Reading Time: 3 minutes

বদলে যাওয়া সময়ের সাথে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে বাসার ডিজাইন। চলছে একের পর এক ট্রেন্ড। কখনো মিনিমাল কখনো কনটেম্পোরারি। আমরা এখন আর প্রয়োজনীয়তায় বেঁচে থাকি না, আমরা থাকি নান্দনিকতায়। যে বাসায় আমরা দিনের সবচেয়ে বেশি সময় কাটাই সেটি কিন্তু হওয়া চাই সুন্দর এবং ছিমছাম। একটি বাসা ডিজাইন করা কিন্তু সহজ কথা নয়! যদিও সহজ মনে হতে পারে। আপনার বাসার ডিজাইন বলে দিবে আপনার ব্যক্তিত্ব এবং রুচি সম্বন্ধে। আপনার স্বপ্নের মত বাসা পেতে হয়তো আপনার বাজেটই একটু বাঁধা দিবে। কিন্তু তাই বলে তো থেমে থাকা যাবে না! বাজেটের মধ্যে থেকেও মনের মত ডিজাইনার আউটলুক পাওয়া সম্ভব। তাই নীচের এই কয়েকটি বিষয় জেনে তবেই, বাসা ডিজাইন করুন!

বাসার এন্ট্রেন্স ডিজাইন করুন

বাসা এন্ট্রেন্স
বাসার এন্ট্রেন্স হওয়া চাই পরিপাটি

একটি বাসার এন্ট্রেন্সই আপনার রুচি এবং বাসার ভেতরের আউটলুক সম্বন্ধে প্রথম ধারণা দিবে। অথচ এমন অনেকেই আছি যারা বাসার এন্ট্রেন্সকে গুরুত্ব সহকারে নেই না। একটি ছিমছাম এবং পরিপাটি এন্ট্রেন্স বাসায় আসা মেহমানদের আপনার সম্বন্ধে ভালো ধারণা আগেই প্রদান করে। এই ধরুন একটি শু-র‍্যাক তার ওপর রাখা ফুলদানী, শু-র‍্যাকের গায়ে ঝুলানো একটি আয়না, আপনার এন্ট্রেন্সে সত্যি একটি অবিশ্বাস্য আউটলুক এনে দিবে। আপনি চাইলে আয়নার বদলে ঝুলিয়ে দিতে পারেন যেকোন ধরণের আর্টওয়ার্ক। এটি আরও সুন্দর দেখাবে। বাসার এন্ট্রেন্সে যদি আলোর অভাব থেকে থাকে তবে, মাথার ওপর ঝুলিয়ে নিতে পারেন বাল্ব কিংবা ঝুলন্ত বাতি। এই পন্থাটি এন্ট্রেন্স আলোকিত করবার পাশাপাশি বেড়াতে আসা মেহমানদের হৃদয়ে ফেলতে পারে ইতিবাচক ছাপ। এই পন্থাগুলো বাদেও রয়েছে আরও কিছু পন্থা সেগুলো জানতে পড়ে নিন বাসার এন্ট্রেন্স বদলের কয়েকটি সহজ উপায়

সম্পূর্ণরূপে বাসার জায়গা ব্যবহার করুন

একটি চেয়ার
সম্পূর্ণ জায়গা ব্যবহার করে রাখুন আসবাবপত্র

বাসা ডিজাইন করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ জায়গা ব্যবহার করা। একটি বাসা তখনই ভালো দেখাবে যখন ঘরের সমস্ত জায়গা ব্যবহার করে রাখা হবে পরিমাণ ও প্রয়োজনমত আসবাবপত্র। এবং বাড়তি জায়গার হবে না কোন অপচয়। পরিমাণ ও প্রয়োজনমত আসবাবপত্র বলতে বোঝানো হচ্ছে, আসবাবপত্রগুলো এমন ভাবে রাখা যাতে ঘর হযবরল না দেখায় এবং সেই সাথে অপ্রয়োজনীয় আসবাব রাখা থেকে বিরত থাকা। ঘরের আসবাবপত্র এবং তা সাজিয়ে রাখার ধরন আপনার সম্বন্ধেই বলে দিবে তাই সতর্ক হয়ে বাছাই করুন।

