Reading Time: 3 minutes

বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে সাশ্রয়ী বাসা ঢাকার একেক এলাকায় একেক রকম। কিছু কিছু এলাকায় যেমন প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে বসবাসের পরিবেশ এবং কমিউনিটি লাইফে। কিন্তু, আপনি যদি প্রপার্টি ভাড়ার জন্য উপযুক্ত এলাকা খুঁজে থাকেন তাহলে আপনাকে এমন এলাকা খুঁজে নিতে হবে যেখানে, প্রপার্টির ভাড়া হবে সাশ্রয়ী এবং থাকবে সবরকম দৈনন্দিন সুযোগ সুবিধা। তবেই না আপনার প্রপার্টিটি একটি সফল বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হবে। সুতরাং, আপনাকে এমন কয়েকটি এলাকা বা লোকেশন সম্বন্ধে জানতে হবে যেখানে ভাড়ার জন্য প্রপার্টি কখনোই বেশি দিন খালি থাকে না বা যেখানে ভাড়ার জন্য প্রপার্টির বেশ চাহিদা রয়েছে। তাই আজকে বেশ কিছু এলাকার নাম লিখব যেখানে প্রপার্টির মূল্য বেশ ভালো। চলুন শুরু করা যাক। 

বনশ্রী

ঢাকার অন্যান্য এলাকার তুলনায় বনশ্রীতে বাড়ি ভাড়া অনেক বেশি সাশ্রয়ী। এলাকার পরিবেশ অনন্য। বেশ সুন্দর। এই এলাকা যে কাউকেই আপন করে নিতে পারে। নতুন কেউ এখানে থাকতে এলেও খুঁজে পায় স্বস্তি আর নির্ভরতা। সোশ্যাল লাইফ বা ফ্যামিলি লাইফকে সম্পূর্ণআকারে ধারণ করে এই এলাকাটি। এখানে কমিউনিটি লাইফ চমৎকার। বসবাসের সকল সুযোগ সুবিধার সাথে এখানে রয়েছে ভাড়া প্রপার্টির মূল্য। অর্থাৎ এক কথায় এই এলাকা যেমন বসবাসের জন্য সেরা তেমনি আপনি যদি এখানে প্রপার্টি ক্রয় করে ভাড়ায় দেন সেটা কখনোই বেশি দিন খালি থাকবে না। এই এলাকার চাহিদা এতটাই বেশি। কেননা, বনশ্রী হল সমস্ত ধরণের সুযোগ-সুবিধাসহ একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক এলাকা। এই এলাকাটি বিভিন্ন ব্লকে বিভক্ত এবং ঢাকার বাকি এলাকার সাথে এই এলাকার সংযুক্তি বেশ চমৎকার। আপনি যেখানেই যেতে চান না কেন সহজেই যেকোন যানবাহনের সাহায্যে পোঁছে যেতে পারবেন। পয়েন্ট এ থেকে পয়েন্ট বি তে পোঁছাতে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে ব্রিজ। প্রতিটি ব্লগের ভেতরের রাস্তাগুলোও বেশ চমৎকার। এমনকি প্রতিটি ব্লগে রয়েছে, নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা এবং সুপার শপ। এগুলো সবকিছুই বনশ্রীকে প্রপার্টি ভাড়ার আদর্শ এলাকা হিসেবে আকর্ষণীয় করে তোলে।

মিরপুর

ঢাকার ভেতর ভাড়ায় বাসা নিয়ে থাকার জন্য বলতে গেলে সবচেয়ে মানসম্মত এলাকা এই মিরপুর। এই এলাকায় প্রয়োজনীয় ও আবাসিক সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। অত্যাধুনিক হাসপাতাল থেকে শুরু করে নামীদামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবকিছুই এই এলাকায় পাওয়া যায়। মিরপুর ঢাকার অন্যতম একটি আবাসিক এলাকা এবং এর সুনাম রয়েছে বেশ। বসবাসের জন্য প্রাথমিক সকল সুবিধা বাদেও এখানে আরও অনেক সুবিধা রয়েছে যেগুলো এই এলাকাকে করে তুলেছে আরও আকর্ষণীয়। এলাকাটি রাজধানীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যেমন আগারগাঁও, বনানী, ধানমন্ডি ইত্যাদির সাথে ভালভাবে সংযুক্ত রয়েছে। চলমান মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলে মিরপুরের জীবনযাত্রার মান আরও বাড়বে।

