আপনার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে, আপনার পরিবার। কঠিন কিংবা সহজ সবসময় যারা আপনার পাশে থাকে তারাই তো আপনরা সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাদের জন্য একটা সুন্দর পরিবেশ ঘরের ভেতর তৈরি করা আপনার প্রথম কর্তব্য। সারাদিনের যার যার ঝক্কি ঝামেলা ডিঙিয়ে যার তারপর যে ঠিকানায় এসে থামি সেটাই তো বাসা বা বাড়ি? চারটা দেয়াল, একটা ছাঁদ কখনই একটি ভালোবাসার ঘর তৈরি করতে পারে না। সুখের ঘর তৈরি করে, সেখানে থাকা মানুষগুলো। আজকের ব্লগটি শুধু তাদের জন্য। কিভাবে কী করলে আপনার ঘরটি হয়ে উঠবে। আরও, উৎফুল্লময় আরও আনন্দের। কেননা, ঘরের জন্য উৎফুল্লময় পরিবেশ ঠিক ততোটাই জরুরী যতটা আপনার নিজের ভালো থাকা। সুতরাং দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
ঘরের পরিবেশটা রিল্যাক্সিং রাখুন
ঘরে কিভাবে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করা যায় সেটা সবারই আগে ভাবতে হবে।নতুন করবার সময় সবার কাছে থাকে না। কেননা আমরা এমন কিছু করি যেখানে, ঘরের আগের জিনিসপত্রগুলোই একটু এদিক সেদিক করে নিলেই কিন্তু আলাদা একটা পরিবেশ তৈরি হয়ে যায়। ছোট, বড় যেমন ঘরই হোক না কেন, সবসময় ভাবতে হবে কিভাবে সেটা আরও রিল্যাক্সিং করা যায়! প্রথমেই ভাবতে হবে ঘরের ভেতর কোন আসবাবগুলো একেবারেই ব্যবহার হয় না, সেগুলো ঝটপট বাতিল করে ফেলতে হবে। এতে করে ঘরের ভেতর অনেকটা স্পেস বাড়বে। ঘরে আলো বাতাসের ব্যবস্থাটা জোরদার করতে হবে। প্রায় সব ঘরেই যেন আলো বাতাসের সমান যাতায়াত ব্যবস্থা থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ঘরের ভেতরটা সবসময় গুছিয়ে রাখতে হবে। সারাদিন শেষ ঘরে দিরে ভেতরটা এলোমেলো দেখতে পরিবারের কোন সদস্যেরই ভালো লাগবে না। ঘরের কাজ সকলে মিলে করে ফেললে যেমন সহজ হবে তেমনি, একের উপর তেমন চাপও সৃষ্টি হয়না। সবার সকলের কথা ভেবে কাজ করতে হবে তবেই তো ঘরের ভেতর রিল্যাক্সিং পরিবেশ গড়ে উঠবে।
দেয়ালের রঙ হোক উজ্জ্বল
ঘরের রঙটা সবসময় হওয়া চাই উজ্জ্বল। যে রঙগুলো ব্যবহার করে ঘর বেশ আলোকিত দেখাবে সেগুলোই বাছাই করতে হবে। আমাদের মুডের উপর রঙের প্রভাব বলতে গেলে অনেক। কিছু রঙ যেমন বিষাদ এনে দেবে আবার কিছু রঙ আছে যেগুলো কিনা, মন ভালো করে দেবে। আবার কিছু রঙ আছে যেগুলো কিনা ইতিবাচক শক্তি প্রদান করে। সে রঙগুলো আমাদের খুঁজে নিতে হবে। চাইলে প্রতি মাসের সাথে মিলিয়ে রঙ বাছাই করতে পারবেন। যেমন এ মাসের রঙ সবুজ! যাদের ঘরে আলো বাতাসের ব্যবস্থা একটু কম তারা এমন রঙ নেবেন যা কিনা ঘরটাকে আলোকিত করে রাখবে।
প্রিয়জনের ছবি রাখুন
ঘরের জন্য উৎফুল্লময় পরিবেশ রাখতে অবশ্যই প্রিয়জনদের কোন না কোন চিহ্ন রাখা উচিত। আর প্রিয়জনদের চিহ্ন হিসেবে ছবির থেকে চমৎকার অন্য কিছু আরকি হতে পারে। আপনাদের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর যে সময়গুলো সেগুলোকে ফ্রেমবন্দী করুন। যে প্রিয়জনটা হয়তো আপনার থেকে দূরে আছেন, তার সাথে কাটানো কোন একটা সুন্দর সময় ফ্রেম বন্দী করে ফেলুন। এতে করে সারাদিন শেষে যখন ঘরে ফিরবেন, তখন আর মনটা আর ক্লান্ত থাকবে না। প্রশান্তিতে ভরে উঠবে। দিনের যখনই ফ্রেম বন্দী করা দেয়ালে আপনার চোখ যাবে তখনই মনটাও হেসে উঠবে। সবাই না থেকেও যেন পাশেই থাকবে। বিকেলের চা টা আরও জমে উঠবে পুরনো সুন্দর স্মৃতিগুলোর সাথে।
পরিবারকে সময় দিন
যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, দিনের একটা সময় অবশ্যই পরিবারের সাথে কাটাতে হবে। হোক সেটা সকালের নাস্তা কিংবা রাতের খাবার বা বিকেলের চা। এতে করে পরিবারের সকলের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও গাড় হবে। যদিও এমন হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। সারা সপ্তাহ কাজের ব্যস্ততায় থাকার পর হয়তো একটি অথবা দুটি ছুটির দিন বাসায় কাটানোর ইচ্ছা হতেই পারে। কিন্তু, এমনটা কিন্তু সব সময় করাটা ঠিক হবে না! কাজ এবং পরিবার দুটোকেই সময় দিতে হবে এবং সামঞ্জস্য তৈরি করতে হবে। যেকোন ঘরই তখনই আনন্দময় হয়ে উঠবে যখন কিনা সেখানে সবার মধ্যে বিরাজ করবে ভালবাসা আর শ্রদ্ধাবোধ। একে অপরের মধ্যেকার সুসম্পর্কই গড়ে তোলে একটি সুন্দর সংসার।
দ্রুত ছুটে চলা জীবনটাকে থামিয়ে ভাবতে হবে নিজের ঘরে কী ইতিবাচকতা রয়েছে? যদি না থেকে থাকে তাহলে এই টিপসগুলো মেনে, ঘরের জন্য উৎফুল্লময় পরিবেশ গড়তে পারেন। কেমন লেগেছে এই টিপসগুলো জানাতে নিশ্চয়ই ভুলবেন না!