19 Results

টেরাকোটা

অনুসন্ধান

Reading Time: 4 minutes বাংলার এ অববহিকায়, হাজার বছরের পুরানো শিল্প টেরাকোটা। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেও, টেরাকোটার ইতিহাস বহু বছরের পুরনো। লাতিন শব্দ টেরা ও কোটা থেকেই এসেছে টেরাকোটা শব্দটি, যার অর্থ যথাক্রমে মাটি ও পোড়ানো। অর্থাৎ, মাটি পুড়িয়ে যা তৈরি হয়, তার সবই আসলে টেরাকোটা। পৃথিবীর বিভিন্ন আদি সভ্যতায় তো বটেই, বাংলা অঞ্চলেও মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন আমলের নানা নিদর্শনেও দেখা মেলে টেরাকোটা। এমনকি  মন্দিরের গায়ে পোড়ামাটির সৌন্দর্য দেখে মধ্যযুগের মুসলিম শাসকেরাও তা গ্রহণ করেছিলেন, নিজেদের মতন করে। ঐতিহ্যময় সেই টেরাকোটার ইতিহাস আর এর বিবর্তনকে, আপনার সামনে তুলে ধরতেই আজকের লেখা। টেরাকোটার জন্ম কীভাবে এসেছে টেরাকোটা, এই প্রশ্নের উত্তরে ক্যালেন্ডারের পাতা উলটে আমাদেরকে চলে যেতে হবে সভ্যতার একদম শুরুতে, যখন চাকা এবং আগুন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে মানবজাতি তার শিল্পের পথকে প্রসারিত করেছিল। কারণ, এ আবিষ্কার কেবল যোগাযোগ ব্যবস্থাতেই পরিবর্তন আনেনি, পরিবর্তন এনেছিল খাদ্যাভ্যাসেও। পোড়া মাংস, ভাত বা অন্যান্য খাদ্য প্রস্তুত ও সংরক্ষণে প্রয়োজন ছিল পাত্র। সেই প্রয়োজন থেকেই, চাকার মাধ্যমে পোড়ামাটির পাত্র প্রথম তৈরি করা…

Reading Time: 4 minutes ঘর মানে আমাদের ছোট্ট এক চিলতে মনের জানালা। যেখানে আসবাব থেকে শুরু করে রং, সাজসজ্জা, সবকিছুই প্রভাবিত হয় সেই মনের জানালার দখিনা বাতাসে। আর তাই ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ভিন্ন ভিন্ন রুচি ও পছন্দ অনুযায়ী আধুনিক ইন্টেরিয়রে যুক্ত হয় নতুন নতুন উপাদান। কখনো বা হাজার বছরের পুরাতন উপাদান ফিরে আসে নতুন মোড়কে। আধুনিক ইন্টেরিয়র ডিজাইনে টেরাকোটা ঠিক এমনই একটি উপাদান, বাংলার সমৃদ্ধ ইতিহাসে যা পরিচিত পোড়ামাটি নামে। টেরাকোটা শব্দটির ব্যবহার বর্তমানে মুরাল, মাটির জিনিসপত্র থেকে শুরু করে রঙ এবং থিম হিসেবেও প্রসারিত হয়েছে। মূলত প্রাচীন ঐতিহ্য আর কাদামাটির অস্তিত্বই ইন্টেরিয়র ডিজাইনে টেরাকোটা কে জনপ্রিয়তা দিয়েছে আলাদা একটি থিম হিসেবে। তাই, কীভাবে এই থিমটির উপর ভিত্তি করে ঘর কিংবা কমার্শিয়াল স্পেসের ইন্টেরিয়র ডিজাইন করা সম্ভব, তারই বিস্তারিত আলাপচারিতা থাকছে আজকের লেখায়।  প্রাচীন কাদামাটি থেকে ট্রেন্ডি টেরাকোটা   এক সময় বাংলার বাড়ি হিসেবে সুপরিচিত মাটির ঘরের দেয়ালে দেয়ালেও নিছক শখের বসে খোদাই করা হয়েছে নানা রকম নকশা।  কুমারের চাকার একটি ঘূর্ণনেই তৈরি হয়েছে কাদামাটির…

