Reading Time: 3 minutes

দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ প্রপার্টি সল্যুশন প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান হল বিপ্রপার্টি। আদতে রিয়েল এস্টেট সার্ভিস দিয়ে থাকলেও শুধু প্রপার্টি কেনা, বেচা আর ভাড়ার মধ্যে বিপ্রপার্টির সেবা সীমাবদ্ধ নয়। বরং এর বাইরেও প্রপার্টি সংক্রান্ত সব ধরণের সার্ভিসই বিপ্রপার্টি দিয়ে থাকে, লিগ্যাল অ্যাডভাইজ এবং হোম লোন সংক্রান্ত সাপোর্ট যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে ১৯৮১ সালে শুরু হওয়া আইপিডিসি ফিন্যান্স দেশের প্রথম সারির অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটির পেছনে বিনিয়োগকারী হিসেবে আছে ব্রাক, বাংলাদেশ সরকার এবং আরও অনেক স্বনামধন্য দেশী বিদেশী প্রতিষ্ঠান। ফিনান্সিং সলুশ্যনের জন্য অনেকেই এটিকে বেছে নেন প্রথম পছন্দ হিসেবে। আর সম্প্রতি হওয়া একটি চুক্তি অনুসারে বিপ্রপার্টি ও আইপিডিসি একত্রে কাজ করবে প্রপার্টি ভ্যালুয়েশন এবং ভ্যালিডেশনের জন্য। 

ভ্যালুয়েশন এবং ভ্যালিডেশন কী?

আইপিডিসি

প্রপার্টির মূল্যায়ন (ভ্যালুয়েশন) এবং মালিকানা যাচাই (ভ্যালিডেশন) যে কোন প্রপার্টির জন্য হোম লোন পেতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। প্রপার্টি ভ্যালিডেশন বা মালিকানা যাচাই হচ্ছে, বাড়ির দলিলপত্রগুলো যাচাইয়ের মাধ্যমে আপনার মালিকানার দাবি প্রমাণ। এর মাধ্যমে প্রমাণিত যে এই প্রপার্টির মালিক আপনি নিজে। অন্যদিকে প্রপার্টি ভ্যালুয়েশন বা মূল্যায়ন হচ্ছে প্রপার্টির বর্তমান বাজারমূল্য নির্ধারণ করা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই দুটি বিষয়ই যথেষ্ট জটিল এবং সময়সাপেক্ষ এক একটি বিষয়। মালিকানা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে বিভিন্ন ডকুমেন্টেশন বা দলিলপত্রের। এসকল দলিলের মধ্যে আছে  আর হোম লোনের জন্য আবেদন করা হলে ব্যাংক বা অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত বিভিন্ন সম্পূরক বিষয়ের ওপর লক্ষ করে প্রপার্টির মূল্যায়ন করে থাকে।

কী আছে নতুন হওয়া এই চুক্তিতে?

চুক্তি স্বাক্ষর

আইপিডিসি ফিন্যান্স এবং বিপ্রপার্টি সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আইপিডিসি ফিন্যান্সের কর্পোরেট অফিসে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এই চুক্তি অনুসারে বিপ্রপার্টি আইপিডিসি ফিন্যান্সের মর্টগেজের আওতাধীন প্রপার্টির লিগ্যাল ভ্যালিডেশন এবং মূল্যায়ন করবে। অন্যদিকে যে সকল গ্রাহক বিপ্রপার্টি মাধ্যমে আইপিডিসির কাছ থেকে হোমলোন  নেবেন তারাও পাবেন বিশেষ সুবিধা। এসকল সুবিধার মধ্যে থাকবে হ্রাসকৃত প্রসেসিং ফি এবং সুদের হার, দ্রুত প্রসেসিং সুবিধা ইত্যাদি। 

আইপিডিসি ফিন্যান্স এবং বিপ্রপার্টি.কম লিমিটেড এর মত দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এরূপ চুক্তি বাংলাদেশে এই প্রথম। একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হোমলোন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রপার্টি ভ্যালুয়েশন এবং ভ্যালিডেশনের দেখভাল করবে আরেকটি প্রতিষ্ঠান, অনেকেই এই ঘটনাকে দেশের প্রেক্ষাপটে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করছেন।

বিপ্রপার্টি সম্পর্কে

বাংলাদেশের একমাত্র কমপ্লিট রিয়েল এস্টেট সল্যুশনস প্রোভাইডার বিপ্রপার্টি ইমার্জিং মার্কেটস প্রপার্টি গ্রুপ বা সংক্ষেপে ইএমপিজি-এর একটি অংশ। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর মোট ১৬টি দেশে ইএমপিজি এর কার্যক্রম প্রসারিত। বিপ্রপার্টি সম্বসময়ই চেষ্টা করে প্রপার্টি সংক্রান্ত সকল বিষয়কে আরও সহজ ও নির্ঝঞ্ঝাট করে তুলতে। আর এই চুক্তি এবং অংশীদারিত্ব সেই পথেই একটি বড়সড় অগ্রসর হওয়া। 

বাংলাদেশে তাদের যাত্রা শুরুর পর থেকে গত ৪ বছরে বিপ্রপার্টি ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রায় ২৮ লক্ষ প্রপার্টির বিভিন্নরকমের তথ্য সংগ্রহ করেছে। প্রায় ৮০০ নিবেদিতপ্রাণ কর্মীর নিরলস প্রচেষ্টায় এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের বিশ্লেষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করে বিপ্রপার্টি। ফলে গড়ে মাত্র ৩০ মিনিট সময়ের মাঝেই কোন প্রপার্টির সম্ভাব্য ভ্যালুয়েশন বা মূল্যায়ন করা সম্ভব বিপ্রপার্টির পক্ষে।  

বিপ্রপার্টি একটি প্রপ-টেক কোম্পানি হওয়ায় বিগ ডাটা টেকনোলজি এবং ভ্যালুয়েশন এল্গরিদমের উপরে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। ফলস্বরূপ শুধুমাত্র প্রপার্টির মূল্য নির্ধারণ নয় বরং গ্রাহকের প্রয়োজন নির্ধারণ এবগ্ন সম্মক বিভিন্ন সার্ভিস শুরু করেছে বিপ্রপার্টি। এর মধ্যে আছে বিপ্রপার্টি রেন্টাল, বিপ্রপার্টি ইন্টেরিয়র, পে-রেন্ট এর মত সার্ভিস। 

পরিশেষে বলা যায় এমন চুক্তির কারণে শুধু চুক্তিকৃত প্রতিষ্ঠানদুটি নয় বরং তাদের সকল গ্রাহকেররাই সমানভাবে উপকৃত হয়। যারা প্রপার্টি কেনার জন্য হোমলোনের চিন্তা করছেন তাদের জন্য এ এক বিরাট সুযোগ। তার দ্রুত হোম লোন পাবেন প্রপার ভ্যালুয়েশন এবং ভ্যালিডেশন সহ!

Write A Comment