Reading Time: 5 minutes

জমিতে বিনিয়োগ হোক কিংবা কমার্শিয়াল বা রেসিডেন্সিয়াল প্রপার্টিতে, সিদ্ধান্ত নেয়ার কাজটা যেন কিছুটা কঠিন হয়ে যায় যদি না বিনিয়োগের জায়গা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকে। তাই প্রপার্টিতে বিনিয়োগের আগে প্রয়োজন নির্দিষ্ট জায়গাটি সম্পর্কে বিচার বিশ্লেষণ, জমির মূল্য যাচাই-বাছাই, সেখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা, সুযোগ-সুবিধা সমূহ এবং ভবিষ্যতের  সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা থাকা। প্রপার্টিতে বিনিয়োগের জন্য ঢাকার সম্ভাব্য এলাকা সমূহ এর মধ্যে দক্ষিণখান, বনশ্রী, বসুন্ধরা বেশ জনপ্রিয় হলেও, বর্তমানে বিনিয়োগের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় এলাকা হয়ে উঠছে পূর্বাচল। ঢাকার কোলাহল থেকে কিছুটা দূরে প্রপার্টি কেনার কথা ভেবে থাকলে, পূর্বাচল এর কথা যেন না বললেই নয়। সঠিক জমিতে বিনিয়োগ এর জন্য পূর্বাচলে গড়ে উঠছে দারুণ কিছু প্রকল্প। এর মধ্যে পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে বিনিয়োগ এর জন্য অন্যতম।

চমৎকার এই প্রকল্পের অধীনে আপনি পাচ্ছেন কমার্শিয়াল এবং রেসিডেন্সিয়াল ভবনের জন্য স্পেস, খোলামেলা সবুজ পরিবেশ সহ বসবাসের জন্য উপযুক্ত সব ধরনের ব্যবস্থা। তবে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কেন পূর্বাচল আমেরিকান সিটি -ই হবে সেরা, চলুন জেনে নেয়া যাক এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত।  

প্রজেক্ট ওভারভিউ 

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি
৮ হাজার বিঘা জমির উপর গড়ে উঠেছে চমৎকার এই প্রকল্প
প্রজেক্ট নাম  পূর্বাচল আমেরিকান সিটি 
ডেভেলপার   ইউ-এস বাংলা অ্যাসেটস লিমিটেড 
ঠিকানা  পূর্বাচল 
প্লটের সংখ্যা  ১৮ হাজার 
জমির আয়তন  ৮ হাজার বিঘা 
প্লটের আয়তন   ২.৮ – ২৫ কাঠার অধিক   
সেক্টর ৪৫টি 
ব্লক সংখ্যা  ৯টি 
লেকের প্রস্থ  ১৫০ ফিট 

আধুনিক জীবন যাপনের জন্য যা যা প্রয়োজন পূর্বাচল আমেরিকান সিটি প্রকল্পে আপনি পেয়ে যাচ্ছেন এর সব কিছুই। ৮ হাজার বিঘা জমির উপর গড়ে ওঠা এই প্রকল্পের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজই বর্তমানে সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এমনকি  কন্সট্রাকশান কাজের জন্য যত ধরনের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, পূর্বাচল আমেরিকান সিটি এর জন্য প্রতিটি অনুমোদনই নেয়া আছে। এমনকি পরিবেশের ছাড়পত্রও নেয়া আছে। এর ফলে এই প্রকল্পের আওতাধীন যেকোনো প্লটে কাজ করার জন্য আপনাকে অনুমোদনের জন্য অপেক্ষাও করতে হচ্ছে না। 