Reading Time: 4 minutes ২০২২-এর পর শুরু হতে যাচ্ছে আরেকটি নতুন বছর, ২০২৩ সাল। নতুন বছরে, নিজের ঘরটাকেও আমরা সাজাতে চাই, নতুনের আদলে। কখনো আবার পুরনো ডিজাইনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাই সময়ের প্রয়োজনে।  বিগত বছর গুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রতি বছরই ঘরের ইন্টেরিয়রে যোগ হয়েছে নতুন স্টাইল, নতুন ট্রেন্ড। অনেক ট্রেন্ড আবার, বছর ঘুরতে না ঘুরতে বাতিলও হয়ে গেছে।  ইন্টেরিয়র ট্রেন্ড এর এই পালাবদলে, কিছু ট্রেন্ড রয়েছে, যা নতুন করে ফিরে আসতে পারে ২০২৩ সালে। কী সেই ইন্টেরিয়র ট্রেন্ড গুলো? কেনই বা তা ফিরতে যাচ্ছে ২০২৩ এর ইন্টেরিয়র ট্রেন্ড হিসেবে? চলুন জেনে আসা যাক আজকের ব্লগে।  বায়োফিলিক ডিজাইন  বিগত ১ দশকে, আমরা বেশ ভালোভাবেই পরিচিত হয়ে গেছি বায়োফিলিক ডিজাইনের  সাথে। এটি এমন একটি ডিজাইন যেখানে ঘরের ইন্টেরিয়র ডিজাইন করতে প্রাকৃতিক উপাদানগুলোই সর্বোচ্চ প্রাধান্য পায়। এই প্রকৃতি বলতে কিন্তু সবুজ গাছপালাকেই বোঝায় না। প্রাকৃতিক পৃষ্ঠের যা কিছু, যেমন, পাথরের পাত্র, টেরাকোটা বা পোড়ামাটি, মার্বেল এইসব ধাতুর ব্যবহারও বায়োফিলিক ডিজাইনের অনুষঙ্গ। এছাড়াও এই ডিজাইনে, পজিটিভ পরিবেশ…

Reading Time: 4 minutes পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ঘর সবসময়ই নজর কারে বেশি। আর পুরো ঘরটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা কিন্তু, চাট্টি খানি কথা না। প্রতিটা ঘরেই নানা রকম আসবাব ও জিনিসপত্রে বোঝাই থাকে একেক আসবাব একের ধরণের। তাই ঘরের সব সারফেস একই প্রক্রিয়ায় পরিষ্কার করাও ঠিক নয়। সারফেসের ম্যাটেরিয়াল অনুযায়ী আসবাব পরিষ্কার করা উচিত। একেক সারফেস পরিষ্কার করার উপাও তাই আলাদা। তাই নানা রকম সারফেস থেকে দাগ উঠানোর কার্যকরী টিপস নিয়ে লেখা আজকের ব্লগ।  গ্রানাইট  সর্বপ্রথম খেয়াল করুন গ্রানাইট সারফেস সঠিকভাবে সিল করা রয়েছে কিনা। গ্রানাইট যদি সঠিক উপায়ে সিল করা থাকে তাহলে যেকোন দাগ সহজে বসতে পারে না। সিল হচ্ছে এক ধরণের আবরণ যা যেকোন দাগ বা পানিকে গ্রানাইটের সারফেসে সহজে বসতে দেয় না। সারফেসে দাগ তখনই বসে যায় যখন তা দীর্ঘ সময় ধরে সারফেসে জমে থাকে। তাই দাগ উঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে দাগ লাগার সাথে সাথে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলা। খেয়াল করবেন গায়ে যেন কোন উপায়েই দাগ বসে না থাকে। তবে,…

