Reading Time: 4 minutes ঘর মানে নিজের পৃথিবী। আমার মতে তাই ঘর হওয়া উচিত ব্যক্তিত্ত্বের প্রতিচ্ছবি। আর সেটি করতে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের স্টাইলগুলো সম্পর্কে একবার জেনে নিতে পারেন। তাতে কোন স্টাইলটি আপনার ব্যক্তিত্ত্বের সাথে মানিয়ে যাবে, সেটি যাচাই করা সহজ হবে। আর এ কথা মাথায় রেখেই বিখ্যাত কিছু ইন্টেরিয়র ডিজাইন স্টাইল নিয়ে তাই এই ব্লগ সিরিজ লেখা। আজকের ব্লগে জানাচ্ছি ইন্টেরিয়র ডিজাইনে এশিয়ান জেন ডেকোর স্টাইল এর খুঁটিনাটি। এশিয়ান জেন ডিজাইন স্টাইল কী? এশিয়ান জেন ডিজাইনের মূল প্রতিপাদ্য হলো মিনিমালিজম এবং ওপেন ইন্টেরিয়র। মিনিমালিজম বলতে এখানে মূলত আড়ম্বরহীন আসবাব ও সাজসজ্জাকেই বোঝানো হয়। আর ওপেন ইন্টেরিয়র হলো খোলামেলা আবহের ঘর। অর্থাৎ ভারী, উঁচু ফার্নিচারের বিভাজন সেখানে থাকবে না, থাকবে না পর্দা বা পার্টিশানের অধিকতা। ঘরের দেয়াল ছাড়া অন্য কিছুতে যেন দৃষ্টি বাঁধা না পায় সেধরনের ঘরকেই ওপেন ইন্টেরিয়রের ঘর বলে। আর এশিয়ান জেন ডিজাইন স্টাইল যেহেতু দৃষ্টি মুক্ত করার কথা বলে তাই দৃষ্টি বাধাগ্রস্ত যাতে না হয় সেটি নিশ্চিত করতে ওপেন ইন্টেরিয়র রাখা হয়।…
Reading Time: 5 minutes বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনন্য স্বাক্ষর এর পুরোনো মন্দিরগুলো। কোনো মন্দিরের চত্ত্বরে যুগ-যুগ আগে ধ্যানমগ্ন ছিলেন প্রাচীন ঋষি-মুনির দল, কোনো মন্দির হয়তো প্রাচীন জনপদের ঐতিহ্য ও জীবনযাত্রার ছাপ ধারণ করছে। সারা বিশ্বেই অসাধারণ স্থাপত্যশৈলী, ঐতিহ্যগত তাৎপর্য, ইতিহাসের প্রেক্ষিতে গুরুত্বের সূত্র ধরে পুরোনো মন্দিরগুলো হয়ে উঠেছে অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ। আমাদের দেশের মন্দিরগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়। স্থাপত্যের বৈচিত্র্যে, ইতিহাসের স্বাতন্ত্রের আলোকে বাংলাদেশের পুরোনো মন্দির গুলো অনন্য নিদর্শন। ‘ ফিরে দেখি ইতিকথা’ সিরিজের দ্বিতীয় পর্বে থাকছে এ মন্দির গুলোর গল্প! ঢাকেশ্বরী মন্দির ঢাকার সবচেয়ে প্রাচীন মন্দির হল ঢাকেশ্বরী মন্দির। বলা হয়ে থাকে, এর নাম দেয়া হয়েছে “ঢাকার ঈশ্বরী” অর্থাৎ ঢাকা শহরের রক্ষাকর্ত্রী দেবী হতে। রাজা বল্লল সেন ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের কোন এক সময় এটি নির্মাণ করেছিলেন। কালক্রমে এটি ঢাকার জাতীয় মন্দির হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার পূর্ব পাশে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের দক্ষিণ পশ্চিমে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের অবস্থান। লালবাগের অরফানেজ রোডই এর ঠিকানা। বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক…
