Reading Time: 3 minutes

প্রপার্টি কেনাবেচার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ধরনের আইনি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। হয়তো নথিপত্র ঠিক থাকে না, বা থাকলেও সেই নথিপত্রের বৈধতা নিয়ে থাকে প্রশ্ন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রপার্টির নথিপত্র যাচাই-বাছাই করতেই গ্রাহকদের এক অফিস থেকে অন্য অফিস ঘুরে ঘুরে সমাধান বের করতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। এতে করে প্রপার্টিতে বিনিয়োগের ব্যাপারে অনেকেই সন্দিহান হয়ে যান। তবে এ ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় এবং প্রপার্টিতে বিনিয়োগের প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে বিপ্রপার্টি এর গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে আসছে। বিপ্রপার্টি লিগ্যাল সার্ভিস এর মাধ্যমে গ্রাহকরা অনেকটা নিশ্চয়তার সাথেই প্রপার্টি কেনাবেচার সুযোগ পাচ্ছেন। কেননা, বিপ্রপার্টির দক্ষ লিগ্যাল টিম আইনি সকল বিষয়ে গ্রাহকদের যেমন পরামর্শ দিয়ে থাকে, তেমনি প্রপার্টির কেনাবেচা থেকে শুরু করে চূড়ান্ত চুক্তি হওয়া পর্যন্ত যত ধরনের আইনি দলিলপত্রের প্রয়োজন হয় তার সবই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সরবরাহ করে থাকে।   

বিপ্রপার্টি লিগ্যাল সার্ভিস 

লিগ্যাল সাপোর্ট
প্রপার্টি ক্রয়ের আগে যথাযথভাবে দলিলপত্র যাচাই করে নেয়া জরুরি

বিপ্রপার্টি এর গ্রাহকদের মূলত দুই ভাবে লিগ্যাল সার্ভিস দেয়ার জন্য কাজ করে থাকে। অর্থাৎ, যারা বিপ্রপার্টির মাধ্যমে অ্যাপার্টমেন্ট কিনছেন, তাদের প্রপার্টি বিষয়ক যেকোনো লিগ্যাল সার্ভিসে বিপ্রপার্টি পুরোপুরি ভাবে সহায়তা করে থাকে। এক্ষেত্রে প্রপার্টির দলিলপত্র সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত যেকোনো ধরনের লিগ্যাল সল্যুশন সম্পূর্ণ ফ্রিতে দিয়ে থাকে। 

অন্যদিকে বিপ্রপার্টির মাধ্যমে প্রপার্টি কেনাবেচা না করা ছাড়াও যদি কেউ শুধুমাত্র লিগ্যাল সার্ভিস নেয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী থাকেন, তবে বিপ্রপার্টির লিগ্যাল এক্সপার্টরা গ্রাহকদের সে সার্ভিসও দিয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে গ্রাহকদের সার্ভিসের ধরন অনুযায়ী চার্জ বা ফি পরিশোধ করতে হতে পারে।   

উল্লেখযোগ্য লিগ্যাল সার্ভিস সমূহ – 

প্রপার্টি সংক্রান্ত বিভিন্ন লিগ্যাল সমস্যা সমাধানে বিপ্রপার্টি গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের আইনি পরামর্শ দিয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের লিগ্যাল সার্ভিস যেমন মিউটেশন, বায়া দলিল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, অনুমোদন ও লেআউট পরিকল্পনা, লিগ্যাল ডকুমেন্ট যাচাই, সাকসেশন সার্টিফিকেট সহ প্রয়োজনীয় যেকোনো ডকুমেন্ট তৈরিতে এবং গ্রাহকদের জন্য আইনি বিষয়গুলো আরও সহজে করাই বিপ্রপার্টির লিগ্যাল টিমের অন্যতম লক্ষ্য। চলুন জেনে নেই বিপ্রপার্টি যেসকল লিগ্যাল সার্ভিস দেয়ার মাধ্যমে গ্রাহকদের সহায়তা করে থাকে তার কয়েকটি সম্পর্কে।  

