Reading Time: 3 minutes

একটি দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্যই বৈদ্যুতিক সংযোগ পাওয়া অত্যন্ত জরুরি। বাসা থেকে শুরু করে অফিস এবং ব্যবসা, প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে বিদ্যুতের প্রয়োজন। আর ইদানিং সময়ে সব কিছুই যেহেতু অনলাইনেই করা সম্ভব হচ্ছে, তাই বৈদ্যুতিক সংযোগ এর জন্য অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়াটাও এখন বেশ সহজ হয়ে গিয়েছে। তারপরেও অনলাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার বিষয়ে এখনও অনেকেই হয়তো নানা ধরনের কনফিউশনে ভুগছেন, বিশেষ করে এই লকডাউনের সময়ে এসে।   

তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, দেশজুড়ে বেশ কিছু ডিস্ট্রিবিউটার কোম্পানি রয়েছে যারা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ডেসকো, ডিপিডিসি, নেসকো। প্রতিটি ডিস্ট্রিবিউটারের ক্ষেত্রেই অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়াটি প্রায় একই রকম, যদিও প্রয়োজন এবং প্রাপ্যতার উপর অনেকাংশেই তা নির্ভর করে। আর তাই আজকের ব্লগে, চলুন জেনে নেই বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক সংযোগ এর জন্য অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়ায় যে সমস্ত ধাপ রয়েছে, সে ধাপগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।   

এছাড়া যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ঘরের সুরক্ষায় কার্যকরী কিছু টিপস সম্পর্কে জেনে নিন।  

Online Electricity Connection Application Process
অনলাইনে বৈদ্যুতিক সংযোগের জন্য আবেদন করার ধাপসমূহ

ধাপ ১ 

বৈদ্যুতিক সংযোগ নেয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে ডিস্ট্রিবিউটার নির্বাচন করতে হবে। কোন ডিস্ট্রিবিউটারের কাছ থেকে বৈদ্যুতিক সংযোগ নিবেন তা নির্ধারণ করা হয়ে গেলে, তাদের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদনের প্রক্রিয়াটি শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে। বেশিরভাগ ডিস্ট্রিবিউটারের ক্ষেত্রেই আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য পূরণ করতে হবে যেমন- ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা, সংযোগের ঠিকানা, সংযোগের বিবরণ ইত্যাদি। বিবরণটি প্রস্তুত করার সময় অবশ্যই সংযোগের ধরন, ট্রাফিক ক্যাটাগরি, বৈদ্যুতিক লোডের চাহিদা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া উল্লেখিত সকল ব্যক্তিগত তথ্যের সাথে আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের অবশ্যই মিল থাকতে হবে। 

ধাপ ২ 

এই ধাপে এসে আপনাকে ডিস্ট্রিবিউটারের দেয়া গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে ডকুমেন্ট সমূহ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিদ্যুৎ সংযোগ এর জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে যে প্রধান ডকুমেন্ট সমূহ দিতে হবে, এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি ফটোকপি এবং আপনার পাসপোর্ট সাইজ ছবি, যার সাইজ অবশ্যই ১৫০ কিলোবাইটের বেশি হওয়া যাবে না এবং তা হতে হবে জেপিজি ফরম্যাটে।    

ধাপ ৩

সব তথ্য পূরণ করে, প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টস জমা দেয়ার পর, এবার রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করে এই প্রক্রিয়াটি সমাপ্ত করতে হবে। জমাদানের প্রক্রিয়া ঠিকমতো শেষ হয়ে গেলে, এবার ডিস্ট্রিবিউটার থেকে আপনি একটি কনফার্মেশন এসএমএস পাবেন। যেখানে আপনার করা আবেদন এর কনফার্মেশন, ট্র্যাকিং নাম্বার ইত্যাদি উল্লেখ করা থাকবে। পরবর্তী সময়ে এই আবেদন প্রক্রিয়ার আপডেট জানতে হলে আপনি ওয়েবসাইটে ঢুকে এই ট্র্যাকিং নাম্বারের মাধ্যমে খুব সহজেই তা দেখতে পারবেন।  

