Reading Time: 5 minutes

ডিসেম্বর এলে এখনো খানিকটা বদলের আভাস পাওয়া যায় এ শহরে। রেডিও-টিভিতে বেজে ওঠে যুদ্ধদিনের গান। রাজপথে দেখা মেলে কাঁধে লাল-সবুজ নিয়ে হেঁটে চলা পতাকা বিক্রেতাদের। স্মৃতিস্তম্ভে ওঠে ফুলের তোড়া। জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মনে পড়ে যায় রণক্ষেত্রের কথা, সহযোদ্ধাদের স্মৃতি। এখনো এখানে সত্যিই স্পষ্টভাবে অনুভব করা যায় ‘৭১ এর স্মৃতি, যা এ শহরের অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ শহরের অলিতে-গলিতে, রাজপথে, পুরোনো দালানের এধারে-ওধারে ছড়িয়ে আছে সংগ্রামী সেই সময়ের অসংখ্য স্মৃতিচিহ্ন। কোনো সৌধ নির্মিত হয়েছে শহীদের আত্মত্যাগের স্মরণে, কোনো বধ্যভূমি ধারণ করছে গণহত্যার বিভীষিকা। কোথাও নবনির্মিত জাদুঘরে পরম যত্নে তুলে রাখা হয়েছে শহীদ আলতাফ মাহমুদের ডায়েরী, শহীদ আজাদের হাতে লেখা ‘বাংলাদেশ’ গানের লিরিক্স। আবার শহরের কোনো প্রান্তে মুক্তিযোদ্ধাদের অকুতোভয় মানসিকতা, নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগের প্রতীক হয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে পাথুরে ভাস্কর্য। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরের এই বিজয়ের মাসে লেখা ব্লগে তুলে ধরছি ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান গুলোর মধ্যে কয়েকটির কথা । 

স্থাপত্যে স্মৃতিকথা

জাতীয় স্মৃতিসৌধ
জাতীয় স্মৃতিসৌধের সাতজোড়া ত্রিভুজাকার দেয়াল বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি গুরুত্ববহ সময়কালকে প্রতীকায়িত করে

জাতীয় স্মৃতিসৌধ, সাভার 

ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সাভারের নবীনগরে নির্মিত হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের স্মরণে নির্মিত এই সৌধের স্থপতি সৈয়দ মঈনুল হোসেন। এই স্মারক স্থাপনাটি উচ্চতায় ১৫০ ফুট ও এর সাতজোড়া ত্রিভুজাকার দেয়াল বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি গুরুত্ববহ সময়কালকে প্রতীকায়িত করে। ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৬ শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যূত্থান, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ – এই সাতটি ঘটনাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের পরিক্রমা হিসাবে বিবেচনা করে সৌধটি নির্মিত হয়েছে। 

বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধ, রায়ের বাজার

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জন্য যুদ্ধে পরাজয় যখন ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে ওঠে, তখন রাতের অন্ধকারে বাংলার শ্রেষ্ঠ সূর্যসন্তানদের তারা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। নির্মমভাবে হত্যা করে সেসব শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিল্পীদের। জাতিকে মেধাশূণ্য করার এই ঘৃণ্য অপচেষ্টার কথা, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর সেই গভীর দুঃখের কথা বুকে ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে রায়ের বাজারের এই স্মৃতিসৌধ। বুদ্ধিজীবিদের মৃতদেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছিলো সেই জায়গাটি প্রতীকায়িত করেছে ইটের ভাঙ্গা দেয়াল আর কালো গ্রানাইটে নির্মিত চত্ত্বর তুলে ধরে আমাদের জাতীয় শোকের কথা। ব্যতিক্রমধর্মী এই স্মৃতিসৌধটির নকশা করেছেন স্থপতি ফরিদ ইউ আহমেদ ও জামি আল শাফি।

স্বাধীনতা স্তম্ভ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান 

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর কন্ঠে উচ্চারিত হয় ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’। পরবর্তীতে এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। স্বাধীনতার পর জাতির জনক প্রথম ভাষণ দেন এই উদ্যানেই। মুক্তিযুদ্ধের এমন ঐতিহাসিক ঘটনা গুলো স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মিত হয়েছে ‘স্বাধীনতা স্তম্ভ’। কাশেফ মাহবুব চৌধুরী ও মেরিনা তাবাসসুমের নকশায় নির্মিত এই স্মৃতিস্তম্ভটি মূলত একটি গ্লাস টাওয়ার, যার কাঠামো ইস্পাত দিয়ে তৈরি। দিনে এতে সূর্যালোকের প্রতিফলন-প্রতিসরণ দেখা যায় আর রাতে বৈদ্যুতিক আলোর মাধ্যমে স্তম্ভটি আলোকিত করা হয়। ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৬ ফুট প্রস্থের এই স্তম্ভের পশ্চিমে রয়েছে একটি কৃত্রিম জলাধার এবং পূর্বে রয়েছে টেরাকোটায় নির্মিত একটি ম্যুরাল। এই ম্যুরালটিও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামকে ফুটিয়ে তুলেছে। আর ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম এই  স্তম্ভের নিচেই রয়েছে ভূগর্ভস্থ স্বাধীনতা জাদুঘর। 