Reading Time: 3 minutes এই মাসটি ছিল পবিত্র ঈদ-উল-আযহা পালনের মাস। ঈদ মানেই খুশি, আর সেই খুশিকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারে একটি নতুন বাসা। তাছাড়া এবার যেহেতু ঈদ আমাদের সবাইকেই কমবেশি ঘরের ভেতরেই পালন করতে হয়েছে তাই নিজের জন্য নতুন একটি মাথা গোঁজার ঠাইয়ের কথা চিন্তা করার এই বুঝি উত্তম সময়। আর আপনার প্রয়োজনের সময় রিয়েল এস্টেট সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ সাপোর্ট নিয়ে সর্বদাই পাশে থাকে বিপ্রপার্টি। এজন্যই আপনার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি কয়েকটি প্রপার্টির খোঁজ যেগুলো জুলাই-২০২১ এর সেরা ৫ টি অ্যাপার্টমেন্ট হিসেবে বিবেচিত। চলুন দেখে নেয়া যাক? বিক্রির জন্য ২৪৮২ বর্গফুটের সুপ্রশস্থ অ্যাপার্টমেন্ট, ধানমন্ডিতে   অবস্থিত ধানমন্ডির ৭ নম্বর রোডে। ২৪৮২ স্কয়ার ফিটের ফুল ফার্নিশড রেডি অ্যাপার্টমেন্ট। কিন্তু বসবাসের জন্য অ্যাপার্টমেন্ট আসলেই কতটা পারফেক্ট, তা দেখতে ক্লিক করুন উপরের ভিডিও লিংকে। এন্ট্রেন্স দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়বে বিশাল একটি লিভিং এবং ডাইনিং স্পেস। লিভিং এর সাথেই ব্যালকনি থাকায় পাবেন যথেষ্ট সানলাইট এবং প্রপার এয়ার ফ্লো এর নিশ্চয়তা।  অ্যাপার্টমেন্টের ৩টি বেডরুমের সাথেই রয়েছে ছিমছাম ব্যালকনি আর ভীষণ এলিগেন্ট…

Reading Time: 5 minutes যে কোনো জাতি ও সভ্যতার অনন্য এক অংশ হল সংস্কৃতি। যা ক্রমাগত নদীর মতো প্রবাহমান। নদীর মত বলেই সংস্কৃতির রূপান্তর ঘটে, ভাঙ্গন হয়। থাকে দিক বদলে পুনরায় নতুন রূপে বয়ে বেড়াবার প্রচেষ্টা। তাই কোনো একটি নির্দিষ্ট ছকে বেঁধে ফেলা যায় না সংস্কৃতির সংজ্ঞা বা এর সীমা- পরিসীমা। কেবল দেশ-কাল-ভাষা কিংবা ধর্মভেদে সংস্কৃতির এ রূপান্তরের যাত্রা অনুসরণ করা যায়। বাঙালির সংস্কৃতিও এড়াতে পারেনি এ অবধারিত পরিবর্তনকে। লোকসংস্কৃতির স্থান এখন দখল করে নিয়েছে নগর সংস্কৃতি। তাই বলে লোকসংস্কৃতিও বিলীন হয়ে যায় নি। নতুন রূপে ফিরে এসেছে নাগরিক জীবনে।  সংস্কৃতির এ রূপান্তর প্রভাব ফেলেছে বাঙালির আবাসন, শিল্পচর্চা, খাদ্যাভ্যাস, পোশাক থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে। কালের আবর্তে বাঙালির জীবনে লোকসংস্কৃতি ও নগর সংস্কৃতি এর যে দীর্ঘ যাত্রা সেসব নিয়েই আজকের আলাপচারিতা।   লোকসংস্কৃতি ও নগর সংস্কৃতি   প্রযুক্তিনির্ভর ও আধুনিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত শিক্ষিত নগরবাসীর সংস্কৃতিই নগর সংস্কৃতি। নব্বই দশক কিংবা তারও আগে থেকে ধীরে ধীরে এ সংস্কৃতির প্রভাবেই বদলে গেছে আমাদের লোকজ জীবন। কিংবা কে জানে!…

