Reading Time: 4 minutes কীভাবে এই শহরগুলো একটু একটু করে বিকশিত হয়েছে এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করা বেশ জটিল। অনেক বিষয় এবং অনেক তথ্য রয়েছে যেগুলো, একটা অন্যটার সাথে পরস্পর সম্পৃক্ত। এই পরস্পর জড়িত বিষয়গুলোর যেকোন একটি যদি বলা হয় এমন হতে পারে পুরো ব্যাপারটি আমরা গুলিয়ে ফেলবো। যদিও, কোন বিশেষজ্ঞ বা তাত্ত্বিকরা একটি শহরের উন্নয়নের পেছনের কারণ বা উপাদান সম্বন্ধে সঠিক তথ্য বা প্রমাণ দিতে পারেননি। নিওলিথিক বিপ্লবের সময় অনেকে প্রথমে কৃষি কাজ শুরু করে। পানি যেখানে উপলভ্য ছিল তার আশেপাশে ঘনবসতি গড়তে শুরু করে যাতে তারা প্রাকৃতিক সম্পদের সুবিধা নিতে পারে। পানির কাছে বসবাস করার ফলে, এখানের বাসিন্দারা মৃৎশিল্পের সূচনা করেছিল। কাঠ ও পাথর ব্যবহার করে নির্মাণ করেছিল বাড়িঘর। যার ফলে সেখানের জনসংখ্যা বেড়েছে দ্রুত গতিতে। অল্প সময়ের ভেতরই তাদের মতাদর্শ, দর্শন পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদের বিশ্বাস, সংস্কৃতি এবং রীতিনীতি তৈরি হতে থাকে। এভাবেই একটা শহর থেকে বহু শহর তৈরি হতে থাকে। তেমনি আজকের এই শহর তৈরি হওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই বেশ কিছু উপাদান…
Reading Time: 3 minutes এই সুউচ্চ ভবনগুলো নির্মাণের প্রথম উদ্দেশ্য কখনই আবাসনের সমস্যা সমাধান করা ছিল না। এমনটা আমি বলছি না, বলছে ইতিহাসের পাতা! এই সুউচ্চ ভবনগুলো নির্মাণ করার প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল, বিশ্বের বুকে শক্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং শহরের সুনাম ছড়িয়ে দেয়া। তবে শেষমেশ শহরের অধিকাংশ বাসিন্দারা তা উপলব্ধি করতে পারে যে, এই সুউচ্চ ভবনগুলো বৃহৎ আকারে শহরের আবাসন সমস্যাও সমাধান করতে পারবে। সেই থেকেই পথচলা। বিংশ শতাব্দীর কোন শহরকে সুউচ্চ ভবন ছাড়া কল্পনাই করা প্রায় অসম্ভব। এবং নানান সুযোগ ও সুবিধার জন্য নানাবিধ মানুষ এই সুউচ্চ ভবনে বসবাস করার দিকে ঝুঁকছে। সুউচ্চ ভবনে থাকার বেশ কিছু সুবিধা-অসুবিধা সম্বন্ধেই আপনাকে সঠিক ভাবে জানতে হবে, তা নাহলে বসবাসের সিদ্ধান্তটা নিবেন কীভাবে! সুউচ্চ ভবনে থাকার বেশ কিছু সুবিধা যেকোন সুউচ্চ ভবনে বসবাস করার বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে। উন্নত জীবনযাপনের জন্য বাসস্থানটি হওয়া চাই সর্বাধিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত। যেখানে বাসস্থানের নিরাপত্তা সহ থাকবে নাগরিক সকল সুবিধা। নিরাপত্তা যেহেতু বেশীরভাগ সুউচ্চ ভবনগুলোতে নিরাপত্তার জন্য নির্দিষ্ট একটা মানদন্ড বজিয়ে…
