বৈশ্বিক মহামারীর পর থেকে অনেক কিছু বদলে গেছে। যেমন বদলে গেছে তেমনি বদলে দিয়েছে আমাদের আর আমাদের জীবনকে। আগের মত করে আমরা বাঁচি না বহুকাল। ভালোলাগা বা পছন্দে এসেছে নতুনত্ব। ২০২০ সালের শুরুর দিকে আমরা অনেকেই বাসা থেকে অফিস করেছি। নিজের ঘরে সেট আপ করতে হয়েছে অফিসকে, যার দরুন ঘরের ইন্টেরিয়রে পরেছে এর ব্যাপক প্রভাব। হোম অফিসের সেট আপ দেওয়া থেকে শুরু করে ঘরের কোন রিলাক্সিং কর্নার এমন বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে হোম ইন্টেরিয়রে। সেগুলোই আজ জানা যাবে। ২০২১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ইন্টেরিয়র ট্রেন্ডস কেমন বদলেছে তা জানতে পড়তে থাকুন।
মাল্টি ফাংশনাল লিভিং স্পেস

সবকিছু যখন স্বাভাবিক ছিল। দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজই আমরা বাড়ির বাইরে থেকে সম্পন্ন করে আসতাম। জিম করা থেকে শুরু করে সিনেমা দেখা বা অফিস এই সব কাজই আমরা কম বেশি বাড়ির বাইরেই সম্পন্ন করে আসতাম। আমাদের অনেকের জন্যই এই কাজগুলো এখন ঘরে থেকেই করা হয়। ঘর থেকে বেড়িয়ে জিমে যাওয়া এখন একদমই নিরাপদ নয়। সিনেমা হলগুলোও এখন আর আগের মত খোলা নেই। এটাই একটা অন্যতম কারণ ২০২১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ইন্টেরিয়র ট্রেন্ডস বদলে যাওয়ার। অনেকেই এখন তাদের লিভিং রুমকে বিনোদন কেন্দ্র, ওয়ার্ক আউট স্পেস এবং স্টাডিরুমে পরিণত করেছে। আর যাদের অতিরিক্ত রুম রয়েছে তারা প্রতিটি রুমকেই আলাদা আলাদা কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে আসছে।
কমফোর্ট বা স্বাচ্ছন্দ্যের দিক

লকডাউনের ফলে দিনের প্রায় পুরোটা সময়ই আমাদের থাকতে হয়েছে ঘরের ভেতর। তাই ঘরের ভেতরটা আরামদায়ক হওয়া আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যদিও হোম ইন্টেরিয়রকে কখনোই ছোট করে দেখা হয়নি বরং, হোম ইন্টেরিয়রের সাথে কমফোর্ট বা স্বাচ্ছন্দ্যের দিকটাও দেখা হচ্ছে সমানভাবে। এমনকি কয়েক দশক আগেও ইন্টেরিয়রে আরাম বা স্বাচ্ছন্দ্যকে সবসময়ই আড়ালে রাখা হতো কিন্তু হাল সময়ে ম্যাটারিয়াল টেকনোলোজির সুফলে এখন যেকোন ক্ষেত্রেই আরাম আর স্বাচ্ছন্দ্যকে দেয়া হয়েছে সমান জায়গা। যেকোন কিছুই এখন একনাগাড়ে আরামদায়ক আর স্টাইলিশ হতে পারে এমন ট্রেন্ড এসেছে ইন্টেরিয়রে। আরামদায়ক রাগস, কুশন এখন রাখা হচ্ছে সোফার সাথে যাতে করে আপনার লিভিং রুম যেমন স্টাইলিশ দেখাবে তেমনি বসার জন্য হয়ে উঠবে আরামদায়ক। অনেকেই এখন ঘরে বসেই করছে অফিসের সব কাজ। কেউ কেউ সোফায় বসে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তাই বাসার বসার ব্যবস্থটাও হতে হবে আরামদায়ক।
স্মার্ট হোম

বিশাল এক তালিকা, সেন্সর, স্মার্ট বাল্ব, এসি, টিভি,স্মার্ট সিকিউরিটি ক্যামেরা, স্পিকার আরও কত কী! আর এই সবকিছু সবসময় আপনার সাথে সংযুক্ত থাকে আপনারই স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে। অর্থাৎ, আপনি যেখানেই থাকুন না কেন মুঠোফোনের সাহায্যে পুরো বাসা নিয়ন্ত্রণ আপনি করতে পারছেন। বাসা নিজের হোক বা ভাড়া, নিরাপত্তা বা দেখভালের দায়িত্ব কিন্তু আপনার নিজের। বর্তমানে বেশ কিছু স্মার্ট হোম ডিভাইসের কল্যাণে ঘরের খোঁজ এখন যেকোন প্রান্ত থেকেই নেওয়া যাচ্ছে। বাসাকে সুরক্ষিত ও সুবিধাজনক করে তুলতে পারেন কয়েকটি স্মার্ট হোম গ্যাজেট ইনস্টল করেই। যেহেতু একটা লম্বা সময় ধরে ঘরে থাকা হচ্ছে তাই নিজের বাড়িটাকে স্মার্ট হোম বানিয়ে নিচ্ছে অনেকেই। অ্যামাজন, গুগল, স্যামসাং এবং শাওমির মতো কোম্পানিগুলো স্মার্ট হোম সলিউশন সরবরাহ করছে। দেশেও এখন এমন সব স্মার্ট হোম পণ্য রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনার ফোনের সাথে স্মার্ট স্পিকার এবং টিভিকে সংযুক্ত করাতে পারবেন।
ঘরের কোণে প্রকৃতি

অনেক প্রকৃতিপ্রেমীরাই এই মহামারীর সময় তাদের নিজ বাড়িতে আটকে ছিলেন একটা দীর্ঘ সময়। লকডাউনের কারণে সুন্দর কোন জায়গা বা পার্কে বেড়াতে যাওয়া হয়ে উঠেছিল বেশ মুশকিল। এমন অবস্থায় কতদিনই আর টিকে থাকা যায়। তখনই ঘরের ভেতর একটু একটু করে সবুজ আনতে শুরু করেছিলেন এই প্রকৃতি প্রেমীরাই। ইনডোর প্ল্যান্টগুলোর জনপ্রিয়তা এই সময়ে বেড়ে গিয়েছিল। যেহেতু এগুলো দেখাশোনা করা বেশ সহজ। অনেকে আবার ঘরের ভেতর অল্প করে শাক সবজির গাছও লাগাতে শুরু করলেন। নিজের হাতে বোনা সবজির মায়া যেন ভিন্ন। অনেকে ভেষজ গাছও লাগিয়েছেন। গাছ আমাদের পরিবেশ ও মানসিক স্বাস্থ্য দুটোর জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
এই ছিল ২০২১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ইন্টেরিয়র ট্রেন্ডস যা কিনা মহামারীর কারণে বদলে গিয়েছিল। এমন আরও নতুন নতুন তথ্য পেতে বিপ্রপার্টির সাথে থাকুন। এছাড়াও হোম ইন্টেরিয়রটা স্টাইলিশ করতে চাচ্ছেন? বিপ্রপার্টি হতে পারে আপনার ইন্টেরিয়র গাইডেন্স! সেটা কীভাবে জানতে যোগাযোগ করুন এখনই!
কলঃ ০৯৬১২১১০০১১
ইমেইলঃ interior@bproperty.com
ভিজিট করুন https://my.bproperty.com/interior