Reading Time: 4 minutes

সকলের প্রিয় এই ধানমন্ডি এলাকা। আবাসিক সকল সুযোগ-সুবিধা  নিয়ে গড়ে ওঠা এই এলাকা সবার কাছে স্পেশাল। স্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটির পাশাপাশি আছে বেশ কিছু অফিসও। বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবেও সকলের পছন্দের তালিকায় আছে এই এলাকা। পুরো শহর জুড়ে এই এলাকার খ্যাতি অনেক। বিনোদনমূলক স্থান থেকে শুরু করে সাহিত্য চর্চা, এখানের সবকিছুই বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া, যে কথাটি না বললেই নয়, সেটি হল ধানমন্ডির খাবার। বিখ্যাত সব রেস্তোরার মেলা এই ধানমন্ডি। এমন একটি এলাকা যেখানে কংক্রিটের বিল্ডিং থাকলেও অভাব নেই প্রাকৃতিক স্থানের। চলুন এই এলাকায় আরও কী কী আছে সে সম্বন্ধে জানি।   

খাবার 

বার্গার
মজাদার খাবার

নামীদামী সব রেস্তোরা আছে এই এলাকায়। সব রকমের খাবারের জন্য এদিকটা বেশ জনপ্রিয়। বাঙালি খাবার হোক কিংবা ফার্স্ট ফুড সবকিছুই এখানে সেরা। এটি এমন এক এলাকা যেখানে এসে আপনি কখনোই শূন্য হাতে ফিরে যাবেন না। ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোড থেকে শুরু করে জিগাতলা অব্দি। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য বহুতল ভবন। যে ভবনের একেকটি ফ্লোরে জায়গা করে নিয়েছে মজার খাবারের সব রেস্তোরা। আপনি যদি কাচ্চি বিরিয়ানি, খিচুড়ি কিংবা পিজ্জা খেতে পছন্দ করেন, সব এই এলাকায়ই পাবেন। অর্থাৎ, এই এলাকায় ঘুরতে এলে আপনার অপশনের কোন কমতি থাকবে না! তাছাড়াও বিকেলের আলাপ করার জন্য রয়েছে চমৎকার সব ক্যাফে। রুফটপ ক্যাফে যাদের পছন্দ তাদের জন্য এই এক ফুড হ্যাভেন। এ এলাকা যেন মনের মত একটি স্থান। যেখানে কেউ শূন্য হাতে ফিরবে না।   

বিনোদনমূলক স্থান 

Rabindra Sarobar
রবীন্দ্র সরোবর

ধানমন্ডির লেক! সবুজে শ্যামলে ঘেরা একটি লেক। যেখানে মানুষ হাটাহাটি থেকে শুরু করে বন্ধুদের সাথে আড্ডা সবকিছুই করে থাকে। শহরের জীবনে প্রতিটি দিন কাটে ব্যস্ততায়। অবসর বলতে সপ্তাহে একটি ছুটির দিন। সেই দিনে কি বসে ভাবতে ভালো লাগে যে কথায় যাওয়া যায়? মোটেও না! সুতরাং কাছের কোন জায়গা থেকে ঘুরে আসতে এই লেকের জুড়ি নেই। হরেক রকম পারিবারিক ও সামাজিক ব্যস্ততাকে দূরে ঠেলে দিয়ে প্রকৃতির কাছে সময় কাটান। ছুটির দিনগুলো কাটাতে চলে আসুন ধানমন্ডির এই লেকে। আছে রবীন্দ্র সরোবর, যেখানে খোলা আকাশের নিচে বসে কনসার্ট কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাগম। সীমান্ত সম্ভারে আছে সিনেমা হল “স্টার সিনেপ্লেক্স”। বিনোদনের জায়গার কোন অভাব নেই এখানে। 

