পরিবাবের সাথে বসবাসের জন্য যদি ঢাকায় একটি স্পন্দনশীল এলাকা চিন্তা করেন তাহলে কাঁঠালবাগান আপনার নিখুঁত পছন্দ হবে। কাঁঠালবাগান এলাকাটি কলাবাগান, কারওয়ান বাজার এবং হাতিরঝিল এলাকার সংলগ্ন। এই এলাকায় সাশ্রয়ী ও বাজেটের মধ্যে নির্মল এবং নিরিবিলি জীবনযাপণ করা যায়। হাঁটামাত্র দূরত্বে নাগরিক জীবনের প্রয়োজনীয় সকল মুদির বাজার, এটিএম বুথ এবং ক্যাফের ব্যবস্থা আছে।
কাঁঠালবাগান থেকে যাতায়াত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা
- কাঁঠালবাগান সংলগ্ন সবুজ রাস্তা মিরপুর রোডের সাথে যুক্ত হয়ে নিউমার্কেট ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় এলাকার সাথে মিলিত হয়েছে। সোনারগাঁও রোড কারওয়ান বাজারের সাথে মিলিত হয়ে পান্থপথ ও কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ এর সাথে যুক্ত হয়েছে। স্বচ্ছন্দে চলাচলের জন্য এই এলাকায় রিক্শা ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। সংলগ্ন হাতিরপুল এলাকা ভূতের গলি রোডের মাধ্যমে যাওয়া যায়। পাবলিক পরিবহন ব্যবহারের জন্য অনেক বাস স্টপেজ আছে এই এলাকায়।
কাঁঠালবাগানের ফ্ল্যাট এবং প্রপার্টিসমূহ
- বিভিন্ন বৈশিষ্ঠ্যের আবাসনের পর্যাপ্ততার কারণে কাঁঠালবাগান সকল শ্রেণীর মানুষের পছন্দের এলাকা হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। নানান পছন্দের মানুষের আগ্রহের কথা বিবেচনা রেখে এই এলাকায় বিভিন্ন আয়তনের ফ্ল্যাট এর সুযোগ আছে। বেশিরভাগ ফ্ল্যাটে ২টি এবং ৩টি বেডরুম থাকে। ফ্ল্যাটের আকার সাধারণত ৮০০ বর্গফুট থেকে শুরু হয়ে ১৬০০ বর্গফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। মিতব্যয়ী শ্রেণীর জন্য এই এলাকায় নানা ধরণের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। বাজেট নিয়ে চিন্তিত নয় এমন নাগরিকদের জন্য গ্রীণ রোডে বেশকিছু ফ্ল্যাট আছে। টেকসই এবং সাশ্রয়ী বেশকিছু ফ্ল্যাট ফ্রি-স্কুল রোডে পাওয়া যায়।
কাঁঠালবাগানের জীবন যাপন এবং কমিউনিটি
- কাঁঠালবাগানে বেশকিছু জনপ্রিয় ক্যাফে ও রেস্তোরা’র শাখা আছে। যেখানে স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় ভ্রমণ করে পরিবার ও বন্ধুদের সাথে ভালো বিনোদনমূলক সময় কাটাতে পারে। এলাকাটি মধ্যবিত্ত এবং তরুণদের কেনাকাটার জন্য জনপ্রিয় এলাকা হিসাবে পরিচিত। দেশের প্রথম এস্কেলেটর যুক্ত বিপণীবিতান ইষ্টার্ণ প্লাজা এই এলাকায় অবস্থিত। আরো আাছে বিভিন্ন স্টেশনারী দোকান, মুদিখানা, সুপার শ্প এবং ক্যাফে যেখানে ব্যস্ত সময়ের পর স্থানীয়রা বিনোদনমূলক কাটাতে পারে। দেশের বর্তমান প্রধান জনপ্রিয় বিপণীবিতান বসুন্ধরা সিটি শপিং মল মাত্র ১৫ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত।
কাঁঠালবাগানের স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়
- স্থানীয়দের সুশিক্ষা নিশ্চিতের জন্য এই এলাকায় খান হাসান আর্দশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেন্ট্রাল হাসপাতাল নাসিং ইনস্টিটিউট এবং এমসিসি স্কুল এন্ড কলেজ হাঁটা মাত্র দূরত্বে অবস্থিত।
কাঁঠালবাগানের হাসপাতাল ও চিকিৎসা জরুরি ব্যবস্থা
- বেশকিছু মানসম্মত এবং আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ হাসপাতার আছে এই এলাকায় যা নাগরিকদের জরুরি চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধ পরিকর। যেমন: পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল, ডিটারিন ও নিউট্রিটনশন ও রিলান্স হাসপাতাল এবং রেনাল হাসপাতাল।