Reading Time: 6 minutes

আচ্ছা, বলুন তো বাংলাদেশ একটি বাড়ি করতে কত টাকা লাগতে পারে? ৫০ লাখ? ১ কোটি? ১০ কোটি? সঠিক জবাব দেয়াটা কঠিনই বটে। কেননা, একটি বাড়ি নির্মাণ করতে প্রয়োজন হয় নানান উপকরণের যার মূল্যতে রয়েছে ভিন্নতা। ঠিক কেমন উপকরণ ব্যবহার করছেন তার উপরও কিন্তু খরচের পরিমাণ নির্ভর করে। যদিও নির্দিষ্ট করে কোন খরচের কথা বলা কখনই সম্ভব নয় কিন্তু বাংলাদেশে অথবা ঢাকায় বাড়ি নির্মাণ করার জন্য যেমন খরচ হতে পারে তার একটি আনুমানিক ধারণা অবশ্যই দেয়া সম্ভব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক, একটি বাড়ি করতে কেমন টাকা খরচ হতে পারে সেই আলোচনা!   

নির্মাণের জন্য জমি ক্রয়

জমি
ঢাকা শহরে  ফাঁকা জমি খুঁজে পাওয়া এখন দুষ্কর

বাড়ি বানানোর কথাই যখন আসবে, সবার আগে যা দরকার তা হল জমি। আর খরচের বিষয়টা অনেককাংশেই নির্ভর করে জমির দামের উপর। ঢাকা শহরে জমির দাম আক্ষরিক অর্থেই স্বর্ণের দামকেও হার মানায়। যদিও এলাকাভেদে জমির মূল্যের আছে রকমফের। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় প্রপার্টির চাহিদাও ভিন্ন। এলাকাভেদে, লোকেশনভেদে এমনকি একই জায়গার ভিন্নভিন্ন প্লটের দামও আলাদা। এছাড়া, জমি যদি এখনই বাড়ি নির্মানের জন্য প্রস্তুত না থাকে সেক্ষেত্রে, বাড়ি বানানোর বাজেট অনেকটাই বেড়ে যায়। কোন রেডি প্লট, যাতে পানি, বিদ্যুৎ বা গ্যাসের মত ইউটিলিটি সংযোগ প্রস্তুত আছে সেগুলোতে বাড়ি নির্মাণ করতে সময় এবং টাকা দুটোই বেঁচে যায়। এজন্যই কোন জায়গার রেডি প্লটগুলো সহজে পাওয়া যায় না। গেলেও তা খুব বেশি সময় ফাঁকা থাকে না, দ্রুতই বিক্রি হয়ে যায়।

আধুনিক যুগে, আধুনিক ডিজাইনের সুযোগ থাকায় মোটামুটি ২ কাঠা জায়গাতেই চমৎকার একটি বাড়ি বানিয়ে ফেলা সম্ভব। তবে জায়গা যতই ছোট হোক না কেন, বিশাল পরিমাণের অর্থে যোগান না থাকলে এ পথে পা না বাড়ানোই ভাল! ঢাকা শহরে ফাঁকা জমি আর নেই বললেই চলে। যে হাতেগোনা কয়েকটি আছে তার মধ্যে, মিরপুরে প্রতি কাঠা জমির দাম ২৫ লাখ টাকার কম নয়। আবার উত্তরায় প্রতি কাঠা বিক্রির শুরু হয় ৩ কোটি টাকা থেকে। গুলশানে তো কথাই নেই, এখানে ফাঁকা জমি পাওয়া দুষ্কর। যে দুয়েকটি আছে তা বিক্রি কমপক্ষে হচ্ছে ৭ থেকে ৮ কোটি টাকা প্রতি কাঠায়। এই এলাকাগুলো ঢাকার প্রধানতম এলাকা বলে দামও আকাশছোঁয়া বেশি। 

ঢাকার ভেতরে যদি জায়গা কেনা সম্ভব না হয়ে উঠে সেক্ষেত্রে আপনি ঢাকার আশেপাশে উন্নয়নশীল জায়গাগুলো দেখতে পারেন। এই এলাকার বাইরে দেখলে দাম কিছুটা কমতে পারে। আপনি রাজউক পূর্বাচল প্রকল্প সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে পারেন। এখানেও জমির দাম যে একেবারে কম তা নয় তবে প্রকল্পের আশপাশে থাকা বিভিন্ন বেসরকারি প্রকল্পে প্রতি কাঠা বিক্রি হচ্ছে ৯.৫ লক্ষ টাকার মত দামে যা অন্যান্য এলাকার তুলনায় সত্যিই কিছুটা কম।