সঠিক কালার স্কিম ব্যবহার করুন  

কালার স্কিম
কালার স্কিম অনেক বড় ভূমিকা রাখে বাসা ডিজাইনে

বাসা ডিজাইনের ক্ষেত্রে সঠিক কালার স্কিমের গুরুত্ব অপরিসীম। খুব সহজেই একটি বাসার আউটলুক পরিবর্তন করতে পারে এটি। দেয়ালের হালকা রঙগুলোর সাথে কাঠের মেঝের কম্বিনেশন আপনার বাসাকে এনে দিবে কনটেম্পোরারি লুক। এমনকি লাল বা কালোর মত গাড় রঙগুলো এনে দিবে ঐতিহ্যবাহী নান্দনিকতা। রঙের সঠিক স্কিম নির্বাচন আপনাকে আগে থেকেই ধারণা এনে দিবে আপনার বাসাটি কেমন হতে যাচ্ছে! মিনিমাল বা কনটেম্পোরারি যে স্ট্যাইলেই আপনি বেঁছে নিন না কেন তা ফুটে ওঠার মধ্যে রঙের অনেক প্রভাব থাকে। তাই কালার স্কিম বাছাই করুন সব দিক ভেবে।

সঠিক প্যাটার্ন নির্ধারণ করুন

টেক্সচার
বৈচিত্র আনতে ব্যবহার করুন নানারকম প্যাটার্ন ও টেক্সচার

ঘরের আসবাব পত্রের জন্য সঠিক মাপকাঠি নির্ধারণ করা খুবই জরুরী। তা না হলে ঘর অনেক এলোমেলো দেখাবে। খেয়াল রাখতে হবে টেক্সচার সম্পর্কেও। টেক্সচার দুই ধরনের হয়। একটি ভিজ্যুয়াল এবং অন্যটি এক্ট্যুয়াল। ভিজ্যুয়াল টেক্সচার কেবল চোখেই দেখা যায় কিন্তু এক্ট্যুয়াল টেক্সচার দেখা ও অনুভূতও হয়। আমাদের ঘরের একে আসবাবপত্র মাপে একেক রকম।কোনটা হয়ত মেঝের সমান্তরালে থাকে আর অন্যগুলো উঠে যায় মেঝে থেকে সিলিঙের দিকে। তাই আপনার আসবাবপত্রের ধরন বুঝে তা ঘরে রাখতে হবে। যেমন ধরুন, বিছানা, টেবিল এবং চেয়ারগুলো পাশাপাশি রাখলে রাখলে বেশ ভালো দেখায় অন্যদিকে, জানালাগুলো ভার্টিকাল লাইনে ডিজাইন করলে বেশ ভালো দেখায়। খোলামেলা একটি আবেশ তৈরি করে।  এবং মাঝে মাঝে এই লাইনগুলো ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ব্যবহার করেও আপনি বাসা ডিজাইনে আনতে পারেন অনেক বৈচিত্র। এছাড়া ওয়ালপেপার, সোফা বা কুশন ইত্যাদির মধ্যেও ভিজ্যুয়াল টেক্সচার আনা সম্ভব। একটু বৈচিত্র আনতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন বিপরীত রঙের টেক্সচার। যেমন ধরুন, সোফা যে রঙের হবে তার সাথে মানিয়ে যায় এমন বিপরীত রঙের কুশন ব্যবহার করতে পারেন। আর আপনি যদি বাসা ডিজাইন নিয়ে আরও জানতে চান তবে, ইন্টারনেট আপনাকে হতাশ করবে না কোন ভাবেই। একটু সার্চ করে দেখলেই পাবেন নানা রকম আর্টিকেল।

আপনার বাসা ডিজাইনের অভিজ্ঞতা কেমন হয়েছে তা জানাতে ভুলবেন না। এবং এ রকম আরও লেখা পড়তে চোখ রাখুন বিপ্রপার্টি ব্লগে।

Write A Comment