ধাপ ৪

এই ধাপে এসে ডিস্ট্রিবিউটারের কাছ থেকে আপনি একটি এসএমএস পাবেন। যেখানে সার্ভে করার শিডিউল এবং পরিদর্শনে আসার  একটি  নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করা থাকবে। এই নোটিফিকেশনটি পাওয়ার প্রেক্ষিতে একজন পরিদর্শক কর্মকর্তা এসে নির্দিষ্ট জায়গাটি পরিদর্শন করে যাবেন। পরিদর্শন করা শেষে, আপনার কাছে সার্ভে কমপ্লিট হওয়া বিষয়ক একটি এসএমএস পাঠানো হবে। 

ধাপ ৫ 

পরিদর্শন করা শেষে যে রিপোর্ট প্রস্তুত করা হবে, এই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ অফিস লোড সার্ভে বিষয়ক সকল তথ্য অনুমোদন করবে এবং কানেকশন পেমেন্ট স্লিপ প্রস্তুত করবে। অতঃপর ১ দিনের মধ্যেই আপনাকে এ ব্যাপারে জানানো হবে এবং এসএমএস এর মাধ্যমে পেমেন্ট কনফার্মেশন পেয়ে যাবেন।  

ধাপ ৬

এসএমএস পাওয়ার পর, সেখানে উল্লেখ করা নির্দিষ্ট টাকাটি আপনাকে পরিশোধ করতে হবে। আপনার সুবিধামত উপায়ে অর্থাৎ অনলাইন বা অফলাইন ব্যাংকিং, যেকোনো উপায়েই আপনি এই টাকাটি পরিশোধ করতে পারবেন। এসএমএস পাওয়ার পর উল্লেখিত সময়সীমার উপর নির্ভর করে আপনাকে ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই টাকাটি পরিশোধ করতে হবে।  

ধাপ ৭

আপনার পরিশোধকৃত টাকাটি পাওয়ার পর মিটার বরাদ্দ করার প্রক্রিয়াটি শুরু করা হবে। এক্ষেত্রেও এসএমএস এর মাধ্যমে মিটার বরাদ্দ করার ব্যাপারে আপনাকে জানানো হবে।  

ধাপ ৮ 

এই ধাপে মিটার ইন্সটল করার কাজ শেষ হওয়া মাত্রই, বৈদ্যুতিক সংযোগ চালু করে দেয়া হবে এবং  ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করার মাধমে পরবর্তীতে প্রতি মাসেই আপনি বিদ্যুৎ বিল অনলাইনে পরিশোধ করতে পারবেন। 

অনলাইনে বৈদ্যুতিক সংযোগ নেয়ার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়াটি বেশ ঝামেলাপূর্ণ। আর এই সংযোগ নেয়ার ব্যাপারে যোগ্য হওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়মনীতি মানতে হবে। তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে আপনি এখন ঘরে বসেই অনলাইনে বৈদ্যুতিক সংযোগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

এছাড়া বাসায় ব্যবহৃত যেসব বৈদ্যুতিক যন্ত্র মাস শেষে অতিরিক্ত বিল তুলতে পারে এবং আপনার খরচের খাতায় সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে পারে সে সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন এই আর্টিকেলের লিংকে।  

আপনি যদি ঢাকার শান্তিনগর এলাকায় প্রপার্টি কিনতে চান, তবে চাহিদামতো প্রপার্টি কিনতে এই লিংকে ক্লিক করে বিপ্রপার্টির বিশাল লিস্ট থেকে খুঁজে নিন আপনার পছন্দের লোকেশনে দারুণ কোন অ্যাপার্টমেন্ট। এছাড়া আপনি যদি ভাড়া দেয়ার জন্য আপনার প্রপার্টি প্রস্তুত করতে চান, তবে জেনে নিন ভাড়ার জন্য প্রপার্টি প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয় কিছু টিপস এই লিংকে ক্লিক করে। 

Write A Comment

Author