বিনিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া বরাবরের মতোই বেশ কঠিন একটা কাজ। বিশেষ করে জমিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উক্ত এলাকার বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যত সম্ভাবনা, জমির উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং এর বাজারদর সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিয়ে তবেই জমিতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। প্রপার্টিতে বিনিয়োগের আগে তাই উচিত সঠিকভাবে বিচার বিশ্লেষণ, জমির মূল্য যাচাই-বাছাই এবং সেখানকার সুযোগ-সুবিধা সমূহ পর্যালোচনা করে নেয়া। বিনিয়োগের জন্য ঢাকার সম্ভাব্য এলাকা সমূহ এর মধ্যে দক্ষিণখান, বনশ্রী, বসুন্ধরা বেশ জনপ্রিয় হলেও, বর্তমানে বিনিয়োগের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় এলাকা হয়ে উঠছে পূর্বাচল।
ব্যস্ত এ শহরের কোলাহল থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেতে ঢাকার অদূরে গড়ে উঠেছে বিপ্রপার্টি ভিলেজ এর আকর্ষণীয় প্রজেক্ট। এই প্রজেক্টটি পূর্বাচল মেরিন সিটির অন্তর্ভুক্ত একটি প্রজেক্ট। কোলাহল থেকে দূরে গিয়ে নিরিবিলিতে বসবাস করার জন্য ঢাকা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই বিপ্রপার্টি ভিলেজ এর অবস্থান। সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের নিশ্চিত ঠিকানা হিসেবে পূর্বাচলে বিনিয়োগের রয়েছে অসংখ্য সুযোগ। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় তাই এ এলাকায় গড়ে উঠেছে বিপ্রপার্টির অন্যতম আকর্ষণীয় এই প্রজেক্ট। তবে চলুন আজকের ব্লগ থেকে জেনে নেই পূর্বাচল মেরিন সিটির ভেতরে গড়ে ওঠা বিপ্রপার্টি ভিলেজে বিনিয়োগ এর সিদ্ধান্ত কেন সঠিক হবে?
প্রজেক্ট ওভারভিউ
প্রজেক্ট নাম | পূর্বাচল মেরিন সিটি- বিপ্রপার্টি ভিলেজ |
ডেভেলপার | আটলান্টিক প্রপার্টি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড |
ঠিকানা | রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ |
জমির পরিমাণ | ১১২ বিঘা |
প্লট সংখ্যা | ৪১৩টি |
প্লট সাইজ | ৩ – ১২.৫ কাঠা |
রাস্তার পরিমাপ | ১০০ ফুট, ৬০ ফুট, ৪০ ফুট, ২৫ ফুট |
পূর্বাচল মেরিন সিটি এর ভেতরে অবস্থিত বিপ্রপার্টি ভিলেজ প্রকল্পটি রাজউকের পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পের ঠিক পাশেই অবস্থিত। মেরিন সিটিতে এ, বি, সি তিনটি ব্লক রয়েছে। যার মধ্যে বি এবং সি ব্লক দুইটি মূলত বিপ্রপার্টি ভিলেজ এর। পূর্বাচলের ২২ ও ৩০ নম্বর সেক্টর ঘেঁষে জিন্দা পার্কের ঠিক পাশেই অবস্থান বিপ্রপার্টি ভিলেজ এর। এই প্রকল্পে বিভিন্ন সাইজের প্লট রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩, ৫, ১০ এবং ১২.৫ কাঠার এই প্লট। ১১২ বিঘা জমির উপর নির্মিত এই প্রকল্পের অধীনে রয়েছে ৪১৩টি প্লট।আটলান্টিক প্রপার্টি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড এর তৈরি এই প্রজেক্টটি একটি গেটেড কমিউনিটি প্রজেক্ট, যেখানে আপনি পাচ্ছেন আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।
জমির চাহিদা ও সুযোগ-সুবিধা সমূহ
পূর্বাচলের জমি কেনার চাহিদা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে রাজউকের বিশাল প্রজেক্ট, পূর্বাচল আমেরিকান সিটির মতো আকর্ষণীয় প্রকল্পের কারণেই এই এলাকার বাজারমূল্যও এখন আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। রেসিডেন্সিয়াল এবং কমার্শিয়াল ভবন নির্মাণের পাশাপাশি, পূর্বাচল জুড়েই গড়ে উঠছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এর মধ্যে পূর্বাচলের সেক্টর ১৯-এ নির্মাণ করা হচ্ছে ১১১, ৭১ এবং ৫২ তলা বিশিষ্ট ৩টি টাওয়ার, যা বঙ্গবন্ধু ট্রাই টাওয়ার নামে পরিচিত।