পূর্বাচলে চলমান ল্যান্ড প্রজেক্ট গুলোর মধ্যে কাজের অগ্রগতি যদি কোন প্রজেক্টে সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে তবে সেটি পূর্বাচল আমেরিকান সিটি। এই প্রকল্পের অধীনে একটি কমার্শিয়াল ভবন ইতিমধ্যে পুরোপুরি ভাবে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। এছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় ৪-৫টি কটেজের কাজও অলরেডি হয়ে গিয়েছে এবং বর্তমানে ৩টি কমার্শিয়াল ভবনের কাজও চলছে। তবে ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার প্লট অলরেডি বিনিয়োগকারীদের হ্যান্ডওভার করার প্রস্তুতিও চলছে। আর তাই দ্রুত সময়ে প্রজেক্টের অগ্রগতির কথা চিন্তা করলে পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে বিনিয়োগ এর সিদ্ধান্ত এক কথায় হবে সেরা। 

সুযোগ-সুবিধা সমূহ

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি প্রকল্প
পুরো প্রকল্প জুড়ে ১ লাখেরও অধিক গাছ লাগানো হয়েছে

এই প্রকল্পের অন্যতম একটি সুবিধার দিক হচ্ছে এর মধ্যে আপনি পাচ্ছেন দারুণ খোলামেলা পরিবেশ। পুরো প্রকল্প জুড়ে প্রতি প্লটের পেছনে ১২ ফিটের মতো খোলা জায়গা রয়েছে যা গ্রিন জোন হিসেবে পরিচিত। এছাড়া প্রতিটি প্লটের সামনে ৪ ফিটের মতো জায়গা ছাড়া হচ্ছে। যার ফলে প্রতি প্লটেই আলো-বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা যেমন থাকছে, তেমনি প্লটের সামনে এবং পেছনে থাকছে সবুজে ঘেরা এরিয়া। যা অন্য কোন হাউজিং প্রজেক্টে নেই বললেই চলে। 

শুধু তাই-ই নয়, পূর্বাচল আমেরিকান সিটি প্রকল্পের ভেতরে এখন পর্যন্ত ১ লাখেরও অধিক গাছ লাগানো হয়েছে। দেশি-বিদেশি প্রজাতির এই গাছগুলো প্রকল্পের জায়গাকে আরও সুন্দর করে তুলছে। ভবিষ্যতে আরও অধিক গাছ লাগানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। এ প্রকল্পের ভেতরে ৩০ থেকে শুরু করে ১০০ ফিটের মতো রাস্তা রয়েছে। আর প্রধান অ্যাভিনিউ রোডটি ১৪০ ফিটের। পূর্বাচল আমেরিকান সিটির প্রতি সেক্টরে একটা করে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। আর প্রতি ব্লক মিলিয়ে মোট ৯টি পার্ক আছে এই প্রকল্পের ভেতরে। পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে বিনিয়োগ এর জন্য সিদ্ধান্ত নিতে তবে আর দেরি কেন!   

এছাড়া এই প্রকল্পের ভেতরে ঢোকা এবং বের হওয়ার জন্য দুইটি ভিন্ন রাস্তা রয়েছে। ১৮০ ফিটের এশিয়ান হাইওয়ে রোড এর ঠিক পাশেই এই প্রকল্পটি হওয়ার কারণে, প্রধান সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় খুব সহজেই চোখে পড়ে চমৎকার এই এরিয়াটি। প্রকল্পের ভেতরে রয়েছে ১৫০ ফিট প্রস্থ একটি লেক। এছাড়া এই প্রজেক্টের অন্যতম চমৎকার আরেকটি দিক হল গলফ কোর্স যা ৩৭০ বিঘার উপর নির্মিত। 

এই প্রকল্পের ২টি সেক্টর থাকছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এর আওতায়, যেখানে প্রতি সেক্টরে ৪০০টি করে মোট ৮০০টি প্লট রয়েছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বিশেষ চাহিদা হিসেবে এই প্রকল্পের ভেতরে ১৮ হাব এর একটি গলফ কোর্স তৈরি করা হচ্ছে। যার মধ্যে ৯টি হাবই থাকছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আওতাধীন এবং বাকি ৯টি হাব প্রকল্পের ভেতরে বসবাসরতদের জন্য।   