Reading Time: 4 minutes ভারতীয় উপমহাদেশ ৭০টিরও বেশি শাসক গোষ্ঠীর অধীনে ছিল। কিন্তু কেউ উপমহাদেশের ইতিহাসকে ব্রিটিশ রাজের মতো গভীরভাবে প্রভাবিত করে নি। ব্রিটিশরা ২০০ বছর ধরে আমাদের পুরো অঞ্চল শাসন করেছিল। এর ফলে এদেশের মানুষ অনেক অযাচিত অত্যাচারের শিকার হলেও ব্রিটিশরা আমাদের শিল্প এবং স্থাপত্যে অনেক উন্নতি করে। সেই সময়ের বেশিরভাগ স্থাপনাই ভিক্টোরিয়ান যুগের স্থাপত্য শিল্পের প্রভাব বহন করে। ব্রিটিশ আমলে প্রতিটি কাঠামো নির্মাণে যেই স্থাপত্যশৈলী ব্যবহৃত হতো তা ভিক্টোরিয়ান স্টাইল হিসাবে পরিচিত। বাংলাদেশে ভিক্টোরিয়ান আর্কিটেকচার স্টাইলের কিছু স্থাপনা আছে, যেগুলো এখনো স্বমহিমায় উজ্জ্বল। সেসব নিয়েই আমাদের আজকের ব্লগ। ভিক্টোরিয়ান ধাঁচের স্থাপত্যশৈলী ভিক্টোরিয়ান ধাঁচের স্থাপত্যশৈলী বলতে আসলে একটি নির্দিষ্ট স্থাপত্যশৈলী বদলে অনেকগুলো একাধিক স্থাপত্যশৈলীকে বাঁচিয়ে তোলাকে বোঝায়। রানী ভিক্টোরিয়ার (১৮৩৭-১৯০১) আমলকে ভিক্টোরিয়ান যুগ বলা বলা হতো। এবং সে সময়ের স্থাপত্যকেই মূলত ভিক্টোরিয়ান স্টাইলের স্থাপত্য বলা হয়। যদিও ভিক্টোরিয়ান ধাঁচের স্থাপত্যশৈলী আসলে অনেকগুলো স্টাইল, ইন্টারপ্রিটেশন এবং অনান্য ঐতিহাসিক স্টাইলের ইলেক্ট্রিক পুনুরুজ্জীবনের মিশ্রণ। ঐতিহাসিকভাবে, ভিক্টোরিয়ান ধাঁচের স্থাপত্যশৈলীর মাঝে পুরনো গোথিক স্থাপত্যশৈলীর নতুন রূপ, ফোক ভিক্টোরিয়ান,…
Reading Time: 6 minutes কথায় বলে, বইপড়ুয়াদের ভিন্ন এক জগৎ থাকে । সেই জগতে তাদের সঙ্গী শ্রীকান্ত, তারা ঘুরে বেড়ায় অ্যানে কারেনিনার সাথে ট্রেনে, অ্যাডভেঞ্চার করে হাতকাটা রবিনের সাথে, হেঁটে যায় বেকার স্ট্রিটের রাস্তায়। আজ যেসব কাল্পনিক বাসা-বাড়ি গুলোর কথা বলছি, সেসবও বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা ভিন্ন জগতের বাসা-বাড়ি। এগুলোর কোনোটি হয়তো আমাদের কল্পনা করতে শিখিয়েছে কেমন হবে গাছের ওপর বসতবাড়ি, কোনোটি হয়তো নিয়ে গিয়েছে নব্বইয়ের দশকের একতলা বাড়িগুলোয়। কোনোটি বলেছে কেমন হয় ওল্ড ইংল্যান্ডের ম্যানসন, কোনোটি আবার জানিয়েছে কলকাতার বাঙালি গৃহের কথা। বইয়ের পাতায় পাওয়া কাল্পনিক বাসা-বাড়ি গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বাড়ি নিয়ে লিখছি এই ব্লগ! শ্রীপুর জমিদার বাড়ি (বউ ঠাকুরানীর হাট) ‘বউ ঠাকুরানীর হাট’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনন্য এক সৃষ্টি। এ উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র সুরমা। সুরমার পৈতৃক ভিটা শ্রীপুর জমিদার বাড়ি। এ বাড়ির আঙ্গিনায় তার বেড়ে ওঠা। এ বাড়ির আভিজাত্য তার মার্জিত আচরণে সুস্পষ্ট। লাল ইটে গড়া এ জমিদার বাড়িটির রয়েছে বিশালাকার ছাদ, সুবৃহৎ দরজা ও জানালা। ব্রিটিশ আমলের জমিদার…