এছাড়া এই লোকেশন থেকে যাতায়াত ব্যবস্থাও বেশ ভালো।পূর্বাচল কাঞ্চন ব্রিজ থেকে কিছুটা দূরে এশিয়ান হাইওয়ে দিয়ে এগিয়ে গেলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে চমৎকার এই প্রজেক্টে। এছাড়া বিমানবন্দর, উত্তরা, গুলশান এবং কুড়িল মহাসড়কও বেশ কাছেই অবস্থিত। আর পূর্বাচল আমেরিকান সিটি থেকে মাত্র ৫-৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিপ্রপার্টি ভিলেজ। এছাড়া আশেপাশের লোকেশন থেকে এই প্রজেক্টের দূরত্ব তেমন বেশি না।
লোকেশন | দূরত্ব |
কাঞ্চন ব্রিজ | ৪.৪ কি মি (৭ মিনিট) |
কুড়িল হাইওয়ে | ১৬.৮ কি মি (২২ মিনিট) |
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | ২০ কি মি (২৬ মিনিট) |
উত্তরা | ২১.৮ কি মি (২৮ মিনিট)
|
গুলশান | ২২ কি মি (৩০ মিনিট) |
প্লটের ধরন এবং সুযোগ-সুবিধা সমূহ
এই প্রজেক্টের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এটি একটি গেটেড কমিউনিটি এরিয়া। যেখানে সব ধরনের দৈনন্দিন সুযোগ-সুবিধা সহ লেক, মাঠ, মসজিদ সবই থাকছে। এছাড়া শিক্ষা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে স্কুল, ক্লিনিক এবং সুপারশপ রাখার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। মেরিন সিটির অভ্যন্তরীণ এই প্রজেক্টে এ, বি এবং সি এই ৩টি ব্লকের মধ্যে এ ব্লকটি সম্পূর্ণ রেডি অবস্থায় আছে। বাকি ৩ ব্লকে কাজ চলছে।
বিপ্রপার্টি ভিলেজ এর আকর্ষণীয় প্রকল্পে যা যা পাচ্ছেন-
- গেটেড কমিউনিটি
- সুপ্রশস্থ রাস্তা
- রাজউক পূর্বাচল নিউ টাউন সেক্টর ২২ ও ৩০ এর পাশে
- গলফ ক্লাব এর খুব কাছে
- জিন্দা পার্ক এর ঠিক পাশে
- খেলার মাঠ এবং সুইমিং পুল
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- ক্লাব, জিমনেশিয়াম এবং কমিউনিটি সেন্টার
- মসজিদ, হাসপাতাল এবং সুপারশপ
বিপ্রপার্টি ভিলেজ প্রকল্পের আশেপাশে আপনি আরও পাচ্ছেন –
- ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ভেন্যুর খুব কাছে
- খুব কাছেই রয়েছে ডিপ্লোম্যাটিক জোন
- মেরিনার্স কমিউনিটি
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় ক্যাম্পাস
- চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট কমিউনিটি
প্রপার্টির মূল্য
বিপ্রপার্টি ভিলেজে জমি কেনার ক্ষেত্রে কাঠা প্রতি মূল্য পড়বে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা ৫ বছরের কিস্তিতে জমির টাকা পরিশোধ করার দারুণ সুযোগও পাচ্ছেন। আর বুকিং দেয়ার ক্ষেত্রে কাঠা প্রতি পরিশোধ করতে হবে ১০ হাজার টাকা। তবে বুকিং দেয়ার পরবর্তী ১ মাসের মধ্যেই ৩০% ডাউন পেমেন্ট পরিশোধ করতে হবে। আর বাকি টাকা পরবর্তীতে পরিশোধের জন্য বিনিয়োগকারী সময় পাচ্ছেন বাকি ৫ বছর অর্থাৎ কিস্তিতে। তবে পূর্বাচল মেরিন সিটির অন্তর্ভুক্ত বিপ্রপার্টি ভিলেজে অর্থাৎ ব্লক বি এবং সি-তে বর্তমানে রেডি প্রপার্টি কেনার কোন সুযোগ না থাকলেও, এ ব্লকের প্রপার্টি গুলো সম্পূর্ণ রেডি রয়েছে। তাই যে কেউ চাইলে এখান থেকে সম্পূর্ণ রেডি ফ্ল্যাট কিনতে পারছেন। তবে রেডি প্রপার্টির কেনার ক্ষেত্রে প্রপার্টির সম্পূর্ণ মূল্য একসাথে পরিশোধ করে দিতে হবে।
সুতরাং বলাই যায়, ঢাকা শহরের ব্যস্ততা থেকে কিছুটা দূরে প্রপার্টিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পূর্বাচল হবে দারুণ এক জায়গা। পূর্বাচলের দারুণ কিছু প্রকল্পের মধ্যে বিপ্রপার্টি ভিলেজ অন্যতম, যেখানে বিনিয়োগে রয়েছে লাভের অপার সম্ভাবনা। চমৎকার এই প্রকল্পের অধীনে কমার্শিয়াল এবং রেসিডেন্সিয়াল ভবনের জন্য স্পেস, খোলামেলা সবুজ পরিবেশ সহ বসবাসের জন্য উপযুক্ত সব ধরনের ব্যবস্থা সম্পন্ন এই এলাকায় বিনিয়োগ করতে চাইলে, যোগাযোগ করুন – ০৯৬১২৪৫১৩২২ এই নম্বরে।
ভিজিট করুন- https://www.bproperty.com