মোহাম্মদপুর

ঢাকার অন্যতম সেরা একটি পরিকল্পিত এলাকা এই মোহাম্মদপুর। মোহাম্মদপুরের মত আর কোন এলাকায় এমন হাউজিং সোসাইটি নেই। রাস্তাঘাট, দুর্দান্ত সামাজিক অবকাঠামো এবং অন্যান্য আরও সুযোগ-সুবিধা সবকিছু মিলেই মোহাম্মদপুর এলাকাটিকে ভাড়ার জন্য করে তুলেছে আকর্ষণীয়। এই এলাকার আশেপাশে কি নেই! বিশ্বমানের ফিটনেস সেন্টার, নামী দামী স্কুল ও হাসপাতাল সবকিছুই রয়েছে এখানে। রয়েছে আগারগাঁও ও শেরে-ই-বাংলা নগরের হাসপাতাল সমূহ। ভাড়া ও সুযোগ-সুবিধার সামঞ্জস্যে ঢাকার সেরা এলাকা গুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে মোহাম্মদপুরের নাম আসবে। এই এলাকাটি শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যেমন গাবতলী, মিরপুর, ধানমন্ডি এবং শেরে-বাংলা নগরের সাথে যুক্ত আছে।

দক্ষিণখান

Dakshin Khan area

সবসময় ব্যস্ততা লেগে থাকা বিমানবন্দরের ঠিক বিপরীতেই দক্ষিণখান বসবাসের জন্য একটি শান্ত এলাকা। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ার পরও মানসম্মত জীবন যাপনের জন্য সব ধরণের সুযোগ সুবিধা এই এলাকায় রয়েছে। সকল সুযোগ সুবিধা এখানে থাকা স্বত্বেও এই এলাকার জীবনযাত্রার মান অন্যান্য এলাকার তুলনায় অনেক কম। এটাই একটা অন্যতম কারণ ভাড়া ও সুযোগ-সুবিধার সামঞ্জস্যে ঢাকার সেরা এলাকা হয়ে ওঠার। বিমানবন্দর ও রেল স্টেশন কাছে হওয়ায় ঢাকার অন্যান্য অংশের সাথে সংযুক্তি রয়েছে। যদিও এই এলাকায় অনেক নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা চিকিত্সা সুবিধা নেই, তবে বসুন্ধরা ও উত্তরায় এ জাতীয় সকল সুবিধাই রয়েছে। এছাড়াও, পাশেই পূর্বাচল হওয়ায় চলমান উন্নয়নের কথা বিবেচনা করলে দক্ষিণখান এলাকাটির ভবিষ্যত সত্যই উজ্জ্বল। তাই এই এলাকায় বাসা ভাড়া নিতে চাইলে ঘুরে আসুন এই লিংক হয়ে

বাসাবো

ঢাকার প্রধান রেলস্টেশন স্থানান্তরিতকরণে ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের পুনর্বাসনের জন্য রেলওয়ে ডাইভার্সন বিভাগ দ্বারা নির্মিত আবাসিক অঞ্চলগুলির মধ্যে বাসাবো অন্যতম। কমলাপুর রেল স্টেশন খুব নিকটবর্তী হওয়ায় বাসাবোতে অন্যান্য বড় জায়গাগুলির সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ সহজ আর পাশাপাশি এলাকা হিসেবে বেশ সাশ্রয়ী। এছাড়াও, নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলে এলাকাটি মেট্রোরেলের যোগাযোগের অধীনে থাকবে। এলাকাটির উত্তরে খিলগাঁও, দক্ষিণ-পশ্চিমে মতিঝিল এবং পশ্চিমে কমলাপুর রয়েছে। সুতরাং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধার কোনও ঘাটতি নেই এখানে। সব মিলিয়ে বাসাবোতে অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেওয়ার জন্য চমৎকার। যারা নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য তো এই এলাকাটি আসলেই সেরা। ভাড়া ও সুযোগ-সুবিধার সামঞ্জস্যে ঢাকার সেরা এলাকা গুলোর মধ্যে এই এলাকাটি নিঃসন্দেহে জায়গা করে নেয়।

উপরে উল্লেখিত এলাকাগুলো থেকে আপনার পছন্দের এলাকা কোনটি। জানিয়ে দিন কমেন্টে।

Write A Comment