Reading Time: 4 minutes

কোনো প্রপার্টির মূল্য কেমন হবে, তা সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে প্রপার্টির লোকেশনের উপর।  একজন ক্রেতা বা ভাড়াটিয়াও কিন্তু প্রপার্টি কিনতে বা ভাড়া নিতে, এই বিষয়টিকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন।   এজন্যই ঢাকার লেকসাইড অ্যাপার্টমেন্ট গুলোর প্রতি সবসময়ই প্রপার্টিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকে সবচেয়ে বেশি। আর হবেই বা না কেন, দালানকোঠার ভিড়ে গড়ে ওঠা এই শহরের অ্যাপার্টমেন্টে বসেই যদি লেকের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়, তবে তো বেশ দারুণ হয়, তাই না!     

লেকসাইড এর পাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ধরনের অ্যাপার্টমেন্ট গুলো যত স্কয়ার ফিটেরই হোক না কেন, এর প্রতি মানুষের আগ্রহ সবসময়ই বেশি। আর তাই আপনি যদি ঢাকায় লেকসাইড অ্যাপার্টমেন্ট এর খোঁজে থাকেন, তবে নিচে উল্লেখিত ৪টি এলাকা সম্পর্কে জেনে নিন, যেখানে আপনি লেকসাইড অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে বা ভাড়া নিতে পারবেন।      

উত্তরা

উত্তরা
উত্তরার সেক্টর ১৩ লেকের মনোরম দৃশ্য

সুপরিকল্পিত অবকাঠামো, সুপ্রশস্থ সড়ক, খোলামেলা জায়গা; বলছি ঢাকা শহরের অন্যতম জনপ্রিয় এলাকা উত্তরার কথা। ঢাকার অন্যান্য এলাকা থেকে এই এলাকাটি বেশ আলাদা। কয়েকটি সেক্টরে বিভক্ত উত্তরার ভেতরে রয়েছে পার্ক, খেলার মাঠ, লেক সহ সুনির্মিত সব দালানকোঠা। এই এলাকাটির সাথে শহরের অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন ভালো, তেমনি যাতায়াতেরও বেশ ভালো সুবিধা রয়েছে। ঢাকা শহরের অন্যান্য সড়ক থেকে উত্তরার এভিনিউ গুলো বেশ চওড়া, ফলে এই এলাকায় যারা বসবাস করেন তারা এই বিষয়টি নিয়ে বেশ উৎফুল্লই থাকেন বলা যায়। পরিবারের সাথে বসবাসের জন্য উত্তরা বেশ পছন্দসই একটি এলাকা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে হাসপাতাল, শপিংমল, অফিস, রেস্টুরেন্ট; এসব কিছুই আছে উত্তরাতে।  

এছাড়া উত্তরার বেশ কয়েকটি সেক্টর যেমন, সেক্টর ৩, ৫, ৭, ৯, ১১ এবং ১৩ তে আপনি পাচ্ছেন লেকসাইড অ্যাপার্টমেন্টে বসবাসের সুযোগ। তবে এর মধ্যে সেক্টর ৩, ৫ এবং ৭ ঘিরে থাকা লেকসাইড অ্যাপার্টমেন্ট গুলো বেশ এক্সক্লুসিভ।    

বারিধারা

বারিধারা
বারিধারায় এক্সক্লুসিভ সব লেকসাইড অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে

বারিধারা এলাকার পশ্চিম অংশের পুরোটাই গুলশান লেকের পাশে অবস্থিত। আর তাই বলাই যায় যে এ এলাকায় লেকসাইড অ্যাপার্টমেন্ট এর কোন কমতি নেই। ঢাকার অভিজাত এবং কূটনৈতিক এলাকা হিসেবে পরিচিত বারিধারার চাহিদা সবসময়ই বেশি। রাস্তা থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, এই এলাকার সব কিছুতেই রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এই এলাকার ভবনগুলোও তাই নির্মাণ করা হয় বেশ পরিকল্পিতভাবে। অনেকগুলো দেশের দূতাবাসও রয়েছে এখানে। আর তাই ঢাকায় লেকসাইড অ্যাপার্টমেন্ট কেনার পরিকল্পনা করলে অভিজাত এই এলাকাটি নিঃসন্দেহে থাকবে তালিকার শীর্ষে।        

ধানমন্ডি 

ধানমন্ডি
ধানমন্ডি লেকের আশেপাশে বেশ কয়েকটি লেকসাইড অ্যাপার্টমেন্ট আছে

ঢাকার অন্যতম প্রাণবন্ত এবং জনপ্রিয় এলাকা ধানমন্ডিতে রয়েছে নামকরা অনেক রেস্টুরেন্ট, শপিংমল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ধানমন্ডিতে যারা একবারের জন্য হলেও গিয়েছেন, তারা জানেন বসবাসের জন্য এই এলাকাটির জনপ্রিয়তা আসলে কতটা বেশি। হাতের কাছেই সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা, যখন-তখন রিক্সায় চড়ে যেকোনো জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার সুবিধা, ধানমন্ডিকে আরও স্পেশাল করে তুলেছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য আড্ডা দেয়ার দারুণ এক জায়গা ধানমন্ডির রেস্টুরেন্ট এবং এ এলাকায় অবস্থিত বিখ্যাত ধানমন্ডি লেক।  