Reading Time: 5 minutes বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনন্য স্বাক্ষর এর পুরোনো মন্দিরগুলো। কোনো মন্দিরের চত্ত্বরে যুগ-যুগ আগে ধ্যানমগ্ন ছিলেন প্রাচীন ঋষি-মুনির দল, কোনো মন্দির হয়তো প্রাচীন জনপদের ঐতিহ্য ও জীবনযাত্রার ছাপ ধারণ করছে। সারা বিশ্বেই অসাধারণ স্থাপত্যশৈলী, ঐতিহ্যগত তাৎপর্য, ইতিহাসের প্রেক্ষিতে গুরুত্বের সূত্র ধরে পুরোনো মন্দিরগুলো হয়ে উঠেছে অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ। আমাদের দেশের মন্দিরগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়। স্থাপত্যের বৈচিত্র্যে, ইতিহাসের স্বাতন্ত্রের আলোকে বাংলাদেশের পুরোনো মন্দির গুলো অনন্য নিদর্শন। ‘ ফিরে দেখি ইতিকথা’ সিরিজের দ্বিতীয় পর্বে থাকছে এ মন্দির গুলোর গল্প!    ঢাকেশ্বরী মন্দির ঢাকার সবচেয়ে প্রাচীন মন্দির হল ঢাকেশ্বরী মন্দির। বলা হয়ে থাকে, এর নাম দেয়া হয়েছে “ঢাকার ঈশ্বরী” অর্থাৎ ঢাকা শহরের রক্ষাকর্ত্রী দেবী হতে। রাজা বল্লল সেন ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের কোন এক সময় এটি নির্মাণ করেছিলেন। কালক্রমে এটি ঢাকার জাতীয় মন্দির হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার পূর্ব পাশে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের দক্ষিণ পশ্চিমে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের অবস্থান। লালবাগের অরফানেজ রোডই এর ঠিকানা। বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক…

Reading Time: 4 minutes ডেকোর স্টাইলগুলোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে কী জানেন? আপনাকে আপনার মনের মত করে বাঁচার, বসবাস করার সুযোগ করে দেয়। এই ধরুন আপনার বাসাটি বেশ ছোট তাহলে আপনি এমন স্টাইল খুঁজে নিতে পারেন যেটায় বাসাটা একটু বড় বড় দেখাবে। ছোট বড় সকল সমস্যার সমাধান কিন্তু আপনি চাইলে আর্টিস্টিক উপায়ে বের করে আনতে পারনে। তেমনি আর একটি বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ করতে দেখা যায়, যে “এই শহুরে জীবনে থাকতে থাকতে প্রাকৃতিক জীবনকে বা সেই গ্রামীণ জীবনকে ভুলতে বসেছি। এছাড়াও, শহুরে জীবনে সেই গ্রামীণ বা প্রাকৃতিক জীবনকে খুঁজেই বা কীভাবে পাবো”! এমন অভিযোগগুলোর সমাধান খুঁজতেই আসলে আজকের আর্টিকেল লেখা! শহুরে জীবন বা ছোট বাসা যেকোন স্পেসে কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ খুঁজে পেতেই কিন্তু, এই ডেকোর স্টাইলগুলোর অস্তিত্ব। শহুরে জীবনে সেই প্রাকৃতিক আমেজ আনতে কান্ট্রি ইন্টেরিয়র ডিজাইন স্টাইল এর আগমন। ঘরের ভেতর নিজের এক প্রাকৃতিক ভুবন গড়তেই বেছে নিতে পারেন এই ডেকোর স্টাইলটি। কান্ট্রি ইন্টেরিয়র ডিজাইন স্টাইল আসলে কী?  এক হচ্ছে শহুরে জীবন আর এক হচ্ছে গ্রামীণ…