মাটি/জমি সমান করে নির্মাণ কাজের জন্য প্রস্তুত করা

নির্মাণাধীন প্রকল্প
উঁচু নিচু জায়গা সমান করতে হবে নির্মাণকাজ শুরু করার আগেই

ঢাকায় বাড়ি নির্মাণ কাজে হাত দেয়ার আগে মাটি বা জমি সমান করে নিতে হয়। জমি কখনই বাড়ি তৈরির জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকবে না। কিছু জায়গা উঁচুনিচু থাকবে, কিছু জায়গায় হয়ত থাকবে গর্ত। নানা সমস্যা এড়াতে আগেই সেগুলো সঠিক ভাবে সমান করে নিতে হবে। এটি বাড়ি তৈরির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। জমি গ্রেডিং-এর সময় জমি থেকে অতিরিক্ত পানি যেমন সরিয়ে ফেলা যায় ঠিক তেমনি জমির মাটি ধুয়ে যাওয়া বা ক্ষয় হয়ে যাওয়া থেকেও একে রক্ষা করা যায়। এই জমি সমান করা বা লেভেলিং এর কাজটি করার জন্য বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও অভিজ্ঞ শ্রমিক দ্বারা এ কাজটি করানো হয়ে থাকে। আপনি চাইলে পুরাতন উপায়ে কোদাল, শাবল, দুরমুশ দিয়েও জমি সমান করার কাজটি করতে পারেন। তবে এটি যেমন ঘাম ঝরানো তেমনি সময়সাপেক্ষ। আর মেশিন দিয়ে করা লেভেলিং-এর ফিনিশিং সবসময় হাতে করার থেকে ভাল হবে। এজন্য অভিজ্ঞ কোম্পানী দিয়েই লেভেলিং করানো ভাল। 

লেভেলিং করতে খরচ কেমন হবে? এটি অনেকটা নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির রেপুটেশন আর আপনার দরদাম করার ক্ষমতার উপর। তবে, গড়ে প্রতি বর্গফুট জমি সমান করতে এখন ২১৬ থেকে ২৫০ টাকার মত খরচ হয়। এতে শ্রমিকের মজুরি আর যন্ত্রপাতির খরচ, উভয়ই অন্তর্ভুক্ত।

মাটি অপসারণের ব্যবস্থা করা

টয় ট্র্যাক
বাড়তি থাকা মাটি আপনি চাইলে বিক্রি করতে পারেন

জমি লেভেলিং বা সমান করার পরেই যে প্রশ্নটি মাথায় আসে তা হল, এই অপসারিত মাটি নিয়ে এখন কী করা যায়? বিক্রি করবেন, জমিয়ে রাখবেন নাকি কোথাও নিয়ে ফেলে দিবেন? সাধারণত বিক্রি করে দেয়াটাই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। নিজে জমিয়ে রাখতে গেলে অনেকখানি জায়গা নষ্ট হয়, আর কবে তা ব্যবহার করবেন আবার সে নিশ্চয়তাও নেই। অন্যদিকে, ফেলে দিতে গেলে উপযুক্ত জায়গা খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর, অন্য কেউ নিশ্চয়ই আপনার ফেলনা জিনিস তার জায়গায় রাখতে চাইবেন না? তাই মাটি ফেলতে হয়ত নিয়ে যেতে হবে অনেক দূরে যাতে জড়িয়ে আছে পরিবহন খরচের বিষয়টি। কিন্তু বিক্রি করে দিলে এর কোন ঝামেলাই আপনাকে পোহাতে হবে না, দেখা যাবে যার মাটি দরকার সে নিজ খরচায়ই মাটি নিয়ে যাচ্ছে। তবে অনেক সময় এই পরিবহন খরচ আপনাকেও বহন করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রতি ট্রাক মাটি পরিবহনে আপনার খরচ হবে কমপক্ষে এক থেকে দেড় হাজার টাকার মত। 

কাঁচামালের খরচ 

কন্সট্রাকশন সাইট
বাড়ি নির্মাণ করতে ব্যবহৃত হয় নানারকম কাঁচামাল

বাড়ি নির্মাণের জন্য একেক দেশে একেকরকম কাঁচামাল ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রে শহর থেকে দূরে থাকা বাড়িগুলো সাধারণত কাঠ দিয়ে তৈরি। যেখানে, হোক ঢাকায় বাড়ী নির্মাণ বা বাংলাদেশের অন্য কোথাও, প্রায় সব ধরণের জায়গাতেই প্রধান কাঁচামাল হিসেবে থাকে ইট। এর সাথে সাথে প্রয়োজন হয় সিমেন্ট, রড, খোয়া বা সুরকী, বালু এবং পানির মত কাচামালের। তাই চলুন দেখে নেই এসব কাঁচামাল কিনতে আপনার কেমন খরচ হতে পারে।

