Reading Time: 3 minutes

পারফেক্ট বেসিন বাছাই করা একটু জটিল মনে হতে পারে কিন্তু, সঠিক কিছু তথ্য জানা থাকলে মার্কেট থেকে সহজেই বাথরুম বেসিন বেছে নিতে পারবেন। অন্দরের সাজগোজ হোক কিংবা প্রয়োজনে বাথরুমের জন্য বেসিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাথরুম ফিটিংস বা বেসিনের মত অনুষঙ্গগুলো কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে কেনা হয়ে থাকে। তাই কেনার আগে বেসিন কোথায় লাগাবেন তার উপরে নির্ভর করছে কী রকমের বেসিন লাগাবেন বা কী ডিজাইনের বেসিন লাগাবেন। এই সমস্ত বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তবেই বাথরুম বেসিন বেছে নেওয়া উচিত। এবার চলুন জানা যাক নানা ধরণের বাথরুম বেসিন , রকমফের ও তার সাজসজ্জা সম্বন্ধে! 

বাথরুম
বাথরুমের জন্য বেসিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

“ বাথরুম বেসিন বেছে নেওয়ার আগে এই সমস্ত বিষয়ে ভাবুন ও তথ্য সংগ্রহ করুন” 

পারফেক্ট বাথরুম সিঙ্ক বা বেসিন যেটাই বলুন না কেন, সবকিছু নির্ভর করে আপনার বাথরুমের লে-আউটের উপর। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যেগুলো আপনাকে ভাবতেই হবে বাথরুম বেসিন বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে। 

  • বাথরুমের সাইজ
  • অন্যান ফিক্সচারের পজিশন (টয়লেট ও শাওয়ার) 
  • বেসিন প্লাম্বিং এর লোকেশন
  • বেসিন বা সিঙ্ক দেখতে কেমন হবে 
  • বাজেট। 

“বেসিন বা সিংকের জন্য কোন ম্যাটেরিয়াল ভালো হবে” 

সবচেয়ে কমন ম্যাটেরিয়াল হচ্ছে সিরামিকস। যেহেতু সিরামিকসের সিঙ্কগুলো সব জায়গায় কমবেশি পাওয়া যায় তাই এগুলোতে বিভিন্ন রকমের শেইপ খুঁজে পাওয়া যায়। এছাড়াও সিরামিকস বরাবরই সহজে পরিষ্কার করা যায়। তাই এর চাহিদা সবসময়ই বেশি। মেটাল ফিনিশিংএর বেসিনগুলো ঘরের ভেতর আনতে পারে মডার্ন ভাব। স্টেইনলেস এবং অ্যালুমিনিয়ামের বেসিন বা সিঙ্কগুলোও বেশ ব্যবহার হয়। এ ছাড়াও শুধুমাত্র বেসিন টপ পাওয়া যায়, যেটা গ্রানাইট, মার্বেল, কাঠ কিংবা অন্য কিছুর উপরে সেট করে দেওয়া যায়।

বেসিন
এ দেশের প্রেক্ষাপটে প্যাডেস্টাল বেসিন বেশ জনপ্রিয়

বেসিনের রকমফের

ফুল প্যাডেস্টাল বেসিন, সেমি প্যাডেস্টাল বেসিন, ওয়াল হ্যাং বেসিন, কাউন্টারটপ বেসিন, ক্লক রুম বেসিন ইত্যাদিন নানান বাথরুম বেসিন থেকে থাকলেও, বাংলাদেশ এ দুই ধরনের বেসিন বেশি প্রচলিত- প্যাডেস্টাল ও কেবিনেট বেসিন। এছাড়াও, ঘরের অন্যান্য জায়গায় কর্নার বেসিন থাকে।  এ দেশের প্রেক্ষাপটে প্যাডেস্টাল বেসিন বেশ জনপ্রিয়। ঘরে, কর্মাসিয়াল স্পেস এমনকি অফিসেও এগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্যাডেস্টাল বেসিনটি দেয়ালের সাথে সংযুক্ত করে লাগাতে হয়। এবং প্যাডেস্টাল বেসিনের নিচে সিরামিকের চারকোনা বা গোল পাইপ থাকে যা মূলত ব্যবহৃত হয় পানির পাইপ সেখানে লুকানোর জন্য। প্যাডেস্টালের পর বহুল ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় একটি বাথরুম বেসিন হচ্ছে কেবিনেট বেসিন। এই বেসিনের নিচে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে বলে এগুলো বাথরুম স্টোরেজ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এই বেসিনগুলো হোটেল, রেস্টুরেন্ট বা অফিসের পাশাপাশি বেশ কিছু বাসা বাড়িতেও ব্যবহার হতে দেখা যাচ্ছে। বাথরুমে যদি আলাদা করে স্টোরেজের জায়গা না থাকে এক্ষেত্রে আপনি এই কেবিনেট বেসিনগুলো ব্যবহার করতে পারেন। স্টোরেজের কাজে লাগবে। সাধারণত বেসিন লাগানো হয়ে থাকে তিন ফুট উচ্চতায়। আরও ১ দশমিক ৫ ফুট উচ্চতায় অর্থাৎ মেঝে থেকে ৪ দশমিক ৫ ফুট উচ্চতায় লাগাতে হয় আয়না এবং এর মাঝামাঝি বসাতে হয় মিরর স্ট্যান্ড। ডাইনিং এর বেসিন একটু ডেকোরেটিভ হয়। বাজারে গেলে আপনি খুঁজে পাবেন নানান নকশার হাজারো বেসিন। 

বেসিনের সাজ 

আয়নাটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আয়নাটা দেখে শুনে বাছাই করুন। আয়না পছন্দের ক্ষেত্রে গোল, চারকোনা বা ডিম্বাকার আয়না বেসিনের আকারের সঙ্গে মিল রেখে বসান। আর আয়নার ফ্রেম হিসেবে কাঠ ও গ্লাস পেইন্ট ব্যবহার করতে পারেন। বেসিনের পিছনের দেয়ালের সাথে মিল রেখে কিংবা কনট্রাস্ট রঙের বেসিন বেছে নিতে পারেন। বেসিনের সাজে আলোর প্রভাব বেশ রয়েছে। আয়নার দুই পাশে ডেকোরেটিভ লাইট  অথবা স্পটলাইট দিয়েও বেসিন এরিয়াকে আকর্ষণীয় করা যায়। আজকাল অনেকে হ্যাংগিং লাইটও বসাচ্ছেন। এছাড়াও বাথরুমে বেসিনের পেছনের দেয়ালে অন্য রঙের টাইলস ব্যবহার করতে পারেন। সাদা বেসিন ময়লা হয় যেমন দ্রুত তেমনি পরিষ্কার করতেও ঝামেলা তাই রঙিন বা কাঁচের বেসিন ব্যবহার করতে পারেন। 

এই ছিল বাথরুম বেসিন নিয়ে খুঁটিনাটি কিছু টিপস। কেমন লেগেছে আজকের এই ব্লগ জানিয়ে কমেন্ট করুন।

Write A Comment