Reading Time: 3 minutes কথায় বলে, ‘বাংলায় বারো মাসে তেরো পার্বণ’। সত্যিই কিন্তু তাই! এখানে গ্রীষ্মের দাবদাহে করা হয় বৈশাখ বরণের আয়োজন, ঝুম বৃষ্টিতে হয় বর্ষা উৎসব, হেমন্তে নতুন ধান ঘরে তোলাকে কেন্দ্র করে পাড়া মেতে ওঠে নবান্ন উৎসবে। শীত আর তবে বাদ যাবে কেন! কুয়াশার চাদর ভেদ করা নরম রোদ কিংবা ঘাসের গায়ে জমে থাকা শিশিরের স্বচ্ছতা, শূণ্য ইউক্যালিপটাসের চূড়ায় বিকেলের কমলা আলো বা বাতাসে হিমের ঘ্রাণ – সবই তো উৎসবের উপলক্ষ, যেন নীরবেই দাবি করে নিজস্ব আয়োজন। চিরন্তন সেই উপলক্ষ কেন্দ্র করে বাংলার গ্রামাঞ্চলে পৌষ পার্বণ আয়োজিত হয়। অন্যান্য উৎসবের মতো এর শহুরে রূপ এখনো তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি, বরং গ্রামগুলোতেই মানুষ সাগ্রহে এই উৎসবটি পালন করে। পৌষ পার্বণঃ কী ও কবে? পৌষ পার্বণ মূলত শীতের আগমনকেই উদযাপন করে। তবে এর আরেক নাম ‘পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি’। বাংলা মাসের আবর্তনে – প্রতিমাসের শেষ দিন অর্থাৎ যে দিন মাস পূর্ণ হবে সে দিনকে সংক্রান্তি বলা হয়। পৌষ মাসের শেষদিনেই তাই সাধারণত এই উৎসব…
Reading Time: 3 minutes বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিকাশের কেন্দ্রবিন্দু ঢাকায় গান এবং নাট্য পরিবেশনার অনেক জায়গা আছে। তবে এগুলোর বেশিরভাগই বড় বড় স্টেডিয়াম বা অডিটোরিয়াম। এদের মাঝে কিছু অ্যাম্ফিথিয়েটারও আছে। খোলা আকাশের নিচে গোলাকার বসার জায়গা দিয়ে বানানো এইসব অ্যাম্ফিথিয়েটারের শুরুটা হয়েছিল প্রাচীন গ্রিসে। ঢাকায় এরকম ভেন্যু খুব কমই আছে, যেগুলো আছে, সেগুলোকে আমরা বাংলায় মুক্তমঞ্চ বলি। আজকে আমরা ঢাকার মুক্তমঞ্চ গুলোর গল্পগুলি ঘুরে দেখব। সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ এটি ঢাকার মুক্তমঞ্চ গুলোর তালিকায় অন্যতম। সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত। বিখ্যাত নাট্যকার সেলিম আল দীনের নামে নামকরণ করা হয়েছে এই মুক্তমঞ্চকে। বাংলা নাটকে অনন্য অবদানের জন্য তাঁকে এদেশের অন্যতম সেরা নাট্যকার বলা হয়ে থাকে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক এবং নাট্য বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। সেখানে শিক্ষক হিসাবে কাজ করার সময় সেলিম আল দীন দারুণ সব নাটক লেখেছিলেন। জাহাঙ্গীরনগরে মুক্তমঞ্চের প্রতিষ্ঠানের পিছেও তার অনেক অবদান ছিল। তিনি ২০০৮ সালে হৃদরোগে মারা যাওয়ার পর এই মুক্তমঞ্চকে তাঁর নামের আদলে নতুন করে নামকরণ করা হয়। এদেশের…
