Reading Time: 3 minutes

রিয়েল এস্টেট প্রপার্টিতে বিনিয়োগ বেশ বুদ্ধিমত্তার একটি বিষয়। ভেবে চিন্তে এমন প্রপার্টিতে বিনিয়োগ করতে হবে যেখান থেকে প্রতি মাসে একটি অংক উঠে আসে। অনেকেই এটাকে সহজ মনে করলেও বিষয়টি কিন্তু বেশ জটিল। প্রতিদিনই রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের জন্য প্রচুর সুযোগ আসে সবগুলোকে আকর্ষণীয় মনে হলেও অনেকগুলোতে কেবল হয় ক্ষতি। এই ক্ষতি এড়াতে ও দীর্ঘমেয়াদী ঝামেলা এড়াতে বিনিয়োগের জন্য প্রপার্টি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মাধ্যমে যাচাই করা অত্যন্ত জরুরী। লাভজনক প্রপার্টি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে আসুন জানা যাক সেগুলো কী কী!

প্রথমে যা জানতে হবে 

বিনিয়োগের অপশনগুলো সম্পর্কে আপনাকে ভালভাবে চিন্তা করতে হবে। এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সবদিক সময় নিয়ে চিন্তা করে তবেই কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। আপনি হয় কমার্শিয়াল প্রপার্টি বা রেসিডেন্সিয়াল প্রপার্টিতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। যদিও এই দুটো প্রপার্টির বৈশিষ্ট্য একই তবুও, 

তাদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য অবশ্যই রয়েছে যা আপনাকে প্রপার্টি ক্রয়ের আগে বিবেচনা করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আবাসিক ব্যবহারের জন্য ক্রয় করা প্রপার্টি কখনোই বাণিজ্যিক ক্রিয়াকলাপের জন্য আদর্শ হবে না। কেননা, সফলভাবে যেকোনও ব্যবসা পরিচালনার জন্য সবরকম সুবিধা থাকবে না। যদিও আপনি রেসিডেন্সিয়াল অ্যাপার্টমেন্টকে কমার্শিয়াল স্পেসে পরিণত করতে পারবেন যা অন্যান্য বাসিন্দাদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

সে কারণেই, প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন কোন ধরণের প্রপার্টিতে আপনি অর্থ বিনিয়োগ করতে চান।  তারপরে, পরবর্তী ধাপগুলোতে এগিয়ে যান।

আশপাশ 

neighborhood

বিনিয়োগের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করবে আপনার প্রপার্টিটি কোন অঞ্চলে অবস্থিত তার উপর। সুতরাং কোনও প্রপার্টিতে বিনিয়োগের আগে সঠিক এলাকাটি বেছে নিন। কারণ এটার উপরই নির্ভর করবে কেমন ভাড়াটিয়া আপনি ভবিষ্যতে পেতে যাচ্ছেন। আপনি যদি কোনও রেসিডেন্সিয়াল প্রপার্টিতে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন? তাহলে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বজায় রাখার জন্য প্রতিটি সুযোগ-সুবিধা এবং আশেপাশের এলাকা নিশ্চিত করে নিন। এর মধ্যে থাকতে পারে একটি দুর্দান্ত কমিউনিটি, দোকান এবং বাজার, পার্ক, জিমনেসিয়াম, ধর্মীয় উপসনালয় ইত্যাদি। কমার্শিয়াল স্পেসের জন্য ভাবতে হবে যে এই এলাকায় স্পেসটি হলে তা কতটা ব্যবসায় সফল হবে বা অবকাঠামো, সুরক্ষা এবং বাকি এলাকাদের সাথে কেমন সংযোগ রয়েছে। সে কারণেই সঠিক এলাকায় প্রপার্টির অবস্থান অত্যন্ত জরুরী ও বিনিয়োগের জন্য লাভজনক।

সংযোগ

Connectivity

বিনিয়োগের প্রপার্টির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তা অন্যান্য এলাকার সাথে কতটুকু সংযুক্ত!  শহরের অন্যান্য এলাকার সাথে এর যথাযথ পরিবহণ সুবিধা রয়েছে কিনা তা যাচাই করা। যেকোন বিনিয়োগের জন্য যথাযথ যাতায়াত ব্যবস্থা ও অন্যান্য এলাকার সাথে মসৃণ যোগাযোগ ব্যবস্থাটা অত্যন্ত জরুরী। বলতে গেলে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনার প্রপার্টি যদি সঠিক স্থানে না থাকে তাহলে তা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হবে।

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা

Important establishment

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যে কোনও আবাসিক প্রপার্টিকে ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে। যদি কোনও এলাকা বা আশেপাশে কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা চিকিত্সা সুবিধা না থাকে তবে এই এলাকাতে প্রপার্টি বিক্রয় বা ভাড়াটিয়া খোঁজা বেশ মুশকিল। একইভাবে, ব্যবসায়ের ধরণের উপর নির্ভর করে আপনি কেমন প্রতিষ্ঠান সমূহের নিকটবর্তী হতে চান। উদাহরণস্বরূপ, রেস্তোঁরা এবং ক্যাফেগুলো কিন্তু জনসমাগম যেখানে বেশি এমন এলাকাগুলোর কাছে হয়ে থাকে। সুতরাং, বিনিয়োগের প্রপার্টিটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি অবস্থান করছে কিনা তার উপরও লাভজনক বিনিয়োগের অনেকটাই নির্ভর করছে।

ভবিষ্যত উন্নয়ন

Infrastructure development is a key indicator of economic development and lower living cost

আপনি যদি কোন প্রপার্টিতে বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে  ভবিষ্যতে সেটার কতটুকু উন্নতির সুযোগ রয়েছে সেদিকে খেয়াল করতে হবে। এমন জায়গা বেছে নিতে হবে যেখানে প্রচুর নির্মাণ কাজ চলছে। তবেই সেখানে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করার সম্ভাবনা থাকে। রাস্তার উন্নয়ন, সুরক্ষা উন্নয়ন ইত্যাদি সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল করা। ভবিষ্যতে বা বর্তমানের উন্নয়ন এবং যেকোন পরিকল্পনা সম্বন্ধে আরও জানতে এলাকার তথ্য সংশ্লিষ্ট সরকারী ওয়েবসাইট, অফিস বা সংবাদপত্র নিয়মিত দেখুন। এটা বিনিয়োগের জন্য প্রপার্টি বাছাই করার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।

এই ছিল নিয়োগের জন্য প্রপার্টি বাছাই করার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু। যদিও বাস্তবে দৃশ্যপট ভিন্ন হতে পারে। এছাড়াও, আপনি অন্যান্য বিষয়গুলো (যেমন নিয়োগের হার, গড় ভাড়া ইত্যাদি) সন্ধানের ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে পারেন যা আপনার সিদ্ধান্তে যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে। 

তাই এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য পেশাদারদের নিকট পরামর্শ নেওয়া সর্বাদাই বুদ্ধিমানের কাজ। বিপ্রপার্টি বরাবরই একটি পেশাদার রিয়েল এস্টেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। যারা আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি ধাপে বিনিয়োগের জন্য প্রপার্টি ক্রয় করতে সহায়তা করবে। 

 বিনিয়োগের জন্য প্রপার্টি কেনার সময় আপনার যে বিষয়গুলি লক্ষ্য করা দরকার সেগুলো সম্বন্ধে আপনার যদি কোনও প্রশ্ন থাকে তবে আমাদের জানাতে কমেন্টে লিখুন।

Write A Comment