Reading Time: 3 minutes

প্রথমবারের মত ফ্ল্যাট রঙ করার কথা ভাবছেন! তবে আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন এই কাজটি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ হতে যাচ্ছে। যেমন রয়েছে অনেক রকম রঙ তেমনি আছে রঙের নানা রকম টেক্সচার। আপনি যখন শোবার ঘরের রঙ বাছাই করতে যাবেন এমন হতেই পারে, এত রঙের বৈচিত্র্য দেখে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন। রঙের নানা রকম টেক্সচার হতে পারে সেই একটি পরিবর্তন যার কারণে, সম্পূর্ণ ঘর এক ভিন্ন রূপ ধারণ করে। আপনার জন্য এ বিষয়টি সহজ করতে রঙের নানা রকম টেক্সচার নিয়ে আজকের এই আয়োজন।

আরম্ভ করবার আগে, প্রথমত রঙ প্রণালী (কালার স্কিম) থেকে রঙ বাছাই করা। দ্বিতীয়ত, রঙ সাধারণত দুই ধরনের হয় এটি ভালো ভাবে বোঝা। তেল জাতীয় রঙ (ওয়েল বেসড) গুলো বেশি জনপ্রিয় তার স্থায়িত্ব এবং নমনীয়তার জন্য। তেল জাতীয় রঙ গুলো চকচকে এবং উন্নতমানের ফিনিশিং এর হয়ে থাকে যার কারণে, আপনার দেয়ালের টুকিটাকি অনেক কিছুই সহজেই ঢেকে ফেলা যায়।

পানি জাতীয় রঙ (ওয়াটার বেসড) গুলো তেল জাতীয় রঙের মতন তেমন স্থায়ী না হলেও ব্যবহারগত দিক থেকে অনেকটাই সহজ। এ জাতীয় রঙে পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই, বিষাক্ত পদার্থের মাত্রা কম থাকে, সহজে শুকিয়ে যায় এবং সময়ের সাথে স্থিতিশীল থাকে। আপনি যদি দেয়ালের ওপর পানি জাতীয় রঙ ব্যবহার করতে চান তবে, তেল জাতীয় রঙের ফিনিশ অবশ্যই প্রয়োজন। ইদানীং অনেক কোম্পানি এমন পানি জাতীয় রঙ তৈরি করছেন যা দেখতে তেল জাতীয় রঙের মত এবং মসৃণ ফিনিশিং ও টেক্সচার দিচ্ছে একই রকম। 

ম্যাট

দেয়াল রঙ করা হচ্ছে
নির্ভাবনায় থাকতে ম্যাট টেক্সচার ব্যবহার করুন

ম্যাট ফিনিসিং এর রঙ সবচেয়ে ঘন এবং সর্বোচ্চ কভারেজ থাকার জন্য জনপ্রিয়। এই ধরনের পেইন্টে কোন চকচকে ভাব বা জেল্লা নেই। ম্যাট টেক্সচারের রঙ গুলো সাধারণ ইন্টেরিয়ের জন্য অনেক উপযুক্ত। এই টেক্সচারে আপনার দেয়ালের ছোটখাটো ত্রুটি গুলো খুব সহজেই ঢেকে ফেলতে পারবেন কিন্তু প্রয়োজন ঘন রঙের একাধিক কোট। যদিওবা, সময় সময়ে এই রঙকে পুনরায় কোট দিতে হয় যা এই টেক্সচারকে একটু ব্যয়বহুল করে তোলে।  

হাই গ্লস

অনেকগুলা রঙের কৌটা
হাই গ্লস টেক্সচার আকর্ষনিয় আভা তৈরি করে

বাসার নির্দিষ্ট এরিয়াগুলো হাইলাইট করবার জন্য হাই গ্লস টেক্সচারটি একদম পারফেক্ট।  কর্নারে কিংবা কাঠের দেয়ালের উপর বেশী মানায় চকচকে ভাব এবং জেল্লার জন্য। হাই গ্লস টেক্সচারের ফলে এটি আলোর প্রতিবিম্ব তৈরি করে থাকে। তবে একটি অন্যতম সমস্যা হল এই রঙ শুকাতে বেশ সময় নিয়ে নেয়। এই টেক্সচারটি বেশি মানিয়ে থাকে আপনার লিভিং রুমে।

সেমি গ্লস

নীল রঙের কৌটা
সেমি গ্লস টেক্সচার ব্যবহার করতে পারেন জানালায়

সেমি গ্লস টেক্সচারে ফিনিসিং বেশ ঘন থাকে। তাই সমস্ত দেয়াল জুড়ে এটি ব্যবহার না করে বরং কর্নারে ব্যবহার করতে পারেন। যাদের পহন্দ একটু ব্যতিক্রম তাদের জন্য এটি খুব উৎকৃষ্ট প্রমাণিত হবে কেননা, এই টেক্সচারটি প্রতিফলিত একটি আভা দেয় যার মাধ্যমে ঘরে যেকোন বিবৃতি তৈরি করতে পারবেন। এছাড়া জানালা, দরজা এবং দেয়ালে এটি খুব সুন্দর মানায় যদিও, এটি আপনার ওপর ই নির্ভর করে আপনি কিভাবে ঘরের আবহ তৈরি করতে চান। উদাহরণ স্বরূপ, ম্যাট ফিনিসিং একটি ঘরকে অনেক নমনীয়তা প্রদান করে থাকে। কিন্তু, সেমি গ্লস টেক্সচার আপনার ঘরে এনে দিবে আকর্ষণীয় এবং উত্তেজনাময় আবহ।

স্যাটিন

মৃদু আভার জন্য ব্যবহার করুন স্যাটিন টেক্সচার

ম্যাট এবং গ্লসের মধ্যে একদম পারফেক্ট, মসৃণ এবং কম দীপ্তিময় যে ফিনিসিং দাঁড়াবে তাই সম্ভবত স্যাটিন টেক্সচার। এটি নিঃসন্দেহে আপনার দেয়ালের জন্য বেষ্ট অপশন, যেখানে হয়তো আপনাকে এটি পরিষ্কার করা নিয়ে নিয়মিত ভাবতে হবে। যদিও, আপনার উচিৎ এমন সব টেক্সচার একটু এড়িয়ে চলা যেখানে দেয়ালের খুঁটিনাটি আড়ালে থাকার বদলে বরং ফুটে উঠবে।

এগশেল

হালকা রঙের বাক্স
নানা রকম টেক্সচারের মধ্যে এগশেল সবচেয়ে জনপ্রিয়

মসৃণ ফিনিসিং এবং সূক্ষ্ম জেল্লার জন্য রঙের নানা রকম টেক্সচার এর মধ্যে এগশেল সম্ভবত সবচেয়ে উৎকৃষ্ট। বাকী যেকোন টেক্সচারের চেয়ে এটির স্থায়িত্ব অনেক বেশি সময়ের। এটি দেয়ালের দৃশ্যমান অসম্পূর্ণতা লুকানোর জন্য পারফেক্ট এবং একটি কোটই যথেষ্ট সম্পূর্ণ কাভারেজের জন্য। এগশেল সবচেয়ে বেশি উপযোগী বাথরুম এবং কিচেনের জন্য যেখানে নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজনীয়।   

রঙের নানা রকম টেক্সচার এর এই তালিকাটি নিয়ে কি ভাবছেন? নিচের কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে দিন! 

Write A Comment