Reading Time: 3 minutes

ঝুঁকিবিহীন বিনিয়োগ বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই। সব রকমের বিনিয়োগেই কোন না কোনরকম ঝুঁকি থেকে যায়। কিন্তু সবাই চেষ্টা করে তার বিনিয়োগের কোন ক্ষতি যেন না হয়। আবার অনেকেই আছেন যারা অনেক বছর কাজ করে হয়ত এখন অবসর নেবেন, এমন বয়সে ঝুঁকি নেবার মতন মানুষিকতাও অনেক সময় থাকে না, তাঁরা খোঁজেন নিরাপদ বিনিয়োগের সুযোগ। তাই সবাই খুঁজে বের করতে চায় এমন কোন জায়গা যেখানে বিনিয়োগের ঝুঁকি তুলনামূলক কম।

কথায় আছে, দু’পা একসাথে দিয়ে কখনো জলের গভীরতা মাপতে হয় না। অর্থ্যাৎ আপনার সমস্ত বিনিয়োগ শুধুমাত্র এক জায়গায় করা উচিত না। আবার বিনিয়োগ না করে যদি সব টাকা আপনি ঘরে রেখে দেন, তাহলেও আছে ক্ষতির সম্ভাবনা। কারণ বিশ্ব অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়ছে। প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে নগদ টাকার মূল্য। তাহলে এই অবস্থা থেকে পরিত্রানের উপায় কি নেই কোনই?

নিরাপদ বিনিয়োগ

এমন কোন খাতে বিনিয়োগ করাই নিরাপদ যেখানে সবসময়ই কোন না কোনভাবে রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। মুদ্রাস্ফীতির সাথে সাথে আপনার আইডিয়া আপডেট করে বিনিয়োগ করাটাই সেফ। আধুনিক বিশ্ব প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জিনিস দিয়ে আপডেট হচ্ছে। কিছুদিন আগেও যে বিষয়ে ইনভেস্ট করা হয়ত নিরাপদ ছিল, আজকে তা আর নেই। তবে একটা বিষয় এখনো একই আছে, তা হল একটি মাথা গোঁজার ঠাই। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা যেমনই হোক না কেন, তার একটি মাথা গোঁজার ঠাই চাই-ই চাই। আর এজন্যই বাসা বাড়ি তথা রিয়েল এস্টেট সেক্টরে বিনিয়োগ করা তুলনামূলক নিরাপদ বলে অনেকেই মত দেন। তাই রিয়েল এস্টেট বা আবাসন খাতই হতে পারে তুলনামূলক নিরাপদ বিকল্পের সেই কাঙ্ক্ষিত বিকল্প।  

হ্রাসকৃত শুল্কে বিনিয়োগের সুবিধা

আপনার যে কোনপ্রকার প্রদর্শিত আয়ের উপরে ট্যাক্স প্রদান বাধ্যতামূলক। তবে সবসময়ই মানুষ উপায় খোঁজে কীভাবে নিয়মের মধ্যে থেকে কম ট্যাক্স প্রদান করা যায়। আর এক্ষেত্রে রেন্টাল প্রপার্টি হতে পারে ভাল সুযোগ। কেননা, নগদ ইনকামের জন্য যে পরিমাণ ট্যাক্স আপনাকে দিতে হবে তার চেয়ে কম ট্যাক্স দিতে হবে বাড়ি ভাড়া থেকে প্রাপ্ত অর্থের জন্য। তাই আপনার সঞ্চিত অর্থের জন্য ভাল বিনিয়োগ হতে পারে আবাসন।

মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা

মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। আজকের পৃথিবীতে এটি সবার জন্যই চিন্তার কারণ, আর রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ হতে পারে মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ। কারণ নগদ টাকার মূল্য যেভাবে কমে যায় কোন একটি এসেট বা সম্পত্তির মূল্য সেভাবে কমে না। নিজেই চিন্তা করে দেখুন ১০ বছর আগে ১ লাখ টাকায় কি পাওয়া যেত আর এখন কী পাওয়া যায়। অন্যদিকে ১০ বছর আগে যে জমির দাম ১ লক্ষ টাকা ছিল বর্তমানে তা কত?

প্রতিনিয়ত ক্যাশ-ফ্লো

আমাদের দেশে কোন প্রপার্টিই সাধারণত খালি পরে থাকে না। আর ভাড়া দেয়া কোন প্রপার্টি থেকে প্রতিনিয়ত ইনকাম আসতে থাকে। এমন আয়ের নিশ্চয়তা আর কোন বিনিয়োগই দিতে পারে না। তাই আপনার বিনিয়োগের জন্য চমৎকার মাধ্যম হতে পারে রিয়েল এস্টেট সেক্টর যা আপনি নিজে ব্যবহার না করলেও তা থেকে লাভবান হতে পারেন।

আকর্ষণীয় ইনভেস্টমেন্ট রিটার্ন

মনে করুন আপনি কোথাও থেকে ধার নিয়ে কোন কিছু কিনলেন আর অন্য কেউ তার মূল্য পরিশোধ করল বছর বছর ধরে। বলতে পারেন এতো অবাস্তব! এবার চিন্তা করুন, আপনি ব্যাংক লোন নিয়ে কোন একটি ফ্ল্যাট কিনে ভাড়া দিয়ে দিলেন। এই বাসা থেকে যে ভাড়া আসবে তা থেকেই কিন্তু একসময় পুরো লোন শোধ হয়ে যাবে। আপনাকে হয়ত সম্পূর্ণ টাকা লোন নিতে না-ও হতে পারে। হয়ত আপনার সঞ্চিত কিছু অর্থ আছে, এরসাথে কিছু লোন মিলিয়েই কিন্তু আপনি কিনে ফেলতে পারেন আপনার স্বপ্নের বাসাটি।

সবদিক বিবেচনা করে দেখা যায় যে, রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করা নিরাপদ এবং সফল বিনিয়োগকারীরা অনেক ক্ষেত্রেই এই খাতে বিনিয়োগ করেছেন। আমাদের দেশের মানুষ দেখা যায় রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করতে ইতস্তত করছেন। সামর্থ্য থাকলে ইতস্তত না করে এখনই বিনিয়োগ করুন রিয়েল এস্টেটে। আর রিয়েল এস্টেট নিয়ে যে কোন ধরণের পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুন বিপ্রপার্টি ডট কম-এ।

Write A Comment