ভাস্কর্যে ভাস্বর স্মৃতি  

অপরাজেয় বাংলা
অপরাজেয় বাংলা সর্বস্তরের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকে প্রতীকায়িত করে

জাগ্রত চৌরঙ্গী

ভাস্কর আবদুর রাজ্জাক মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধের স্মরণে এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় নির্মিত প্রথম ভাস্কর্য জয়দেবপুর চৌরাস্তার সড়কদ্বীপে অবস্থিত। তাই ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান এর তালিকায় এটি থাকবেই। 

সংশপ্তক 

হামিদুজ্জামান খান নির্মিত এ ভাস্কর্যটির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাঙ্গালির ঘুরে দাঁড়ানোর মানসিকতাকে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনের এই ভাস্কর্যতে দেখা যায় যুদ্ধে শত্রুর আঘাতে এক হাত, এক পা হারিয়েও রাইফেল হাতে লড়ে যাচ্ছেন দেশমাতৃকার বীর সন্তান। 

অপরাজেয় বাংলা 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে বন্দুক কাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা তিন নারী-পুরুষের এই ভাস্কর্যটি সর্বস্তরের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকে প্রতীকায়িত করে। ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদের এই ভাস্কর্যটি সাম্যের বার্তাও দেয়। 

স্বোপার্জিত স্বাধীনতা 

বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পশ্চিম পাশে নির্মিত এই ভাস্কর্যটি অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের অনুপ্রেরণা যোগায়। এতে ভাস্কর শামীম শিকদার একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদারের অত্যাচারের একটি খণ্ড-চিত্র তুলে ধরেছেন। 

স্বাধীনতা সংগ্রাম 

স্বাধীনতা সংগ্রাম ভাস্কর্যটি বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের ইতিহাসকে ধারণ করে নির্মিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য। শামীম শিকদার নির্মিত এই স্মৃতি ভাস্কর্যটি মহান ভাষা অন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৬-র স্বাধিকার আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭১ এর ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫শে মার্চের কালরাত্রি, ২৬শে মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণা, ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের বিষয় তুলে ধরে। প্রতিটি আন্দোলনে নিহত হয়েছেন এমন ১৮ জন শহীদের মুখাবয়ব দিয়ে পুরো ভাস্কর্য নির্মিত। 

বিস্তীর্ণ বধ্যভূমি

Martyred Intellectuals Memorial
বুদ্ধিজীবিদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে  রায়েরবাজারে বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধ

রায়েরবাজার বধ্যভূমি 

আমাদের জাতীয় জীবনের এক ভীষণ শোকের অধ্যায় ধারণ করে রায়েরবাজার বধ্যভূমি, ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান গুলো সম্পর্কে বলতে তাই এই স্থানের কথা অবশ্যই উল্লেখযোগ্য। একাত্তরের পঁচিশে মার্চ থেকেই মিরপুরের রায়েরবাজার এলাকা পাকহানাদারদের অন্যতম বধ্যভূমিতে পরিণত হয়। প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছিল এই বধ্যভূমি। যুদ্ধের নয়টি মাস পাকহানাদার, আলবদর ও রাজাকাররা এখানে বাঙালি নিধনযজ্ঞ চালিয়েছে, ফেলে রেখেছে লাশের স্তূপ। একাত্তরের ১৮ ডিসেম্বর রায়েরবাজারের এই বধ্যভূমিটি আবিষ্কৃত হয়, পাওয়া যায় অসংখ্য লাশ ও নরকঙ্কাল। বুদ্ধিজীবি হত্যার ঘৃণ্য পরিকল্পনার একাংশও এখানে বাস্তবায়িত হয়। যুদ্ধ শেষ হবার পর শহীদ বুদ্ধিজীবিদের অনেকেরই বিকৃত লাশ পাওয়া যায় এখানে। তাদের আত্মত্যাগের স্মরণে এখানে নির্মিত হয়েছে বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধ। 

জল্লাদখানা বধ্যভূমি 

ঢাকার মিরপুর ১০নং সেকশনের ডি ব্লকে অবস্থিত বধ্যভূমিটি ‘জল্লাদখানা বধ্যভূমি’ হিসাবে পরিচিত। এখানে ছিলো একটি পরিত্যক্ত পাম্প হাউজ, যেখানে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নিষ্ঠুরভাবে অত্যাচার করে হত্যা করা হয় অনেক স্বাধীনতাকামী নিরীহ বাঙালিকে। স্বাধীনতার পরপরই এ বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া যায়। সেসময় এর আশেপাশে অসংখ্য কঙ্কাল পড়েছিল। পাম্প হাউজের নিচে অবস্থিত প্রায় ৩০ ফিট গভীর ট্যাঙ্ক দুটির ভেতর থেকেও উদ্ধার করা হয় মানুষের কঙ্কাল। ১৯৯৯ সালে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে পুনরায় খনন কাজ শুরু করে ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের আরো কিছু প্রমাণ মেলে। বর্তমানে এ বধ্যভূমিটি তেমনভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে না। 

