সর্বোৎকৃষ্ট, সুরুচিসম্পন্ন এবং জাকজমকপূর্ণ, রাজকীয় জীবন ধারার এলাকা বলতে যা বুঝায়, গুলশান হচ্ছে তার সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত। সেটা একটা বিলাসবহুল রেস্টুরেন্ট অথবা অবসর সময় কাটানোর জন্য কোনো পার্কই হোক না কেন, গুলশান এলাকায় এর সবকিছুই আছে। ঢাকায় যারা অভিজাত এবং জাকজমকপূর্ণ রাজকীয় জীবন যাপন করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য গুলশানে উপযুক্ত ফ্ল্যাট রয়েছে ।
গুলশানের থেকে যাতায়াত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা
- গুলশান এলাকায় যোগাযোগ এবং যাতায়েত এ সময় কতক্ষন লাগবে, তা নির্ভর করছে যানবাহন এবং ট্রাফিক এর অবস্থার উপর। গুলশানের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং এর রাজকীয় পরিবেশগত মান অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে,এখানে ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া অন্যান্য যানবাহন ব্যবহার যেমন রিক্সা,সি এন জি, অথবা পায়ে হেটে পথচলা ইত্যাদি কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। গুলশান থেকে উত্তরার দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার এবং ৩৮ মিনিটের ড্রাইভ,বারিধারা জে-ব্লক ৪ কিলোমিটার দূরত্ব এবং ১৩ মিনিটের ড্রাইভ, বসুন্ধরা ১০ কিলোমিটার দূরত্ব এবং ২৮ মিনিটের ড্রাইভ,বনানী গুলশানের একেবারেই পাশে অবস্থিত মাত্র ৯ মিনিটের ড্রাইভ। গুলশান ২ এর বাসস্ট্যান্ড হচ্ছে গুলশানের সবচেয়ে নিকটস্থ বাসস্ট্যান্ড এবং গুলশান থেকে এয়ারপোর্টের দূরত্ব হচ্ছে ১০ কিলোমিটার।
গুলশানের ফ্ল্যাট এবং প্রপার্টিসমূহ
- যারা বিলাসবহুল জীবন ধারার আবাসন খুঁজছেন, গুলশান হচ্ছে সেই অর্থে অত্যন্ত লাভজনক এলাকা। বসার ঘর এবং খাবারের ঘর সহ ১ বেডরুমের ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে ৭ বেডরুমের ডুপ্লেক্স রয়েছে এখানে, যার আয়তন ১০০০ স্কয়ার ফিট থেকে শুরু করে ৬০০০ স্কয়ার ফিট পর্যন্ত হয়ে থাকে। মূলত সম্পূর্ণ বিষয়টি ব্যক্তির পছন্দের উপর নির্ভর করে। সাধারণত ৩ থেকে ৪ টা বেডরুমের ফ্লাট গুলো সবচেয়ে আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। গুলশানকে বসবাসের শীর্ষস্থানীয় আভিজাত্য এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণত বিলাসবহুল, অভিজাত এবং জাকজমকপূর্ণ জীবনধারায় অভ্যস্ত ব্যক্তিরা গুলশানের অধিবাসী হিসেবে আলিঙ্গন করে থাকে।
গুলশানের জীবন যাপন এবং কমিউনিটি
- গুলশানের বাসিন্দাদের বৈচিত্রপূর্ণ বিনোদনের সুযোগ রয়েছে। সারাদিনের কাজ শেষে লাউঞ্জ, ফাস্ট ফুড এবং চাইনিজ রেস্টুরেন্ট গুলোতে যোগদান করে ভালো মানের খাবার, সেবা এবং আরামের সুব্যবস্থা সম্পন্ন একটা পরিবেশ উপভোগ করার মাধ্যমে কাজের একঘেয়েমি দূর করার সুযোগ রয়েছে। গুলশান এলাকার মধ্যে জাপানিজ , ইতালিয়ান, কোরিয়ান, চাইনিজ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের রেস্টুরেন্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যা এখানকার অধিবাসীদের বিভিন্ন দেশের দেশীয় খাবার উপভোগ করার মাধ্যমে ভিন্ন ধরণের অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করে। খাবার দাবার এর পাশাপাশি সুস্বাস্থ্যের জন্য রয়েছে গুলশান লেক, পার্ক, গুলশান ইয়ুথ ক্লাব, এবং উন্নত মানের বিভিন্ন শরীরচর্চার জন্য প্রতিষ্ঠান।এছাড়াও দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কেনাকাটার চাহিদা পূরণের জন্য রয়েছে সুপার শপ এবং শপিংমল যেমন আগোরা, স্বপ্ন, মিনা বাজার এবং গুলশান পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্স শপিংএর জন্য খুব জনপ্রিয় একটি শপিং মল।
গুলশানের স্কুল / কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়
- শিক্ষা মূলক উদ্দেশ্যে এই এলাকার অধিবাসীদের জন্য সুপরিচিত স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেমন অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা, নিউ স্কুল ঢাকা ছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়। যেমন প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ইত্যাদি। এই সকল আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো এখানকার অধিবাসী ছাত্র ছাত্রীদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
গুলশানের হাসপাতাল এবং জরুরি চিকিৎসা সেবা
- প্রত্যেক মানুষের জীবনেই সুস্বাস্থ্যের জন্য, জরুরি সাস্থ্য সেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঢাকার সবচেয়ে ভালো হাসপাতাল ইউনাইটেড হাসপাতাল গুলশান এলাকায় অবস্থিত, যা গুলশান বাসীর জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে। এছাড়াও রয়েছে অসংখ্য ফার্মাসি /ড্রাগস্টোর্স ইত্যাদি।