Reading Time: 4 minutes কয়েকদিন পরেই নতুন বছর। আর এই নতুন বছরকে বরণ করে নিতে আপনার পরিকল্পনার সীমা নেই। তাহলে সেই পরিকল্পনা ঘরের জন্য থাকবে না কেনো?এই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ঘরকে নতুন করে সাজিয়ে নিতে পারেন। অনেকে মনে করেন, ঘর সাজানো মানেই অনেক খরচ। ধারণাটি সঠিক নয়। স্বল্প খরচেই আপনার ঘর সাজিয়ে তুলতে পারেন নতুন ভাবে। এই ব্লগে সে কথা মাথায় রেখেই জানাচ্ছি নতুন বছরে ঘর সাজানোর টিপস। বদলে ফেলুন পর্দা নতুন বছরে ঘর সাজানোর টিপস এর মধ্যে প্রথমটি হলো ঘরের পর্দা বদলে ফেলা। নতুন পর্দা একটি নতুন মাত্রা যোগ তো করেই, এতে এছাড়া পুরো বাড়ির লুকই যেন চেঞ্জ হয়ে যায়। বাজারে সাধারণত বিভিন্ন সাইজের ও রঙের কাপড়ের পর্দা পাওয়া যায়; সুতি, চায়নিজ, সেরেয়ারস, বাঁশ বা বেত, নেট, মাদুর বা ভার্টিকাল বাইন্ড ইত্যাদি। পর্দার কাপড় কেনার সময় অবশ্যই দরজা-জানালার আকার-আকৃতি মেপে নেবেন। তা না হলে ছোট-বড় হলে ব্যাপারটা ভালো দেখায় না। গুলশান, নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, মৌচাক, এলিফ্যান্ট রোড সব জায়গায়ই পর্দা পাওয়া যায়।…
Reading Time: 4 minutes নীলচে পাহাড়, বিস্তৃত জলরাশি, সুবিশাল সমুদ্র আর সবুজ চা বাগানে সাজানো বাংলাদেশ। আর প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে দেশের যেসব জায়গায় যেতে হবে, সেগুলোতে এখন আছে দারুণ সব হোটেল ও রিসোর্ট। এগুলোতে আপনি বিলাসবহুল আয়োজন যেমন পাবেন, তেমনি প্রকৃতির সান্নিধ্যও পাবেন। এই ব্লগে বলছি তেমনই কিছু রিসোর্টের কথা। দুসাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, মৌলভীবাজার মৌলভীবাজারের গিয়াসনগর জঙ্গলের ভেতরে নির্মিত বুটিক ভিলা জাতীয় এ রিসোর্টটি বিশ্বমানের পাঁচ তারকা রিসোর্টও বটে। এর দক্ষিণে ১০০০ ফিট লম্বা সর্পিল লেক আছে আর উত্তরে পাবেন দুটো পুকুর। এছারা পুরো রিসোর্টটি সবুজ গাছ-গাছালিতে সাজানো, পাশেই আছে বিস্তৃত চাবাগান। দুসাইতে পাবেন বিলাসবহুল নানা সুবিধা। ইনফিনিটি-এজড সুইমিং পুল থেকে শুরু করে পারসোনাল বাটলার, গাজেবো থেকে শুরু করে স্পা – বিলাসিতায় অবসর যাপনের সব রকম আয়োজন আছে এখানে। দুসাইতে স্পোর্টস অ্যাক্টিভিটিসও আছে অনেক। কায়েকিং, সাইক্লিং, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন খেলার সুব্যবস্থা আছে। রিসোর্টের ব্যবস্থাপনায় মাধবপুর লেক ও মণিপুরী গ্রাম ঘুরতেও যেতে পারেন আপনি। মোট কথা, প্রকৃতির সংস্পর্শ ও বিলাসী…