কেনাকাটা

ধানমন্ডি হকার্স
ধানমন্ডি হকার্স

ব্যক্তি জীবনে আমরা সকলেই কেনাকাটা খুব পছন্দ করি। কেনাকাটার সাথে ঘুরে বেড়ানো, পেটে কিছু পুরে ফেলা বেশ পছন্দের একটি কাজ আমাদের। ধানমন্ডি এলাকাটি এমনই যেখানে কেনাকাটার অপশন অনেক। রাপা প্লাজা থেকে শুরু করে সীমান্ত সম্ভার সবগুলো বেশ জনপ্রিয় ধানমন্ডি বাসিন্দাদের। এছাড়া আরও আছে, ধানমন্ডি হকার্স গাঁ ঘেঁষে আছে চাঁদনী চক আর নিউ মার্কেট। এই কেনাকাটার জায়গাগুলো বেশ জনপ্রিয়। এছাড়াও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আউটলেটগুলো তো আছেই। যেখানে সবসময় হাল ফ্যাশনের পোশাকগুলো পাওয়া যায়। এক রাস্তায় আসলে সব আছে। এছাড়া বিশেষ নজরকাড়ে যে আয়োজনগুলো, সেগুলো হল, বিভিন্ন গ্যালারীতে অলনাইন শপের মেলা। যেখানে বিভিন্ন রকমের ডিসকাউন্ট আর অফার থাকে। এইজন্য এই মেলাগুলোতে ভিড় জমে বেশি।

সাহিত্য চর্চা 

দেয়ালে ফ্রেম
সাহিত্যে একটি দিন কাটাতে ঘুরে আসুন

সাহিত্যের এক অনন্য ক্ষেত্র এই এলাকা। সাহিত্যে ডুব দিতে, চলে যেতে পারেন “বেঙ্গল বই ঘর” এ। কিংবা “জ্ঞান তাপস আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যাপীঠে” যেখানে এক্সিবিশনের পাশাপাশি রয়েছে নিরিবিলিতে বসে বই পড়ার চমৎকার সুযোগ। সময়ের সাথে আমরা যারা বই কেনা কিংবা বই হাতে নিয়ে পড়া ভুলেই গেছি তাদের জন্য এই জায়গাগুলো যেন একটি উপহারস্বরূপ। এই এলাকার আরও বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য হল এখানে আছে নামকরা সব চমৎকার আর্ট গ্যালারীগুলো। যেখানে সময় সময় হয়ে থাকে নানা ধরণের ইভেন্ট। কী ধরণের ইভেন্ট হয়ে থাকে এখানে, তা জানার জন্য শুরুতেই জানুন মার্চে কোথায় কি হচ্ছে

খেলাধুলা 

খেলার মাঠ
খেলাধুলার সুযোগ রয়েছে এখানে

খেলতে যারা ভালোবাসেন তাদের জন্য ধানমন্ডি এক প্রিয় নাম। আবাহনী মাঠ কিংবা ওমেন্স কমপ্লেক্স নাম যেটাই হোক এমন সুযোগ কোথায় আর পাবেন না। আপনি যদি খেলতে পছন্দ করে থাকেন তাহলে এই এলাকা হবে আপনার একান্ত গন্তব্য। বিশাল বড় এই খেলার মাঠগুলোতে আপনার খেলার সঙ্গির কোন অভাব হবে না। যদিও ওমেন্স কমপ্লেক্সে চাইলেই ঢুকতে পারছেন না। কিন্তু আবাহনী মাঠটা সকলের জন্য উন্মুক্ত। বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ছাড়াও হয়ে থাকে নানারকম কনসার্ট। আপনি চুপচাপ বসে থাকতে চাইলেও এখানে চলে যেতে পারেন। এছাড়া আছে সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, ঠিক সাত মসজিদ রোডের উপরেই। এখানে ঘুরতে গেলেও আপনার সময় বেশ সুন্দরভাবেই কেটে যাবে। 

এ এলাকাতে সবার জন্য কিছু না কিছু উপহার আছে। সব বয়সের সবাই এখানে নিজেদের মত করে সময় কাটাতে পারবে। হোক তা শপিং কিংবা খেতে আসা। এমন একটি সুন্দর দিন খুব সহজে এখানে কাটানো যাবে। কেমন গেল আপনার এই সময়, জানাতে কমেন্ট করুন। 

Write A Comment