Reading Time: 5 minutes ডিসেম্বর এলে এখনো খানিকটা বদলের আভাস পাওয়া যায় এ শহরে। রেডিও-টিভিতে বেজে ওঠে যুদ্ধদিনের গান। রাজপথে দেখা মেলে কাঁধে লাল-সবুজ নিয়ে হেঁটে চলা পতাকা বিক্রেতাদের। স্মৃতিস্তম্ভে ওঠে ফুলের তোড়া। জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মনে পড়ে যায় রণক্ষেত্রের কথা, সহযোদ্ধাদের স্মৃতি। এখনো এখানে সত্যিই স্পষ্টভাবে অনুভব করা যায় ‘৭১ এর স্মৃতি, যা এ শহরের অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ শহরের অলিতে-গলিতে, রাজপথে, পুরোনো দালানের এধারে-ওধারে ছড়িয়ে আছে সংগ্রামী সেই সময়ের অসংখ্য স্মৃতিচিহ্ন। কোনো সৌধ নির্মিত হয়েছে শহীদের আত্মত্যাগের স্মরণে, কোনো বধ্যভূমি ধারণ করছে গণহত্যার বিভীষিকা। কোথাও নবনির্মিত জাদুঘরে পরম যত্নে তুলে রাখা হয়েছে শহীদ আলতাফ মাহমুদের ডায়েরী, শহীদ আজাদের হাতে লেখা ‘বাংলাদেশ’ গানের লিরিক্স। আবার শহরের কোনো প্রান্তে মুক্তিযোদ্ধাদের অকুতোভয় মানসিকতা, নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগের প্রতীক হয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে পাথুরে ভাস্কর্য। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরের এই বিজয়ের মাসে লেখা ব্লগে তুলে ধরছি ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান গুলোর মধ্যে কয়েকটির কথা ।  স্থাপত্যে স্মৃতিকথা জাতীয় স্মৃতিসৌধ, সাভার  ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সাভারের নবীনগরে…

Reading Time: 7 minutes ইট-কাঠ-পাথরে বিনির্মিত হয় স্থাপত্য। তবু এতে জড়িয়ে থাকে স্মৃতির ছোঁয়া, অনুভবের ব্যাপ্তি আর সময়ের জলছাপ। বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের এক অনন্য স্বাক্ষর এ ভূখন্ডের স্থাপত্যশিল্প। ইতিহাসের ঊষালগ্ন থেকেই এখানে বিকশিত হয়েছে নির্মাণের অপরূপ শৈলী। আজও আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মিশেলে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের স্থাপত্যশিল্প। ‘স্থাপত্যশিল্পে বাংলাদেশ’ শিরোনামের এ সিরিজের প্রথম পর্বে থাকছে বাংলার স্থাপত্যের অতীত ইতিহাস।   পাল বৌদ্ধ স্থাপত্য অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত বাংলায় ছিলো বৌদ্ধ শাসন। বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশ ও যার অন্তর্ভুক্ত ছিল) ভারতীয় বৌদ্ধ শাসনের প্রথম দিককার সাম্রাজ্য ছিল পাল সাম্রাজ্য, যারা অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত শাসন করে। পাল গণ স্থাপত্যের একটি নতুন ধারা তৈরি করে যা ‘পাল ভাস্কর্য শিল্প বিদ্যালয়’ নামে পরিচিত ছিল। স্থাপত্যশিল্পে বাংলাদেশ কেমন ছিলো তা জানতে ময়নামতির শালবন বিহার, সোমপুর মহাবিহার, সুবিশাল বিক্রমশিলা বিহার, ওদন্তপুরু বিহার এবং জগদ্দল বিহারের পালদের কিছু উল্লেখযোগ্য কীর্তি দেখতেই হবে।  প্রায় এক হাজার বছর আগে সম্রাট নির্মিত এ বিহারগুলো ছিলো অনেকটা আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো। দেশ-বিদেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বৌদ্ধধর্ম ও দর্শন ছাড়াও…