Reading Time: 3 minutes শীত এসেই গেলো। সেইসাথে এসে গেলো লেপ-কম্বলের আদুরে ওমে আড়মোড়া ভাঙার সকাল। শীত মানেই যেন লেপের সাথে বন্ধুত্ব, কম্বলের সাথে সখ্য। তবে লেপ-কম্বলও হয় নানান প্রকারের। শীতের মাত্রা বুঝে, ব্যবহারকারীর চাহিদা বুঝে তৈরি হয় বিভিন্ন রকমের লেপ-কম্বল। সেসবের আলোকেই এই ব্লগে জানাচ্ছি লেপ-কম্বলের রকমফের কেমন হয়, কেন হয়। উষ্ণতায় চাই লেপ-কম্বল বিভিন্ন রকম লেপ-কম্বল এর উদ্দেশ্য তো একই, শীত দূরীকরণ বা তাপানুকূলতা সৃষ্টি। কিন্তু এর আকারে, আয়তনে, পুরুত্বে, ম্যাটেরিয়ালে, স্টাইলে আছে প্রচুর ভিন্নতা। প্রথমে বিভিন্ন রকমের লেপ-কম্বল এর কথা জানার পর খানিকটা বিভ্রান্ত লাগতেই পারে। কিন্তু কোনটি কেন ব্যবহৃত হয় তা জেনে রাখলে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়ে যায় অনেক। থ্রো ব্ল্যাংকেট প্রথমেই বলছি থ্রো ব্ল্যাংকেটের কথা। অনেকেই হয়তো একে বিভিন্ন রকম লেপ-কম্বল এর কাতারে ফেলতে চাইবেন না। কিন্তু সত্যি হলো, থ্রো ব্ল্যাংকেট উষ্ণতা তো খানিকটা দেয়ই। তবে শীত তাড়াতে থ্রো ব্ল্যাংকেট ঠিক উপযোগী নয়। বরং লিভিং রুম ডেকোর পিস হিসেবেই এর চাহিদা বেশি। সোফায় বসে সিনেমা দেখার এক ফাঁকে বড়জোর…
Reading Time: 3 minutes নগরের যান্ত্রিকতা থেকে বেরিয়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে চান যারা তাদের জন্য ক্যাম্পিং একদম আদর্শ! তবে থাকতে হবে অ্যাডভেঞ্চারের মানসিকতাও। আর তাহলেই নিখাদ আনন্দের হয়ে ওঠে তাঁবুতে রাত্রিযাপনের অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশে বেশ কয়েক বছর আগেও তেমন কোনো ক্যাম্পিং স্পট ছিলো না। তবে এখন বদলে গেছে দৃশ্যপট। ইউরোপ-আমেরিকার মত নির্জন-নিরুপদ্রব স্থান খুঁজে পাওয়া মুশকিল, তবে দলবেঁধে ভ্রমণ করলে তা উপভোগ্যই মনে হবে। শীতকাল যেহেতু ক্যাম্পিংয়ের জন্য সবচেয়ে উপযোগী সময়, তাই এবার আপনাদের জানাচ্ছি বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্যাম্পিং স্পট কোনগুলো! ১ । সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়া দ্বীপ, কক্সবাজার বালুকাবেলায় ক্যাম্পিং করতে চাইলে সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়া দ্বীপ হতে পারে দুর্দান্ত গন্তব্য। নীল জলরাশি আর সমুদ্রের লোনা হাওয়া আপনার ক্যাম্পিং করার আনন্দকে পূর্ণতা দেবে নিশ্চিত। সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পশ্চিম সৈকত ও ছেঁড়া দ্বীপের পুরোটাই ক্যাম্পিং করার জন্য আদর্শ জায়গা। তবে সম্প্রতি সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণকারীদের অবাধ বিচরণে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। তাই এখানে ক্যাম্পিং করতে গেলে খোঁজখবর নিয়ে যাবেন। এ কথা এখন নির্দ্বিধায় বলা যায়…
