Reading Time: 3 minutes

আজ থেকে বছর বিশেক আগেও কি ভাবা গিয়েছিল এমন সহজলভ্য হয়ে যাবে মোবাইল ফোন? সবার হাতের মুঠোয় থাকবে ইন্টারনেট? মুহুর্তেই যোগাযোগ করা যাবে। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে? তা যেমন যায় নি, ঠিক একইভাবে ভবিষ্যতের বাসা দেখতে কেমন হবে, তার বিভিন্ন ফ্যাসিলিটিই বা কীরূপ হবে, হয়ত আমাদের কল্পনাতেও আসছে না তা। হয়ত আর দু’দশক পর আমাদের আকাশে পাখির সাথে সাথে উড়বে অসংখ্য ড্রোন। অ্যামাজন অলরেডি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে ড্রোনের মাধ্যমে পণ্য ডেলিভারি সিস্টেম। সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে অকল্পনীয় গতিতে। তাই ভবিষ্যতের হাউজিং বা রিয়েল এস্টেট কেমন হতে পারে তা নিয়েই এই লেখা।

থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে তৈরি হবে অনেক ভবিষ্যতের বাসা

ভবিষ্যতের বাসা
থ্রিডি প্রিন্টেড বাসা তৈরি করতে সময় লাগে অনেক কম

রিয়েল এস্টেট সেক্টরে আন্তর্জাতিকভাবে বেশ ভালো সাড়া ফেলেছে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি। অনেক দেশেই অলরেডি এর ব্যবহারও শুরু হয়ে গিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিই হতে যাচ্ছে আবাসন শিল্পের ভবিষ্যত। গত মার্চে “আইকন” নামের একটি কন্সট্রাকশন টেকনোলজি কোম্পানি একটি থ্রিডি প্রিন্টার বাজারে আনে। তারা এটি দিয়ে ৩৫০ স্কয়ার ফিটের একটি ছোট্ট বাসাও বানিয়ে ফেলে মাত্র ৪৮ ঘটার ভেতর। তবে প্রস্তুতকারকেরা দাবী করেছেন এই প্রিন্টার এর চেয়েও বড় স্থাপনা এর চেয়ে কম সময়ে প্রিন্ট করে দিতে পারবে। এই প্রিন্টার তৈরি এবং বাজারে আনার মাধ্যমে আইকন আসলে আমাদেরকে ভবিষ্যতের বাসা কেমন হতে পারে তার একটি আগাম আভাসই দিয়ে দিয়েছে।

কেন এই থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিকে এত সম্ভাবনাময় ভাবা হচ্ছে? কারণ থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি বাড়ি তৈরি করতে যে বিশাল সময় এবং অর্থ খরচ হয় তার দুইই কমিয়ে আনতে পারে অনেকাংশে। শুরুতে হয়ত বেশ ইনভেস্টমেন্ট করতে হয়, কারণ একটি থ্রিডি প্রিন্টারের দাম আকাশছোঁয়া, কিন্তু সনাতন পদ্ধতিতে যে বাড়ি সময় লাগত বছরেরও বেশি থ্রিডি প্রিন্টিং তা নামিয়ে আনতে পারে মাত্র কয়েকদিনেই! তাই ভবিষ্যতে হয়ত আমরা নিজেদের ইচ্ছামত বানিয়ে নিতে পারব থ্রিডি প্রিন্টেড বাসা।

মোবাইল হোম

স্মার্ট হোম
স্মার্ট হোম হতে পারে ভবিষ্যতে সহজলভ্য

ভবিষ্যতের বাড়ির কথা বলতে গেলে বলতে হয়, শুধু বাড়ি না, এর স্থানও হয়ত হবে এমন যা আমাদের কল্পনাতেও আসেনি! জাহাজ বা নৌকায় ভাসমান বাড়ি, পর্বতের মাথা নির্মিত হাই-টেক কোন বাসা বা যখন তখন ইচ্ছেমত সরিয়ে অন্য কোথাও নিয়ে জাওয়া যায় এমন বাসা, ভবিষ্যতে দেখা মিলতে পারে সবধরনের স্থাপনারই! এসব বাসা পার্মানেন্ট হতে পারে না-অ পারে, তবে তারা আপনার মাথা গোঁজার ঠাই করে দেবে। কে জানে, এখন যেমন মানুষ সাথে করে তাবু নিয়ে গিয়ে রাত কাটায়, হয়ত তখন সাথে বাড়ি নিয়ে গিয়েই তা হবে!

ভূগর্ভস্থ বাসা

স্মার্ট ওয়াচ
ভবিষ্যতে সবকিছুর সাথে জড়িয়ে থাকবে প্রযুক্তি

প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনী শক্তির মূল। তাই প্রয়োজনেই হয়ত মানুষ এমন ভূগর্ভস্থ বাড়ির ব্যবস্থা করবে যেখানে থাকবে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সুবিধাদি। কারণ ভূগর্ভস্থ বাড়িতে এড়ানো যেতে পারে অনেক প্রাকৃতিক দূর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি। হয়ত উপরে সোলার প্যানেল লাগিয়ে ব্যবস্থা করা যেতে পারে এফিসিয়েন্ট এনার্জির।

এছাড়াও আরও অনেক ধরনের সুবিধাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকতে পারে আমাদের ভবিষ্যতের বাসা । বর্তমানেই তার অনেক আমরা দেখতে পাচ্ছি। বাসার তাপমাত্রা মাপতে চান বাসা থেকে অনেক দূরে বসে? সেজন্য আছে অ্যাপ। রাতে ঠিকভাবে ঘুম হচ্ছে কিনা? আছে স্মার্ট ব্যান্ড। জাপান প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে আমরা জানি, তারা ইতোমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে হোটেলে অতিথি আপ্যায়নের জন্য রোবট প্রচলন করেছে। তাই এমন আরও অনেক আবিষ্কার দিয়ে যে ভবিষ্যতের বাসা ভর্তি থাকবে না তা কে বলতে পারে?

তো, আপনার কী মনে হয়? কেমন হবে আপনার ভবিষ্যতের বাসা ? কী কী বদলাবে পৃথিবীর আবাসন ক্ষেত্রে? জানিয়ে দিন আমাদের কমেন্ট সেকশনে!

Write A Comment