ইট 

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন বা বি.এস.টি.আই অনুমোদিত প্রতিটি ইটের মাপ, ১০×৫×৩ ইঞ্চি। তবে সবাই যে এই মাপ মেনেই ইট উৎপাদন করে তা না। বিভিন্ন দিক মাথায় রাখতে গিয়ে অনেক ইটই ৯×৪.৫×২.৮ ইঞ্চি আকারে বানানো হয়। ফলে দেখা যায়, বাড়ি নির্মাণে অনুমানের চেয়ে বেশি ইট লেগে যায়। কোন একটি বাসা বানাতে নির্দিষ্ট ঠিক কতগুলো ইট লাগবে তার হিসাব বের করা বেশ মুশকিল। তবে নির্ধারিত সাইজের ইটের ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ বর্গফুট নির্মানে প্রায় ৪৮০ টির মত ইটের প্রয়জন পড়বে। দেশের এখন প্রতি ট্রাক ইটের দাম প্রায় ২৭০০০ টাকার মত, এক ট্রাকে প্রায় ৩০০০টির মত ইট থাকে। পৃথিবীতে নতুন নতুন প্রযুক্তির আগমনে প্রায় প্রতিটি খাতেই এসেছে নতুনত্ব। ইট সাধারণত তৈরি হয় মাটি পুড়িয়ে যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তবে নতুন প্রযুক্তিতে পরিবেশের কম ক্ষতি করে এমন ইটও তৈরি হচ্ছে। তাই পরিবেশ সচেতন হলে আপনি বেছে নিতে পারেন পরিবেশ বান্ধব ইট

ষ্টীল বার/রড 

বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে ইটের পরপরই আসে স্টিল বার বা রডের কথা। ভবনকে মজবুত এবং টেকসই করতেই স্টিল বার/রড ব্যবহার করা হয়। মূলত পুরো ভবনের স্কেলেটন বা কাঠামো তৈরি হয় একের পর এক স্টিল বার বা রড জোড়া দিয়েই। এইচওয়াইএসডি (হাই ইয়েল্ডিং স্ট্রেনথ ডিফর্মড), টিএমটি (থার্মো মেকানিক্যাল ট্রিটমেন্ট ) বারস কিংবা ডিফর্মড বারসের মত ভিন্ন ভিন্ন ধরণের স্টিল বার ব্যবহৃত হয় পৃথিবী জুড়ে। তবে বাংলাদেশে মূলত ব্যবহৃত হয় মাইল্ড স্টিল বা সংক্ষেপে এম.এস রড/বার। এম এস বারের সবচেয়ে বড় যে সুবিধাটি তা হল, এর টেনসাইল স্ট্রেন্থ কম। অর্থ্যাৎ এগুলোকে অনেকখানি বাঁকা করলেও তা ভেঙে পরে না। তাই দেশে এম এস রড এত জনপ্রিয় এবং অধিকাংশ বাড়ি নির্মাণেই এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সবচেয়ে ভাল মানের রড যা ৭২-গ্রেড এম এস রড নামে পরিচিত, তার বিক্রয় মূল্য বর্তমানে প্রতি টন ৭০ হাজার টাকার উপরে। সম্প্রতি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে রডের দাম হুট করেই বেড়ে গিয়েছে। গড়ে প্রতি ১০০ বর্গফুট জায়গার জন্য ১৫০ কেজির মত রডের প্রয়োজন হয়।

সিমেন্ট

নতুন প্রস্তাবিত ট্যাক্সের কারণে, রডের মতি সম্প্রতি সিমেন্টের দামও বেড়েছে। ইট এবং রডের মতই সিমেন্টও বাড়ি নির্মাণের এক অপরিহার্য উপাদানের নাম। সিমেন্টই সেই উপাদান যা অন্যান্য উপাদানসহ সম্পূর্ণ ভবনকে এক করে ধরে রাখে। আর প্রয়োজনীয়তা অনুসারে সিমেন্ট পরিমাণেও লাগে অনেক। প্রতি ১০০ বর্গফুটের জন্য প্রয়োজন হয় ৭ ব্যাগ (প্রতি ব্যাগের ৫০-কিলোগ্রাম) সিমেন্টের। বর্তমান বাজারে প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের মূল্য ৪৬০ – ৪৭০ টাকা। 

