ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট হলো শহরের অন্যতম ব্যস্ত ও কোলাহলপূর্ণ জায়গা। সদরঘাটের আশেপাশে কিছু আবাসিক এলাকা আছে যা ঢাকা শহরের অন্যান্য এলাকা থেকে সাশ্রয়ী। সুত্রাপুর তাদের মধ্যে একটি যা সদরঘাটের কাছেই অবস্থিত। ঐতিহাসিক শহর পুরান ঢাকা মাত্র কয়েক মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। স্থানীয়দের জীবন সুন্দর, সহজ ও নির্মল করার জন্য এই এলাকায় বিভিন্ন দোকান, মুদিখানা, খোলা মাঠ এবং পার্ক আছে।
সুত্রাপুর থেকে যাতায়াত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা
- সুত্রাপুর এলাকাটি ঢাকার দক্ষিণাংশে অবস্থিত এবং ঢাকার অন্যান্য এলাকার সাথে ভালোভাবে সংযুক্ত। নতুন দেওয়ানগঞ্চ রোডের মাধ্যমে এই এলাকা থেকে বের হয়ে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের সাথে গিয়ে সংযুক্ত হয়েছে। অতীশ দীপঙ্কর রোড এই এলাকা থেকে বের হয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সাথে যুক্ত হয়েছে। সুত্রাপুর থেকে যাত্রাবাড়ী মাত্র ১০ মিনিটে অতিক্রান্ত করা যায়। যাতায়াতের জন্য এই এলাকায় নিয়মিত ভ্রমণের উপায় হিসাবে ব্যবহৃত হয় বাস, সিএনজি, রিকশা এবং অন্য অনলাইন অ্যাপ্স যেমন উবার এবং পাঠাও।
সুত্রাপুরের ফ্ল্যাট এবং প্রপার্টিসমূহ
- ঢাকার বেশিরভাগ এলাকায় ফ্ল্যাটগুলোর সাথে সুত্রাপুরের বিক্রয়যোগ্য ফ্ল্যাটগুলোর তুলনা করা যায়। বিভিন্ন বৈশিষ্ঠ্যের আবাসনের পর্যাপ্ততার কারণে সুত্রাপুর সকল শ্রেণীর মানুষের আগ্রহের কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে। বিভিন্ন পছন্দের মানুষের আগ্রহের কথা বিবেচনা রেখে এই এলাকায় বিভিন্ন আয়তনের ফ্ল্যাট এর সুযোগ আছে। বেশিরভাগ ফ্ল্যাটে ২টি এবং ৩টি বেডরুম থাকে। ফ্ল্যাটের আয়তন সাধারণত ৬০০ বর্গফুট থেকে শুরু হয়ে ২০০০ বর্গফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। মিতব্যয়ী শ্রেণীর জন্য এই এলাকায় নানা ধরণের সাশ্রয়ী ফ্ল্যাট পাওয়া যায়। ফ্ল্যাট এর মূল্য ফ্ল্যাটের উপলব্ধি সুবিধা অনুযায়ী নির্ধারণ হয়ে থাকে।
সুত্রাপুরের জীবন যাপন এবং কমিউনিটি
- দেশের অনেক ঐতিহাসিক নির্দশনের অবস্থান হলো পুরান ঢাকায়, যা সুত্রাপুরের পাশেই অবস্থিত। এই এলাকায় হাঁটা মাত্র দূরত্বে রাস্তার পাশে অনেক ভাসমান খাবারের দোকান ও রেস্তোরা আছে। নাগরিক জীবনকে সহজ ও ভাবনাহীন করতে বিভিন্ন ধরণের ব্যাংক, এটিএম বুথ এবং মুদিখানা আছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এই এলাকায় অবস্থিত। মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরত্বে ঐতিহাসিক লালবাগ দুর্গ অবস্থিত, যা মোগল স্থাপত্যের অন্যান্য নিদর্র্শন বহন করছে আমাদের দেশে।
সুত্রাপুরের স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়
- সরকারী শহীদ সোহয়াওয়াদী কলেজ, কসমোপলিটন ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ এবং মহসিন আলী সোনার বাংলা সরকারী বিদ্যালয় ছাড়াও সুত্রাপুরে আরো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্টান অবস্থিত, যা বাসিন্দাদের উচ্চ শিক্ষা প্রসারে সাহায্য করছে।
সুত্রাপুরের হাসপাতাল ও চিকিৎসা জরুরি ব্যবস্থা
- নাগরিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের জন্য সুত্রাপুরে ক্যাপিটাল জেনারেল হাসপাতাল অবস্থিত। তাছাড়া আধুনিক চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে ল্যাব এইড হাসপাতাল সুত্রাপুরের পাশেই অবস্থিত।