Reading Time: 3 minutes

বাড়ি বা প্রপার্টি ক্রয় নিয়ে অনেকেরই অনেক ধরণের স্বপ্ন এবং পরিকল্পনা থাকে। তবে অধিকাংশক্ষেত্রেই সেই পরিকল্পনা বাস্তবের মুখ দেখতে পায় না শুধুমাত্র অর্থায়নের অভাবে। আর প্রপার্টি কিংবা বাসাবাড়ি ক্রয়ের সময় কিংবা যে কোন উদ্যোগে অর্থায়নের জন্য ব্যাংক কিংবা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নেয়ার বিষয়টি  খুবই প্রচলিত একটি বিষয়। বিভিন্ন প্রকার ঋণের মধ্যে মর্টগেজ কিংবা বন্ধকী ঋণ বেশ প্রচলিত এবং জনপ্রিয়। আমাদের আজকের লেখাটি এই মর্টগেজ বা বন্ধকী ঋণ সম্পর্কেই। চলুন দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশে মর্টগেজ বা বন্ধকী ঋণ নিয়ে বিস্তারিত। 

বন্ধকী ঋণ অথবা মর্টগেজ কী?

ব্যাংক বা যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেয়া হচ্ছে সেই প্রতিষ্ঠানে নিজের কোন স্থাবর সম্পত্তি জমা রেখে তার বিপরীতে নেয়া অর্থঋণকেই মূলত বন্ধকী ঋণ বলা হয়। আর এই মর্টগেজ সম্পাদনের জন্য যে আইনী দলিল তৈরি হয়ে তাকে বলে মর্টগেজ দলিল বা বন্ধকী দলিল। 

অর্থাৎ যে দলিলের মাধ্যমে ঋণ হিসেবে অগ্রিম প্রদত্ত বা ভবিষ্যতে প্রদেয় অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা, (বর্তমান বা ভবিষ্যৎ দেনা পরিশোধের নিশ্চয়তা) অথবা আর্থিক দায় সৃষ্টি করতে পারে এমন কোন পরিস্থিতির বিপরীতে অঙ্গীকার হিসেবে নির্দিষ্ট স্বাবর সম্পত্তির স্বার্থ হস্তান্তর করা হয় তাকেই বন্ধকী দলিল বলে।

কখন বন্ধকী ঋণ নেয়া হয়?

বন্ধক লোন সাধারণত নেয়া হয় নতুন কোন উদ্যোগে আর্থিক সচ্ছলতার জন্য। যেমন সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে এই লোন নেয়া যেতে পারে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, যে সম্পত্তির বিপরীতে লোন নেয়া হচ্ছে সেটি বিক্রি করতে হয় না। লোন পরিশোধ করার পর পুনরায় সেটির মালিকানা ফেরত পাওয়া যায়। বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এই লোন নেয়া যেতে পারে যেমন, ব্যবসায়িক উন্নয়নের জন্য, বাসা নির্মাণ অথবা ক্রয়ের জন্য, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গমনের জন্য ইত্যাদি।

বন্ধক রাখার উপযুক্ত প্রপার্টি এবং প্রাপ্য লোনের পরিমানঃ

যে কোন ধরণের স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখেই মর্টগেজ লোন নেয়া সম্ভব। নিজ মালিকানায় থাকা বাড়ি, যে কোন জায়গা বা প্লট, কমার্শিয়াল বা ইন্ড্রাস্টিয়াল প্রপার্টিও বন্ধক রাখা যায়। এমনকি কোন নির্মানাধীন প্রপার্টিও বন্ধকী প্রপার্টি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

এক্ষেত্রে খুব কমন একটি প্রশ্ন হল বন্ধকী প্রপার্টির বিপরীতে কী পরিমাণ লোন পাওয়া সম্ভব? সাধারণত বন্ধকী সম্পত্তির মূল্যের বিপরীতে ৫০% থেকে ৭৫% পর্যন্ত ঋণ পাওয়া সম্ভব। তবে মোটামুটি ৫০ থেকে ৬০ শতাংশই হল ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড। 

কোন স্থাবর সম্পত্তির মূল্যই পূর্ব নির্ধারিত নয়। তাই প্রতিনিয়ত ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান সম্পত্তির মূল্যায়ন এবং যাচাইবাছাই করা হয়। এই প্রপার্টি ভ্যালুয়েশন বা মূল্যায়নের পরেই নির্ধারিত হয় কোন প্রপার্টির মূল্য এবং সেই মূল্যের বিপরীতেই লোন ইস্যু করা হয়। 

বাংলাদেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ রিয়েল এস্টেট সল্যুশন প্রোভাইডার বিপ্রপার্টি  এই প্রপার্টি ভ্যালুয়েশন বা মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও পারদর্শী। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া এক চুক্রি অনুসারে খ্যাতিমান আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি-এর হোমলোনের ক্ষেত্রে প্রপার্টি ভ্যালুয়েশন এবং ভ্যালিডেশনের কাজ করবে বিপ্রপার্টি

বন্ধকী ঋণের উপর সুদের হারঃ

মর্টগেজের উপর সুদের হার সাধারণত ১২% থেকে ১৫% এর মধ্যে হয়ে থাকে। অবশ্য অনেকসময় অন্যান্য সূচক যেমন ডাউনপেমেন্ট, কতবছরের মর্টগেজ রাখা হচ্ছে, এসবের উপরও নির্ভর করে। তবে যেকোন পার্সনাল লোনের তুলনায় বন্ধকী ঋণের সুদের হার সাধারণত কম হয়ে থাকে। এজন্য সম্ভাব্য ক্ষেত্রে বেশিরভাগ গ্রাহকই মর্টগেজ লোন নেয়াকে প্রেফার করেন। মোটের উপর হোমলোনের পর সবচেয়ে কম সুদের হার পাওয়া যায় বন্ধকী ঋণ নেবার বেলাতেই। আপনি চাইলেই বিপ্রপার্টির লোন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে হিসাব করতে পারেন মর্টগেজের উপর সুদের হার সহ অন্যান্য তথ্য।

বন্ধকী ঋণ দেবার পূর্বে ব্যাংক যা খতিয়ে দেখেঃ

যে কোন লোন প্রসেসিং এর ক্ষেত্রেই ব্যাংক বা ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান অনেক কিছু যাচাই বাছাই করে দেখে। বন্ধকী ঋণ দেবার পূর্বে সাধারণত যেসব কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হয়

  • মাসিক এবং বাৎসরিক আয়
  • গত ৩ বছরে প্রদত্ত কর এবং ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (টিন নাম্বার)
  • পেশা
  • কর্ম অভিজ্ঞতা
  • বর্তমান কর্মরত প্রতিষ্ঠান
  • বন্ধকী সম্পত্তির মূল্য
  • চলমান বা অপরিশোধিত লোন (যদি থাকে)

এছাড়া লোনের অ্যাপ্লিক্যান্ট (ঋণগ্রহীতা) এর বয়স এবং উপার্জনও খতিয়ে দেখা হয় ব্যাংক কর্তৃক। মূলত প্রতিটি ব্যাংকই এই বিষয়গুলো যাচাই বাছাই করে তবেই লোনের অনুমোদন দেয়। ব্যাংক ভেদে এতে সামান্য হেরফের হতে পারে। বিপ্রপার্টির সাথে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের এক্সক্লুসিভ সব চুক্তি। সেগুলোর বিস্তারিত দেখতে পারেন বিপ্রপার্টির হোম লোন পেজ থেকে।

বন্ধকী ঋণ নিয়ে এই ছিল আজকের লেখা। এখানে সাধারণত জানতে চাওয়া বিষয়গুলো নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এর বাইরেও কিছু জানার থাকলে মন্তব্যের ঘরে জানতে চাইতে পারেন। আর সম্পূরক বিভিন্ন বিষয়ে লেখা প্রতিনিয়ত পেতে চাইলে চোখ রাখতে পারেন বিপ্রপার্টি ব্লগে

3 Comments

  1. Md Zaman Hossain Talukder Dpe

    I have took a home loan. But the bank give me only 10 lakhs taka by repayering loan. But I want 20 lakh taka to build my next upprur floor. They play with me a double game. At present I didn’t complete my 2nd floor with that money. For your kind information I am a gov employee. Now what can I do . If I will not complete my 2nd floor I will be suffer in the long run. Besides I didn’t pay their monthly installment. Please take me know what can I do now.

  2. md Kamruzzaman

    আমি আমার ৪৫ শতাংশ বাসা বন্ধক রেখে লোন চাই

Write A Comment