Reading Time: 3 minutes

ঘরের সুরক্ষা আমরা সবাই নিশ্চিত করছি! তাই না? কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রুখতে আমাদের যা যা করণীর তা সবাই করে যাচ্ছি। যারা একটু অসুস্থ আছি তারা মেনে চলছি হোম কোরেইন্টাইন! নিজের ঘরের প্রতিটা কর্নার পরিষ্কার করে যাচ্ছি। কিন্তু এই সবকিছুর ভিড়ে আমরা যেটা খেয়াল করছি না তা হচ্ছে ঘরের মেঝে! আমাদের ঘরের মেঝে কিন্তু এক রকম নয়! একেক জনের ঘরের মেঝে একেক রকম! আবার একই ঘরেও রয়েছে বিভিন্ন রকম মেঝে। কোন মেঝে কিভাবে পরিষ্কার করবেন তা জানতে মেঝে পরিষ্কারের কার্যকরী টিপস সম্বন্ধে জানুন। চলুন তাহলে জানা যাক। 

মোজেইক মেঝে 

মোজেইক মেঝে
মোজেইক মেঝে

নিয়মিত মেঝে পরিষ্কার করার কোন বিকল্প নেই। ঘরের সৌন্দর্য ও নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতি দিন ঘর পরিষ্কার জরুরী। ঘরের মেঝে যদি হয় মোজেইক মেঝে তাহলে তো কথাই নেই আপনাকে নিতে হবে বিশেষ যত্ন। আমরা স্বাভাবিক যেভাবে পরিষ্কার করে থাকি তার সাথে আরও কিছু টিপস যোগ হবে। মোজেইক মেঝে ঝকঝকে রাখতে চাইলে কিন্তু, লিক্যুইড ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে মুছে নিন। পুরোনা ময়লা বা দাগ তুলতে পানিতে ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে মেঝে মুছে নিন।

টাইলস মেঝে 

টাইলস মেঝে
টাইলস মেঝে

টাইলস মেঝের যত্ন এবং পরিষ্কার করার টিপস একটু আলাদা। আজকাল অনেকেই মেঝেতে টাইলস ও গ্রানাইটের মেঝে ব্যবহার করে থাকেন। টাইলসে যে সমস্যাটা হয় তা হচ্ছে কোণায় কোণায় ময়লা জমে যায়। এই ময়লা পরিষ্কার করতেও হয়ে যায় অনেক কষ্ট। টাইলস নিয়মিত পরিষ্কার করলে ময়লা জমতে পারে না। একটা দীর্ঘ সময় ধরে পরিষ্কার না করলেই এই সমস্যা দেখা দেয়। সুতরাং, টাইলসের কোণাগুলো বেশি পরিষ্কার করতে হবে।  টাইলসের গায়ে পরা  কালচে দাগ দূর করতে প্রতিদিন ঘর পরিষ্কার করতে হবে। জীবাণু কমানোর জন্য গরম পানিতে জীবাণুনাশক মিশিয়েও পরিষ্কার করতে পারেন। ঘর মোছা হয়ে গেলে ফ্যান ছেড়ে পানি শুকিয়ে নিন। নয়তো টাইলসের কোণে পানি জমে স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকতে পারে। দুটি টাইলসের মাঝখানে ময়লা জমে বেশি। সপ্তাহে অন্তত এক দিন লিকুইড ক্লিনার দিয়ে মুছে নিতে পারেন। দীর্ঘদিনের এই কালচে দাগ সাধারণত উঠতে চায় না। টাইলস বসানোর শুরু থেকেই ব্রাশ অথবা তারের মাজুনিতে লিকুইড ক্লিনার নিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এ ছাড়া টাইলসে লিকুইড ক্লিনার ছিটিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে ফেলুন।

মার্বেল মেঝে

মার্বেল মেঝে
মার্বেল মেঝে

মার্বেল মেঝে পরিষ্কারের কার্যকরী টিপস হচ্ছে, এই মেঝে বেশি ঘষা যাবে না। এতে করে দাগ পড়ার সম্ভাবনা থাকে।  মার্বলের মেঝে পরিষ্কার করার জন্য বারবার জোরে ঘষাঘষি বা স্ক্রাব করবেন না। আলতো করে ভিজে নরম কাপড় বা মপ দিয়ে নিয়ম করে ঘর মোছার চেষ্টা করুন। সার্কুলার মোশনে মোছার চেষ্টা একদমই করবেন না, ওতে খুব তাড়াতাড়ি মার্বলের চকচকে ভাবটা চলে যেতে পারে। কোনও জেদি দাগ হয়ে থাকলে মোছার জন্য কিন্তু ভিনেগার, লেবুর রস ইত্যাদি অ্যাসিডযুক্ত জিনিস ব্যবহার একদমই করবেন না। পি এইচ নিউট্রাল কোনও লিক্যুইড সাবান জলে গুলে তা দিয়ে মেঝে মুছে নিন। আগেও বলেছি মার্বেল মেঝেটা বেশ সেনসেটিভ। সুতরাং সাবধানে পরিষ্কার করতে হবে।

কাঠের মেঝে 

কাঠের মেঝে
কাঠের মেঝে

যাদের কাঠের মেঝে আছে তাদের জন্য বিশেষ যত্ন না নিয়ে উপায় নেই। আমাদের দেশের যে আবহাওয়া সেখানে কাঠের মেঝে বেশি না টেকারই কথা। এমনকি স্যাঁতসেঁতে মৌসুমেও দরকার আছে বিশেষ পরিচর্যার। কাঠের মেঝের ক্ষেত্রে সপ্তাহে একদিন পরিষ্কার করতে হবে, কেননা বেশি ঘনঘন পরিষ্কার করলে রঙ উঠে যাবার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়াও কাঠ নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনাও থাকে বেশি। তাই শুকনো কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন, এবং সপ্তাহে একদিন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা জরুরী। কাঠের মেঝের জন্য বিশেষ ক্লিনার পাওয়া যায় সেগুলো কিনে আনুন এবং মাসে অন্তত দু একবার মেঝে পরিষ্কার করুন।

রান্নাঘর পরিস্কারের টিপস সম্বন্ধে আরও জানতে যেতে পারেন বিপ্রপার্টির ব্লগে। এবং বাথরুমের মেঝে পরিষ্কার রাখাটা বেশি জরুরী। দেয়ালের টাইলস বা পাথর সুতি কাপড় ও ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। মেঝেতে ডিটারজেন্ট কিংবা লিকুইড ক্লিনার দিয়ে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন পরিষ্কার করুন। এ ছাড়া ঘরোয়া উপায়ে হালকা গরম পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে ঘর মুছতে পারেন। এতে টাইলসের উজ্জ্বলতা বজায় থাকে। ঘর রোগ-জীবাণুমুক্ত থাকে। এছাড়াও ঘরোয়া উপায়ে ঘর পরিষ্কার করা উচিত। রাসায়নিক পদার্থ যতটুকু সম্ভব কম ব্যবহার করুন। মেঝে পরিষ্কারের কার্যকরী টিপস গুলো আশা করা যায় আপনার কাজে আসবে। এমন চমৎকার সব টিপস পেতে আমাদের ব্লগ পড়ুন। 

Write A Comment