Reading Time: 4 minutes ‘গ্রামে কেমন হয় শীত? কেমন ছিলো শীত?’ বহুতল ভবনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে এসবই ভাবছিলাম। নিজের অজান্তেই মন ফিরে গেলো ছায়াঘেরা উঠোনে, সুদূর অতীতে। সেখানে শীতের শুরুতে লেপের ভাঁজ থেকে বেরিয়ে আসে শুকনো নিমপাতার ঘ্রাণ। সেখানে শীতের আয়োজনে জড়িয়ে থাকে মটরশুটি পোড়ানো বিকেল আর ভাপাপিঠার ধোঁয়া। সেখানে বড় যত্নে পাতে তুলে দেয়া হয় লাউ-শোলমাছের তরকারি। সেখানে শীতের সন্ধ্যায় নিস্তরঙ্গ জলাবনে ডানা ঝাঁপটায় বুনোহাঁসের দল। কুয়াশা আর হিমে ঘেরা কাব্যের অন্তরালেও এক অন্যভুবনের কথা বলে গ্রামীণ জীবনে শীতকাল। তেমন কিছু কথা নিয়েই লিখছি এই ব্লগ! শীতবুড়ি এলো রে ছোটবেলায় কোনো এক সাপ্তাহিক সাময়িকীতে পড়েছিলাম ‘দাদুভাই’ নামে বেশি পরিচিত ছড়াকার রফিকুল হকের লেখা, “কাঁপা ঠকঠক বকা বকবক থুরি! তোর নাম আরে শীতকাল না-রে বুড়ি?” তাই বোধহয় শৈশবে যতবার গ্রামে শীতের সকাল দেখার সুযোগ হয়েছে, মনে হয়েছে এই হাড়কাঁপানো শীত জবুথবু এক বুড়িরই কীর্তি! শহরের মতো সেখানে ধোঁয়া আর কুয়াশা মিলে ‘ধোঁয়াশা’ জমাট বাঁধে না। বরং গ্রামকে পরম মমতায় জড়িয়ে রাখে গাঁঢ়, নিশ্ছিদ্র…
Reading Time: 4 minutes অনেকে বলেন নতুন বছর মানে নতুন দিনের শুরু। অনেকের কাছে নতুন বছর মানে জীবনের নতুন এক অধ্যায়। সত্যি যদি তাই হয়, তবে নতুন কিছু হিসেব-নিকেশ, নতুন কিছু প্রতিজ্ঞা তো সেখানে থাকতেই পারে। নতুন বছরে বাড়ি কেনা নিয়ে ভাবছেন যারা, তাদের জন্য কেমন হবে প্রতিজ্ঞা? কোন বিষয়গুলো নিয়ে করতে হবে আগাম পরিকল্পনা? এসবের উত্তরই খুঁজছি এই ব্লগে। টাকা জমানোর এই তো সময়! ‘এভরি ডলার কাউন্টস!’ কথাটি বাড়ি কেনার আগে ভীষণ জরুরি। সপ্তাহান্তের ছুটিতে বাইরে না গিয়ে নাকি ঘরেই না হয় কিছুদিন ডিনার সেরে ফেলেন! হুটহাট খরচ না করে এবছর থেকে না হয় শুরু করুন সঞ্চয়ের খাতা। কেননা খরচের লাগাম ধরা তখন অন্য যেকোনো সময়ের চাইতে এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যত দ্রুত টাকা জমিয়ে ফেলতে পারবেন, তত দ্রুত আপনার মাথার ওপরে পাবেন নিজের ছাদ। কথায় বলে ‘তবু থাকি নিজেরও বাসায়!’। সত্যিই কিন্তু নিজের নামে নিজের স্বপ্নের বাড়ির চেয়ে দারুণ ব্যাপার কিন্তু কমই আছে! টাকা জমানোর আগে বাড়ির বাজার দর, ডাউন পেমেন্টের হার জেনে…