Reading Time: 3 minutes মানুষের সম্পত্তি সম্পর্কিত চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা আমাদের প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে। আগের তুলনায় আমাদের অভিজ্ঞতা যত বেড়েছে, আবাসন শিল্পের নানা বিষয় পর্যবেক্ষণ এবং বোঝার ক্ষমতাও বেড়েছে একইসাথে বেড়েছে। সহজভাবে বললে, আমরা এখন আগের তুলনায় আরো বেশি আবাসন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করছি। আমাদের দেশে বাড়ির মালিক থেকে শুরু করে ভাড়াটিয়া – সবাই বাড়ি ভাড়া ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রিক সমস্যার মুখোমুখি হন। এই সমস্যার সমাধান বের করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাড়া আদায় এবং ভাড়া প্রদানের বিষয়টি সঠিকভাবে পরিচালনা করা সহজ নয়, এবং তা করতে গিয়ে অনেকেই সমস্যার মুখোমুখি হন। এই ধরণের সমস্যার সমাধান করতে বিপ্রপার্টি তাদের পরিষেবার তালিকায় আরেকটি পণ্য যোগ করেছে, পে-রেন্ট ভাড়া ব্যবস্থাপনা সার্ভিস – যার সুবিধা ভাড়াটিয়া এবং বাড়ির মালিক, সবাই ভোগ করতে পারবেন। এই বিষয়ে যা যা জানা দরকার, পড়ি নিন এখানে। আমাদের লক্ষ্য বিপ্রপার্টির পে-রেন্ট ভাড়া ব্যবস্থাপনার মূল লক্ষ্য হলো ভাড়াটিয়া এবং বাড়ির মালিক উভয়ের জন্যেই ভাড়া প্রদান এবং ভাড়া আদায়ের পুরো প্রক্রিয়াটি সহজ করে তোলা। একই প্ল্যাটফর্মের…
Reading Time: 4 minutes মিনিমালিস্ট ডেকোর স্টাইলটি বিংশ শতাব্দীতে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ইন্টেরিয়র ডিজাইনের মূল ধারণাই হল স্বল্প আসবাব ও ব্যবহার্য জিনিসে চমৎকারভাবে ঘর সাজানো। কীভাবে খুব কম জিনিসের ব্যবহারে মনোমুগ্ধকরভাবে ঘর সাজিয়ে নেয়া যায় তাই এই বিশেষ অন্তরসজ্জার মূলমন্ত্র। মর্ডান ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ক্ষেত্রে তাই এই মিনিমালিস্ট স্টাইলের রয়েছে বিশেষ চাহিদা। মিনিমালিস্ট ডেকোর স্টাইল কি? সহজ কথায় মিনিমালিস্ট ডেকোরের মাধ্যমে খুব স্বল্প জিনিসের ব্যবহারে চমৎকারভাবে অন্দরসজ্জা করে ফেলা যায়। অর্থাৎ এটি সবচেয়ে ব্যাসিক ডেকোর স্টাইল। অতিরিক্ত চোখে লাগে বা জটিল জিনিস যেমন বাহারী রঙের ব্যবহার, নানান আকৃতির তৈজসপত্র এবং শো-পিসকে সযতনে এড়িয়ে যাওয়া হয় মিনিমালিস্ট ডেকোর স্টাইলে। এই ডিজাইনটি মূলত খুবই সিম্পল এবং সাদামাটা কিন্তু তার সৌন্দর্য অনেক