Reading Time: 3 minutes

দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে থাকলে কর্মক্ষেত্রই আপনার পরিচয় হয়ে ওঠে এবং অচিরেই আপনি আপনার কর্মক্ষেত্রের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেন। এই করোনা ক্রান্তিতে সারা বিশ্বে একযোগে চলছে, লকডাউন বা সাধারণ ছুটি। কিন্তু কাজ কিন্তু থেমে নেই। আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে কাজের দিকে। আর ঠিক এই সময়েই কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা নিশ্চিত করা অতি জরুরী। এমনকি একটি ব্র্যান্ড হিসেবে আপনার কর্মক্ষেত্রকে আরও বেশি উপযোগী করে তুলতে পারেন। কিভাবে? সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে। এই ব্লগে আমরা জানবো কেন কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে? জানতে পড়তে থাকুন।

ইতিবাচক ব্র্যান্ড ইমেজ

সেনিটাইজার এবং সাবান
আপনার সঠিক পদক্ষেপ আপনার ব্র্যান্ডকে একটি ইতিবাচক ইমেজ প্রদান করে

কর্মক্ষেত্র এমন একটি জায়গা যেখানে আপনি সবসময়ই আপনার সার্ভিস এবং ব্যবহার দিয়ে ক্লায়েন্টের মন জয় করে থাকেন। ঠিক তেমনি কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তামূলক ইতিবাচক পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ক্লায়েন্টের উপর ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে পারেন। এবং যখন কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আপনি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তার আপনার ব্র্যান্ডকে একটি ইতিবাচক ইমেজ প্রদান করে। অধিকাংশ সময় কাস্টমাররা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে নেতিবাচক কাজ দেখে সেই কর্মক্ষেত্র সম্বন্ধে তারা তখন নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। যা একটি ব্যান্ডকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ করে থাকে। তাই কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

কর্মচারীদের স্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধি

একটি নিরাপদ কর্মক্ষেত্র সকল কর্মচারীদের বহুগুণে উৎসাহিত করে। নিজ দায়িত্বের প্রতি তারা আরও মনযোগী হন। কর্মক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে কর্মক্ষেত্র সবসময় পরিষ্কার রাখা জরুরী। কেননা, কর্মচারীরা একটা দীর্ঘ সময় ধরে কর্মক্ষেত্রে থাকেন সেক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে জমে থাকা ধুলাবালিতে তাদের নানাবিধ অসুস্থতা হতে পারে। এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে কাজে তারা আরও মনযোগী হবেন এবং নিজ কর্মক্ষেত্রের প্রতি তাদের ভিতরে ভালোবাসা তৈরি হবে। ভুলে গেলে চলবে না শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা একে অপরের উপর নির্ভরশীল। সুতারং, কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রভাব শুধু আপনার ইমেজের উপরই নয় বরং অফিসের ভেতরে কর্মরত কর্মচারীদের উপরও সমান কার্যকরী ও শক্তিশালী।

সর্বোচ্চ সুরক্ষা

বাথরুম এবং কিচেন ক্লিনারস
সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করুণ

কেবল মাত্র কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই আপনার সুরক্ষা নিশ্চিত করে সম্ভাব্য ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। অফিসে তাড়াহুড়ো করে চলাফেরা করা কালীন সময়ে অনেকেই মেঝেতে পিছলে পড়েন এতে ঘটে যেতে পারে যেকোন ভয়াবহ কোন ঘটনা। তাই এই সমস্ত দূর্ঘটনা থেকে মুক্তি পেতে পানি শোষণকারি ম্যাট এবং ডাস্ট কন্ট্রোল ম্যাটগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে দুর্ঘটনার যে কোনও সম্ভাবনা দূর করতে পারেন। শুধু তাই নয়, আপনার অফিসের সমস্ত কোণা এবং সব জায়গাগুলো পরিষ্কার রাখলে ব্যাকটেরিয়া বা  ধূলা ময়লা জমার সম্ভাবনা থাকে না। 

কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার গুরুত্বপূর্ণ একটি তালিকা

বিপ্রপার্টি অফিস কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয়তা আমরা ইতিমধ্যেই উপলব্ধি করতে পেরেছি। কিন্তু এই কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য কয়েকটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। যা অফিসের ভিতরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার রুটিন চেকআপ হিসেবে কাজ করবে। 

  • ঘন ঘন ওয়াশরুম পরিষ্কার করে, দূর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করুন।
  • রিষ্কার এবং রিফিলিং স্বাস্থ্যকর পণ্য যেমন, লিকুইড সাবান, স্যানিটাইজার বা টয়লেট টিস্যু রাখুন।
  • নিয়মিত ট্র্যাশের ক্যান খালি করুন।
  • জানালা পরিষ্কার করুন। 
  • ডেস্ক, চেয়ার এবং সোফা পরিষ্কার করুন।  
  • সমস্ত ধরণের বৈদ্যুতিক ডিভাইস পরিষ্কার করা; বিশেষত মাউস এবং কী বোর্ড
  • কার্পেট, মাদুর, বাথরুমের টাইলস এবং প্রার্থনা কক্ষ জীবাণুমুক্ত করা
  • নিয়মিত লিফট জীবাণু মুক্ত করা
  • রান্নাঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। সপ্তাহে একবার ফ্রিজ পরিষ্কার করুন। কোনও বাসি খাবার রাখবেন না।
  • এয়ার কন্ডিশনারের ভিতরে জমে থাকা ধূলি কণা পরিষ্কার করুন।

আপনার কর্মক্ষেত্র নিয়মিত পরিষ্কার করা একমাত্র সমাধান নয়। পাশাপাশি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা খুবই দরকার। কীভাবে অফিসের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা যায় এবং আপনার কর্মক্ষেত্রের অভ্যন্তরে একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

Write A Comment