অন্যান্য 

ইট, রড আর সিমেন্ট, এই ৩টি প্রধান উপাদান ছাড়াও সুরকী, বালু পানির মত আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা বাড়ি নির্মাণে অপরিহার্য। এখন এসব অন্যান্য উপাদান কী পরিমাণে লাগবে তা নির্ভর করে ভবনের আকারের উপর। এক ট্রাক ইটের খোয়া বা সুরকীর দাম ১৬ হাজার টাকার মত যা কিনা প্রতি ১৯০-২০০ বর্গফুট জায়গা নির্মাণে ব্যবহার করা যায়। আর একই পরিমাণ জায়গার জন্য বালু কিনতে আপনার খরচ হবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার মত। ঢাকা মেট্রোপলিটন বা এর আশেপাশের এলাকায় পানিও কিন্তু বেশ দামি একটি উপকরণ। প্রতি লরি, যাতে থাকে ৫৪০০ লিটার পানি, পেতে আপনাকে গুনতে হবে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার অব্দি।

এসবের বাইরে উপযুক্ত নির্মাণ শ্রমিক নিয়োগ দেয়া বিষয়টিও কিন্তু অত্যন্ত জরুরী। ঢাকায় বাড়ি নির্মাণ নিয়ে আপনার সকল পরিকল্পনাই ভেস্তে যেতে পারে যদি না নির্মাণ শ্রমিক হয় দক্ষ। এক্ষেত্রে সাব-কন্ট্রাকটর নিয়োগ দেয়া যেতে পারে যিনি বা যারা সমস্ত নির্মাণ কাজ দেখভাল করবেন। 

দেশে বিশেষ করে ঢাকায় বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে প্রয়োজন প্রচুর উপাদান এবং প্রস্তুতির। আর এসব উপাদান সম্পর্কিত আলোচনা বেশ একঘেয়েও বটে। তাই একটি বাড়ি নির্মাণ করতে কেমন খরচ পড়তে পারে তা আমরা দুটি আলাদা ভাগে ভাগ করে লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি ছিল আমাদের প্রথম পর্ব। দ্বিতীয় পর্বে বাকি থাকা অন্যান্য বিষয় নিয়ে হাজির হব। এই প্রথম অংশ আপনার কেমন লাগলো? কোন গুরুত্বপূর্ণ অংশ কি বাদ পড়ে গিয়েছে? অথবা আছে কোন তথ্যগত ত্রুটি? আমাদেরকে মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না যেন! আর দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশের সংগে সংগে তা পেতে চাইলে এখনই সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের বিপ্রপার্টি ব্লগে!

বাড়ি নির্মাণের খরচের ব্যাপারে আরোও জানতে এই আর্টিকেলের দ্বিতীয় অংশ পড়ুন!

8 Comments

  1. Abdullah

    Purbachal New Town, Land price now a minimum of 50 lac per Katha. So 9.5 lac tk Katha is wrong.

  2. Shahriar Rahman

    Abdullah স্যার, অনেক ধন্যবাদ বিষয়টি আমাদের নজরে আনবার জন্য। অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলটির জন্য আমরা সত্যিই দুঃখিত, এখন এটি ঠিক করে নেয়া হয়েছে। আপনাদের এমন অংশগ্রহণই আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায় আরও ভাল কিছু করবার। বিপ্রপার্টি ব্লগের সাথেই থাকুন।

  3. Sakib Shahriar sadat

    Thanks for such a nice article which is quite helpful to me.

  4. Shahriar Rahman

    ধন্যবাদ আপনাকে Sakib Shahriar sadat, এই লেখাটি আপনাকে ঠিক কিভাবে সাহায্য করেছেন আমাদের জানাতে ভুলবেন না।
    শীঘ্রই এই লেখার দ্বিতীয় পর্ব আসছে, আশা করি সেটিও আপনার সমান ভাল লাগবে!

  5. md. ashaduzzaman

    thanks a lot for a preliminary informarion on civil engineering materials

  6. Md.Salauddin

    How much approximate Cost(per sft) to make building in Dhaka city

  7. Shahriar Rahman

    Thanks for your query Mr. Salauddin.
    However, there is no exact number we can mention. It depends on various factors including the location of the construction itself and the building materials used.

Write A Comment