বিস্তৃত। গোড়ার কথা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ১৯২০ সালের দিকে স্থপতি ভ্যান ডার রোহ প্রথম মিনিমাল ডিজাইনের আইডিয়া উদাহরণসহ প্রদর্শন করেন। এরপর থেকেই মূলত ধীরে ধীরে মিনিমাল পেইন্টিং, বিভিন্ন আর্টিফ্যাক্ট এবং নকশা মিনিমালিস্ট ইন্টেরিয়র ডিজাইনের গতপ্রকৃতি ঠিক করে দেয়। ৬০এর দশকে বিমূর্ত এবং অতিরিক্ত প্রদর্শনমূলক…
Reading Time: 4 minutes শীত চলে এসেছে। সাথে শুরু হয়ে গেছে শীতের প্রস্তুতির ছোটাছুটিও। হিমশীতল মৌসুমে বাড়িতে নিজেকে উষ্ণ এবং আরামে রাখাই সবার উদ্দেশ্য। তবে সেটা করতে যথেষ্ট প্রস্তুতির দরকার। এই প্রস্তুতির জন্য কিছু কেনাকাটা প্রয়োজন, যা হয়ে উঠতে পারে ব্যয়বহুল। যেমন, শীতকালে ঘরকে উষ্ণ রাখার অন্যতম সাধারণ উপায়গুলোর একটি হচ্ছে একটি হিটিং সিস্টেম ব্যবহার করা। কিন্তু হিটিং সিস্টেমের মতো এসব উপায় ব্যবহার করলে প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যাতে পারে আপনার পরিষেবা বিল। কিন্তু শীতে উষ্ণ থাকতে চান, আবার পরিষেবা বিলেও অতিরিক্ত খরচ করতে চান না – তাহলে কী করবেন? চিন্তা নেই, উত্তর আছে আমাদের কাছে। পুরো বাড়িটি উষ্ণ রাখুন, কিংবা কিছু নির্দিষ্ট রুম – ঘরকে আরামদায়ক অবস্থায় রাখার প্রচুর স্বল্প ব্যয়ের উপায় আছে। নিজের খরচ না বাড়িয়ে শীতকালে আরামে থাকার জন্য পড়ে নিতে পারেন পাঁচটি দুর্দান্ত টিপস: ফয়েল পেপারের ব্যবহার শীতে ঘর উষ্ণ রাখার উপায়গুলো – র মধ্যে এটি দারুণ কার্যকরী। ফয়েল পেপার মূলত গোটানো অ্যালুমিনিয়াম শীট, যা খাবারের তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য ব্যবহার…
Reading Time: 4 minutes খাতা-কলমে ভৌগোলিক অবস্থানের জোরে নিজেদের আমরা ‘নাতিশীতোষ্ণ’ অঞ্চলের বাসিন্দা দাবি করি। অথচ ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ এখন বড্ড বেশি ট্রেন্ডি, আদতে আমরা গ্রীষ্মপ্রধান এক দেশে বাস করছি। তাই অক্টোবরের মাঝামাঝি যখন ভীষণ আদুরে আর নিভৃত শীতের ঘ্রাণ কড়া নাড়ে নাগরিক খোলা জানালায়, আমরা বেশ আদিখ্যেতা করেই বরণ করে নেই তাকে। আর ডিসেম্বর-জানুয়ারির শীত তো আরো জম্পেশ! জুন-জুলাইয়ের গনগনে কড়াইয়ে সাঁতার কাটতে কাটতে, আমরা তো এই শীতের কথা মনে করেই কবি ভাস্কর চক্রবর্তীর ভাষায় বলে উঠি, “শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা?’’ ইট-পাথরের মেট্রোপলিটনে কেমন হয় আসলে শীত? কতটা বদলের ছোঁয়া লাগে আমাদের জীবনে বা প্রাণের গভীরে? সেসবের উত্তর খুঁজতেই লিখছি ‘শীতের কথকতা’। হিমের চাদর সাহেবি কেতায় দরজায় কড়া নেড়ে ঘরে ঢোকে শীত। প্রথমে পাঠায় কুয়াশার চিঠি, তারপর শিশিরে ভেজা ঘাসের ঘ্রাণ। কী নাম দেবো এই ঘ্রাণকে? সতেজতার ঘ্রাণ? নাকি আরবান ডিকশনারি নতুন কোনো নামে ডাকছে একে? জানা নেই আমার! তবে ঘ্রাণটা বড় চেনা। মনে করিয়ে দেয় স্কুলের মাঠের কথা, যেখানে বহু আগে ফেলে এসেছি…