বাংলা কলেজ বধ্যভূমি 

১৯৭১ -এ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও রাজাকারেরা বাংলা কলেজে ক্যাম্প স্থাপন করে অজস্র বাঙ্গালিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। মূল প্রশাসনিক ভবনের অনেক কক্ষই ছিল নির্যাতন কক্ষ। হোস্টেলের পাশের নিচু জমিতে, পুকুরে বন্দীদের লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করা হতো। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় জুড়েই বাংলা কলেজ প্রাঙ্গণে নৃশংস হত্যাকান্ড চলেছে, হয়েছে নারী নির্যাতন। বিজয়ের মূহুর্তে পুরো কলেজ প্রাঙ্গণ জুড়ে পড়ে ছিল বিভীষিকাময় গণহত্যার চিহ্ন।  

জগন্নাথ হল বধ্যভূমি

একাত্তরের ২৫-২৬ মার্চ এই হলে অবস্থানরত নিরস্ত্র-নিরপরাধ ছাত্রশিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর নৃশংস নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকহানাদার বাহিনী। হলের মাঠে বিরাট গর্ত করে লাশগুলো পুঁতে ফেলা হয়। পরে বুলডোজারের সাহায্যে তাদের লাশ মাটিচাপা দেওয়া হয়।  

জাদুঘরে যত স্মৃতি

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
ইতিহাসের স্মারক সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে যথাযথভাবে উপস্থাপনই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের লক্ষ্য

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর 

ইতিহাসের স্মারক সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে যথাযথভাবে উপস্থাপনই এ জাদুঘরের লক্ষ্য। সেইসাথে নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার ইতিহাসসচেতন করে তোলা ও উদার অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী করাও তাদের লক্ষ্য। বেসরকারি এই জাদুঘরে প্রায় ১৩০০ স্মারক প্রদর্শিত হলেও সংগ্রহভাণ্ডারে জমা হয়েছে ২১,০০০-এর মত স্মারক। শুরুতে সেগুন বাগিচার একটি ভাড়া বাড়িতে এর যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে আগারগাঁওয়ে এক আধুনিক ভবনে চলছে এ জাদুঘরে। একইসাথে জাদুঘরটি ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর ও গ্রন্থাগারও পরিচালনা করছে। 

স্বাধীনতা জাদুঘর

ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান গুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইতিহাস সংরক্ষণই এর মূল উদ্দেশ্য। ২০১১ সালে নির্মিত এ জাদুঘরের অবস্থান স্বাধীনতা স্তম্ভের নিচে ভূগর্ভস্থ কক্ষে। ভবন প্রাঙ্গনের শুরুতেই রয়েছে প্রবেশপথ শহীদদের স্মরণে প্রজ্বলিত শিখা চিরন্তন। 

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর

এলিফ্যান্ট রোডের এই জাদুঘরটি স্মৃতির আকরগ্রন্থ। কেউ যদি গণ-আদালতের ব্যাপারে জানতে চান, তাহলে এখানে সংরক্ষিত ছবি, লেখা, পোস্টার ও বইতে পেয়ে যাবেন সেই সময়টিকে। কেউ যদি ব্যক্তি জাহানারা ইমামকে চিনতে চান, পাবেন তার সংবেদনশীল রুচি, পারিবারিক জীবনের স্মৃতিচিহ্নও। এখানে পরম মমতায় আরো সংরক্ষিত হয়েছে শহীদ রুমীর স্মৃতিচিহ্ন। 

পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর 

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো যে পুলিশ বাহিনী, মুক্তিযুদ্ধে তাদের আত্মত্যাগের গৌরবময় ইতিহাসের কথাই তুলে ধরে এ জাদুঘর। এটি অবস্থিত রাজারবাগে। 

বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর 

ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম এটি। ধানমন্ডি ৩২ নং রোডের এই জাদুঘরটি ছিলো জাতির জনকের বাড়ি। পরবর্তীতে তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে, তাঁর জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার প্রতীক হয়ে থাকা স্মৃতিচিহ্নগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে একে জাদুঘরে রুপান্তরিত করা হয়। 

প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে উচ্চারিত হবে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা। আর ভবিষ্যত প্রজন্মকে ইতিহাস সচেতন হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধের এই স্মারক গুলো সংরক্ষণ করা ভীষণ জরুরি।

1 Comment

  1. আশফাকুর রহমান

    ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত সরকারি বাঙলা কলেজ বধ্যভূমি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার একটি অন্যতম বধ্যভূমি। তবে আপনারা বানানটি “বাংলা কলেজ” লিখেছেন, যা সঠিক নয়। অনুগ্রহ করে আপডেট করুন।

Write A Comment