Reading Time: 3 minutes

কয়েকদিন বাদেই আসছে পবিত্র মাহে রমজান। এই পবিত্র মাসে এমন অনেকেই আছেন যারা অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও পবিত্র রোজা পালন করে থাকেন। সেই সাথে যারা সুস্থ আছেন তারাও পুরোদমে রোজা করেন। সুতরাং, সুস্থ থাকার কোন বিকল্প নেই।  আমরা জেনে নেই কী কী খেলে রোজার মাসেও থাকা যাবে সুস্থ! চলুন বিস্তারিত জানি রমজানে সুস্থ থাকতে কখন কী খাবেন এবং করবেন! এবারের রমজান পড়েছে বলতে গেলে গরমকালেই! দিনভর রোজা রাখায় শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। যদিও একজন রোজাদার ইফতারে কি খাবেন তা নির্ভর করে তার বয়সের উপর। তবুও কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে শরীরের জন্য কেবল সুস্থতাই বয়ে আনবে।

সুস্থ থাকতে যা খাবেন

সারাদিন রোজা থেকে অনেক কিছুই খেতে ইচ্ছে করে কিন্তু তাই বলে সব কিছু খাওয়া যাবে না। রোজায় শরীরে প্রচুর পানির চাহিদা দেখা দেয়। তাই এ সময় শরীরকে হাইড্রেট রাখতে প্রচুর পানি, মৌসুমি ফল ও সবজির জুস বা স্মুদি, ঠাণ্ডা খাবার এবং আঁশজাতীয় খাবার খেতে হবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত চিনিযুক্ত জুস বা খাবার না খেয়ে প্রাকৃতিক খাবার থেকে অ্যানার্জি নেয়াই ভালো। এই সময় ভাজাপোড়া ও ভারী খাবার খেলে পেটের সমস্যা, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, অবসাদ, আলসার, অ্যাসিডিটি, হজমের মত নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সুস্থ শরীরে ও ওজন না বাড়িয়ে পুরো রোজার মাস ভালো থাকার জন্য একটা ব্যালেন্স ডায়েট খুবই দরকার। গরমকাল অনুযায়ী কেমন খাবার খাওয়া উচিত তা ব্লগের শুরুতে জেনেই গেছেন। এই মাসে চা, কফি একদম এড়িয়ে চলতে হবে। এগুলো খাওয়ার ফলে পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ঘুমের সমস্যা হয়ে থাকে। এছারাও ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত তৈলাক্ত খাবার বেশি খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু রমজান মানেই যেন সব মজাদার খাবারের আয়োজন। কিন্তু নিজের দেহের সুস্থতার জন্য এই সব এড়িয়ে চলতেই হবে। আপনি চাইলে একটু আধটু খেতে পারেন সেক্ষেত্রে পরিমান মেনে খেতে হবে। খাবার পরিমিত খেলে যেমন শরীর সুস্থ থাকে তেমনি ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। মনে প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে খাবো কী? ইফতারে যা ই খাবেন একটু ভেবে খেতে হবে। খুব ভালো হয় যদি ইফতারের সময়কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। মাগরিবের আজানের সাথে হালকা কিছু খেয়ে রোজা ভেঙ্গে এরপর বাকি খাবার নামাজের পর খেলে শরীর ভালো থাকবে। নয়তো বা বেশি খেয়ে ফেলা হয়ে যায়।

ফল
ফলমূল খেতে হবে

ইফতারের খেজুর খেতে পারেন ৩ থেকে ৪ টা! হালকা গরম সবজি, মাশরুম, চিকেন বা ওটস স্যুপ ১ বাটি, সেদ্ধ ছোলা আধা বাটি, মুড়ি, ১টি সেদ্ধ ডিম, যে কোনো ফলের জুস যেমন আখের রস, কচি ডাবের পানি, দইয়ের লাচ্ছি, কয়েক ধরনের ফল ও দই মিলিয়ে তৈরি করা যায় স্মুদি অথবা খেতে পারেন ১ গ্লাস লাবাং। মাগরিবের নামাজের পর কম মিষ্টির পায়েস, পুডিং বা চিড়া-দই অথবা মিক্সড ফল দিয়ে ওটস ১ বাটি, প্যানকেক, কাটা ফল, ফলের সালাদ, ফলের কাস্টার্ড অথবা খেতে পারেন বেশি করে সবজি দিয়ে নুডলস, চিকেন মোমো, ঘরে তৈরি মুরগির হালিম। এ ছাড়া ইফতারে খেজুর বা খোরমা, ঘরের তৈরি বিশুদ্ধ শরবত, কচি শসা, পেঁয়াজু, বুট মৌসুমি ফল থাকা ভালো। ঠিক এমনভাবেই রাতের এবং সেহরির খাবারটাও খেয়ে নিবেন। মনে রাখবেন হালকা খাবার শরীরকে ঝরঝরা রাখে এবং সুস্থ রাখে।

সুস্থ থাকতে যা করবেন 

পাথর
কিছুক্ষণ হাটুন নিজেকে সময় দিন

সারাদিন  রোজা রাখার ফলে শরীরে যে পানির চাহিদা তৈরি হয় তা মিটাতে সারারাত যতটুকু সম্ভব পানি পান করুন। পানির কোন বিকল্প নেই। মনে রাখবেন ইফতারে কোন ভাবেই পেট ভরে কিংবা বেশি বেশি খাবার খাওয়া যাবে না। বেশি খাবার খেলে ওজন বাড়ার একটা ভয় থাকে। সারদিন রোজা রেখেছেন দেখে ইফতারের পর যা খুশি তাই খাওয়া যাবে না! স্বাস্থ্যকর খাবার সব সময়ই খেতে হবে। রোজা রেখেছেন বলে ব্যায়াম করা যাবে না তা কিন্তু নয়। রোজ হিসেব করে ২০ মিনিট ব্যায়াম করবেন। এতে শরীর ভালো লাগবে। দুপুরের পর একটু ঘুমিয়ে নিবেন তাহলে আর রোজার ক্লান্তিতে আপনার শরীর ভেঙ্গে পরবে না। বরং আরও ফ্রেশ লাগবে আরও শক্তি খুঁজে পাবেন।  নিজেকে অ্যাকটিভ রাখা যাবে। এই ডায়েট চার্টটা আপনি অফিস কিংবা বাসায়, যেখানেই থাকুন না কেন যেকোন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারবেন। 

Write A Comment