আইনি দলিলপত্র
আইনি দলিলপত্রের তালিকা

মিউটেশন 

 মিউটেশন মানে কোনো জমির মালিকানা হস্তান্তরের পর পূর্বের মালিকের পরিবর্তে খতিয়ানে (রেকর্ড অব রাইটস) নতুন মালিকের নাম যুক্ত করার জন্য মিউটেশন দলিলের প্রয়োজন হয়ে থাকে। কেননা প্রপার্টি কেনা ছাড়াও প্রপার্টি স্থানান্তর, নিবন্ধন বা ট্যাক্স প্রদানের জন্যও মিউটেশন দলিলের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর তাই গুরুত্বপূর্ণ এই দলিলটি প্রস্তুত করার কাজটি আপনি বিপ্রপার্টি লিগ্যাল টিমের মাধ্যমে করতে পারছেন।  

ভেটিং 

অ্যাপার্টমেন্ট, প্লট বা ভবনের মতো প্রপার্টি কেনার আগে প্রপার্টি বিষয়ক ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করা জরুরি। এই ডকুমেন্ট যাচাই করার কাজটিকে লিগ্যাল ভেটিং করা বলা হয়। এর মাধ্যমে প্রপার্টির ডকুমেন্টগুলোর প্রতিটি ছোট ছোট বিষয় গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হয়। একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রপার্টি ভেটিং এর কাজটা কখনোই সহজ কিছু নয়, তবে বিপ্রপার্টি লিগ্যাল সার্ভিস এর মাধ্যমে গ্রাহকরা খুব সহজেই ভেটিং করা প্রপার্টির খোঁজ পাচ্ছেন।    

পাওয়ার অব অ্যাটর্নি

পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বা লেটার অব অ্যাটর্নি একটি আইনগত দলিল। দায়িত্ব বা ক্ষমতা অর্পণের জন্য সাধারণত এই দলিলটি প্রয়োজন হয়ে থাকে। মালিকের পক্ষ হয়ে প্রপার্টি বিষয়ক কোন কাজ পরিচালনা, সেটা হতে পারে প্রপার্টি বিক্রয়, হস্তান্তর, রক্ষণাবেক্ষণ, কিংবা বন্ধক রাখা ইত্যাদি যে কাজ পরিচালনার জন্য কোন ব্যক্তিকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়ার জন্য এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিলটি প্রস্তুত করা হয়।

বণ্টননামা দলিল

ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া প্রপার্টির সংখ্যা চিহ্নিত করে, পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে (আইনানুগ ভাবে যারা এর অংশীদার) এর প্রাপ্ত স্বত্ব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য যে দলিল করা হয় সেটি হচ্ছে বণ্টননামা দলিল। পরিবারের সদস্যদের জন্যই মূলত এই দলিল বানানো হয়। 

চুক্তি দলিল

প্রপার্টি কেনাবেচার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে লিখিতভাবে যে চুক্তিতে স্বাক্ষর করা হয় মূলত সেটি চুক্তি দলিল। এটি একটি বাধ্যতামূলক প্রতিশ্রুতি। এই চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আইনানুগভাবে সকল শর্ত পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে। চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষরের মাধ্যমেই প্রপার্টি ক্রয়ের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়, আর এক্ষেত্রে দলিলপত্র সংগ্রহ, যাচাই-বাছাই সহ পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে বিপ্রপার্টি গ্রাহকদের পূর্ণ সহায়তা করে থাকে। 

উপরে উল্লেখিত এ সকল সার্ভিস ছাড়াও বিপ্রপার্টির মাধ্যমে একজন গ্রাহক ফরেইন পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি, সাকসেশন সার্টিফিকেট, রাজউক এর অকুপেন্সি সার্টিফিকেট, রাজউক থেকে লে-আউট পরিকল্পনা, রাজউক থেকে পরিকল্পনার অনুমোদন, রাজউক নামজারির অনুমোদন এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও বিপ্রপার্টি লিগ্যাল সার্ভিস প্রপার্টিতে বিনিয়োগকারীদের পূর্ণ সহায়তা দিয়ে থাকে।  

Write A Comment

Author