গল্প-আড্ডা, ব্যায়াম কিংবা শুটিং স্পট হিসেবে ধানমন্ডির এই লেকটি বিশেষ পরিচিত। আর তাই বসবাসের জায়গাটিও যদি হয় এই লেক ঘিরে, তবে তো ঢাকা শহরে থেকেও চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে থাকার দারুণ এক সুযোগ পাওয়া সম্ভব। ধানমন্ডির বেশ কয়েকটি রোডে লেক সাইড অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে রোড নম্বর ৭, ১২/এ, ২/এ এবং ৫/এ অন্যতম। সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এই অ্যাপার্টমেন্ট গুলো থেকে সবুজে ঘেরা লেকের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখা যায়। আর তাই বলতেই হয় ধানমন্ডিতে বসবাসের সুবিধা রয়েছে অনেক। আপনি যদি ঢাকায় বসবাসের জন্য ছিমছাম এবং পরিপাটি কোন এলাকার খোঁজে থাকেন, তবে নিশ্চিন্তে বেছে নিতে পারেন ধানমন্ডিকে, আর প্লাস পয়েন্ট হিসেবে বেশ কয়েকটি লেকসাইড অ্যাপার্টমেন্টও পাচ্ছেন এই এলাকায়।       

গুলশান

গুলশান
গুলশান লেকের পাশ জুড়ে গড়ে ওঠা অ্যাপার্টমেন্ট

বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য গুলশান এলাকা বেশ পরিচিত। সুপ্রশস্থ রাস্তা থেকে শুরু করে এক্সক্লুসিভ প্রপার্টি, গুলশানে সব কিছুই যেন স্পেশাল। অভিজাত এই এলাকায় রয়েছে অনেক নামীদামী শপিংমল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সুপরিচিত হাসপাতাল সহ আরও অনেক কিছু। গুলশানের পার্ক গুলোর কথাও যেন উল্লেখ না করলেই নয়। আর তাই এ এলাকায় বসবাসে আপনি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাই পাচ্ছেন নিঃসন্দেহে। তবে এসব কিছু ছাড়াও এই এলাকাটিকে ঘিরে থাকা লেকের কারণে ঢাকার অন্যতম অভিজাত এলাকা হিসেবে গুলশান বেশ পরিচিত।     

গুলশানের দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্ব অংশ জুড়ে রয়েছে হাতিরঝিল লেক, অন্যদিকে গুলশানের উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ জুড়ে রয়েছে গুলশান এবং বনানী লেক। আর তাই গুলশান লেকের পাশ জুড়ে গড়ে ওঠা গুলশানের লেকসাইড অ্যাপার্টমেন্ট গুলো বেশ এক্সক্লুসিভই বলা যায়। রেসিডেন্সিয়াল এই ভবনগুলোতে ডুপ্লেক্স থেকে শুরু করে স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট সব ধরনের অপশনই থাকছে। ফলে, যারা ঢাকার মধ্যে লেকসাইড অ্যাপার্টমেন্ট এর খোঁজে আছেন, তারা বসবাসের জন্য নিশ্চিন্তে বেছে নিতে পারেন গুলশানের লেকসাইড এই অ্যাপার্টমেন্ট গুলো।       

জনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরে বসবাসের জন্য পছন্দসই বাসা খুঁজে পাওয়া আসলেই কিছুটা কষ্টকর। কেননা, অ্যাপার্টমেন্ট যত বড় সাইজের ও নান্দনিক ডিজাইনেই নির্মাণ করা হোক না কেন, এর আশেপাশের চিত্র, এলাকা এবং যাতায়াত ব্যবস্থা যদি ভালো না হয়, তবে সেখানে ঠিক নিজের মত করে বসবাস করা যায় না।  তবে অ্যাপার্টমেন্টটি যদি হয় কোন লেকের পাশে, তবে যেন কথাই নেই। আপনিও যদি ঢাকাতে এমনই কোন লেকসাইড অ্যাপার্টমেন্ট কেনা বা ভাড়া নেয়ার কথা ভেবে থাকেন, তবে উপরে উল্লেখিত এলাকাগুলো ঘুরে দেখতে পারেন।   

কমপ্লিট প্রপার্টি সল্যুশন খুঁজছেন? এখনই ডাউনলোড করুন বিপ্রপার্টি অ্যাপ
অ্যান্ড্রয়েড এর জন্য: www.tinyurl.com/bpropertyapp
আইওএস এর জন্য: www.tinyurl.com/57kj4dnw

Write A Comment

Author