উন্নয়নমূলক কার্যক্রম  

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি
পরিকল্পিত এই স্মার্ট সিটি জুড়ে চলছে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি প্রকল্পের উন্নয়ন চলছে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে এবং পরিকল্পিতভাবে। এই প্রজেক্টের ভেতরে আছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রমই চলছে পুরোদমে। কাজ চলছে  ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল ও প্রেসিডেন্স ইউনিভার্সিটি এর ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ। পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে বিনিয়োগ এর সিদ্ধান্তকে আরও দৃঢ় করতে পরিকল্পিত এই স্মার্ট সিটির সন্নিকটে যেসব উন্নয়নমূলক কাজ চলছে এর মধ্যে রাজউক পূর্বাচলের সেক্টর ১-এ নির্মিত হতে যাচ্ছে শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, যা মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়াম এর চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বড়। 

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় ক্যাম্পাসও এই এলাকাতেই নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে এবং এরই সাথে পূর্বাচলের সেক্টর ১৯-এ নির্মাণ করা হচ্ছে ১১১, ৭১ এবং ৫২ তলা বিশিষ্ট ৩টি টাওয়ার, যা বঙ্গবন্ধু ট্রাই টাওয়ার নামে পরিচিত। এছাড়া পূর্বাচলের এই এরিয়াতেই বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।  

প্রপার্টির মূল্যবৃদ্ধি 

পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে বিনিয়োগ
যত দিন যাচ্ছে পূর্বাচলে জমির মূল্যও বেড়ে চলছে, বাড়ছে জমির চাহিদাও

জমির চাহিদা বরাবরের মতো সবসময়ই অনেক বেশি থাকে। আর তাই জমির সন্ধান পাওয়া মাত্রই বিনিয়োগকারীরা উক্ত জমিতে বিনিয়োগের ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে ওঠেন।  সাম্প্রতিক সময়ে রিয়েল এস্টেট সেক্টরে যেসকল উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে, তার বেশিরভাগই পূর্বাচল এরিয়াকে ঘিরে। এর ফলে পূর্বাচল জুড়ে প্রপার্টির চাহিদা এবং এর মূল্যও বাড়ছে সমানতালে। ফলাফলস্বরূপ গত কয়েক বছরে পূর্বাচল আমেরিকান সিটি এর জমির মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।  আর তাই পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে বিনিয়োগ এর সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। 

বিগত বছরগুলোর কথা বললে, পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে ২০১৮ সালে যে জমির মূল্য ছিল প্রতি কাঠা ১১,৭৫,০০০ টাকা, তা ২০২১ সালে ১৯৪.৫% বেড়ে দাঁড়িয়েছে কাঠা প্রতি ৩৪,৬০,০০০ টাকা। যত দিন যাচ্ছে তত পূর্বাচলে জমির দাম বেড়েই যাচ্ছে। আর এতে করে ধরে নেয়াই যায় ভবিষ্যতে এই সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে নিশ্চিত। যেহেতু বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে জমির মূল্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাই যারা আজ পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে বিনিয়োগের কথা ভাবছেন, তারা আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই নিঃসন্দেহে বেশ বড় অংকের মুনাফা লাভ করতে যাচ্ছেন।   

আর তাই বলতেই হয় এত সুযোগ-সুবিধা যেই এলাকাকে ঘিরে রয়েছে, সেখানে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত হবে সময়োপযোগী। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে নিউ ঢাকা সিটি হিসেবে রূপান্তরিত হতে যাওয়া পূর্বাচল এলাকায় বিনিয়োগের জন্য তাই নির্দ্বিধায় বেছে নিতে পারেন পূর্বাচল আমেরিকান সিটি।

2 Comments

  1. sazid Mh

    প্রতি কাঠার মুল্য কত টাকা এবং তিন কাঠার প্লট কত পরবে

  2. Tasnim Jarin

    ধন্যবাদ স্যার, আপনার কমেন্টের জন্য। কাঠা প্রতি মূল্য পড়বে প্রায় ২৫ – ২৭ লাখ টাকা।

Write A Comment

Author