব দিয়ে রুম সাজানোর প্ল্যান করেন, তবে লিভিং রুমের বিভিন্ন কর্নারে রেখে দিন কিছু ইনডোর প্ল্যান্টস। আর সাথে ল্যাম্প এবং আয়না দিয়ে লিভিং রুম ডেকোর এ  পুরো ঘরে ভিন্ন একটা আবহ তৈরি হবে।      

লাইট এবং ডার্ক শেড মিক্সিং 

বিভিন্ন রঙের শেড
ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ভিন্নতা আনবে লাইট এবং ডার্ক শেডের মিক্সিং

সাধারণত রুম ডেকোর এ আমরা একক রঙ ব্যবহার করে থাকি। তবে লিভিং রুম ডেকোরে কিছুটা ভিন্নতা আনতে এবার আপনি রুমের দেয়ালে লাইট এবং ডার্ক শেডের মিশ্রণ করতে পারেন। এতে করে অন্য রুম থেকে লিভিং রুমের স্পেসটা কিছুটা ভিন্ন ডিজাইনে সাজাতে পারবেন। আর এর সাথে রুমে রাখতে পারেন ল্যাম্প এবং ইনডোর প্ল্যান্টস। চাইলে বেত এবং কাঠের শেলফে বই এবং ফটোফ্রেম রেখেও লিভিং রুমের ডেকোরেশন করতে পারেন।               

ঘরের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য একেকজন পছন্দ থাকে একেক রকম। এক্ষেত্রে ঘরের লিভিং রুম ডেকোর এর জন্য বেছে নিতে পারেন ভিন্ন কোন ডিজাইন। দেয়ালের আর্টওয়ার্ক, আসবাবের থিমে  ভিন্নতা কিংবা কালারফুল ফেব্রিক এর ব্যবহারে লিভিং রুমের এরিয়াটি হয়ে উঠবে আরও ইউনিক।       

Write A Comment

Author