Reading Time: 4 minutes শীতকাল মানেই একটু আরামদায়ক উষ্ণতার খোঁজ। উলের বুননে, সোয়েটারের ভাঁজে কিংবা কম্বলে মোড়ানো একান্ত বিছানায় দীর্ঘক্ষণের অলসতা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়াটাই তখন ভীষণ শক্ত কাজ। তবে একবার যদি গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারা যায়, তাহলে এই শীতকালই আপনাকে অভ্যর্থনা জানাবে তার অবারিত আনন্দ উপভোগ করতে। শীতকালে সবকিছুই থাকে স্থির। স্থিরতা আসে বাতাসের গতিতে, ঝিলের জলে, এমনকি নাগরিক জীবনের কর্মপ্রবাহেও। তবে এত শত স্থিরতার মাঝেও চাঞ্চল্য খুঁজে ফেরেন শীতবিলাসীরা। শীতের নরম মিষ্টি ঘ্রাণ নিতে চান বুক ভরে। খুঁজে ফেরেন ঢাকায় শীত বিলাসের প্রিয় কিছু জায়গা। তারা জানেন, ঘরের মাঝে নিজেকে তালাবদ্ধ করার থেকেও এই ঋতুতে উপভোগ করার রয়েছে আরও অনেককিছু। সেই অনেককিছুর ভীড়ে শীত বিলাসে ঢাকার সেরা ৩ টি জায়গা নিয়েই আজকের আলাপন। পূর্বাচল ৩০০ ফিট পূর্বাচল নামের এই জায়গার সৌন্দর্য কেবল চোখ জুড়ানোর নয়। এই অঞ্চলে বসবাসরত মানুষগুলোর মায়াবী জীবনযাত্রা আপনার ঝুলিতে যোগ করবে নতুন এক অভিজ্ঞতা। সম্ভবত ঢাকার যান্ত্রিকতা থেকে দূরে বলেই খুব সহজে…
Reading Time: 8 minutes ঢাকার জনজীবন ব্যস্ততার মোড়কে বন্দী। আবহাওয়া এখানে স্বস্তির সংগী নয়, বরং হয়ে ওঠে নিত্য যাতায়াতের ও জীবন যাপনের পথে অন্যতম বিঘ্নের নাম। বছরের প্রায় পুরোটা জুড়ে এমনটাই হয়। তবে দৃশ্যপট বদলায় শীতে। শীতের আগমনে কমে দিনের দৈর্ঘ্য, বাতাসে বয় আদুরে শীতলতা। সকালবেলা যেন তা আরো ভালো করে বোঝা যায়। এ শহরে শীতের সকাল দেখার বা অনুভবের ফুরসত মেলা ভার। তবে হাজারো নাগরিক ব্যস্ততায়ও চোখ মেলি আমরা, মুগ্ধ হই কুয়াশার চাদরে। শীতের সকালের সেইসব মুগ্ধতার কথাই জানাচ্ছে আমাদের ব্লগ লেখকেরা। শীতের প্রথম সকালঃ কোন পুরাতন প্রাণের টানে? ঘুম ভেঙে ঘরের মেঝেতে পা রাখতেই ঠাওর করলাম হেমন্তকে টপকে শীত আসছে এ শহরে। কনকনে মেঝে পেরিয়ে সোজা গিয়ে দাড়ালাম ব্যালকনিতে। কুয়াশায় ঢাকা সকাল; এ বছরে এই প্রথম! কুয়াশা মাখা এ শহর বারাবরই তো আমার ছিল! তবে আমার কাছে শীত ঋতু যত না বেশি উপভোগের তার চেয়ে অনেক বেশি উপলব্ধির, অনেক বেশী অতীত যাপনের। মনে পড়লো কত শীতের রাত্তির, চোখের সামনে ভোর হয়ে গেছে…